কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় !
শরতের আকাশ কিঞ্চিত বাদামী,
প্রায়শই আজকাল নীলাভ থাকে না ।
তুলতুলে মেঘে আমি সাদা ভাগটুকু পাই না
ওখানেও কালো ছোঁপ একটু ময়লাটে ;
গতকাল কিন্তু এরকম ছিল না ।
স্পষ্ট দেখে এসেছিলাম সবুজ মাঠে একলা প্রজাপতি ,
ছোট ছোট পোষা কুকুরগুলো হাঁটছিলো পায়ে পায়ে ,
খেলার মাঠ জুড়ে অসংখ্য ক্ষুদে খেলুড়ে
কারো পায়ে ফুটবল,
কারো বুকে আগলে থাকে ঘুড়ি ,
একটু লম্বা লম্বা পা ফেলে দ্রুত হেঁটে যায় বয়স্ক দেহ ,
কোণায় কোণায় কংক্রিটের বেঞ্চে এসে বসে অনাগত শিশুর মা ,
নির্মল হাওয়ার খোঁজে একটু জিরায় ক্লান্ত পথচারী ,
সবারই ভিতর আরেকটু বেশী ভালো থাকার আকাঙ্খা ।
আলো মিইয়ে যখন সন্ধ্যা নামে ,
কুয়াশার সাথে তখন ভাব করে ঝিঁ ঝিঁ পোকার দল ,
এগুলো কিন্তু অতীত গত দু'দিনের কথা ।
বর্তমান আজ সেই জায়গাগুলোতে গণকবর ;
যে ছেলেটা ঘুড়ি নিয়ে বসে থাকত
ও ঘুড়ি হাতে নিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়েছিল
একটা বোমারু বিমানকে বন্ধু ভেবে টক্কর দিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছিল ।
অনাগত শিশুর মা এখন মুমূর্ষু,
অনাগত শিশুকে বাঁচানো যায় নি, মাকে বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টা ।
গুটি ক' টা ডাক্তারের অসহায় মুখমন্ডল,
হাসপাতালের মুখে সারি সারি লাশের মিছিল,
কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ বাড়ীর ছোট ছেলেটা, কেউ মিষ্টি গানের মেয়ে
গতকালের রাতের গুলির বৃষ্টির ও বোমার বারুদের পোড়া ঝাঝাঁলো গন্ধে
নিস্তব্ধ শেষ বিকালের খেলার মাঠ অসংখ্য গর্তের কলোনী, ভাঙ্গা গুঁড়ো গুঁড়ো স্কুল দালান ।
কাল বিকালের কেউ নেই সেই ছেলে, সেই শিশু, সেই মা, সেই বাবা, সেই ক্লান্ত দাদু।
আমরা আজ ওদের কবর খুঁড়ছি নীরব নিভৃতে শক্ত চোখের জলে ।
(অয়ন আহমেদ
২২.০১.০৯
প্যালেস্টাইন জাতির উপর অত্যাচারের নিরব প্রতিবাদ)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।