আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব নীতিই ধনীদের আওতায় চলে যায় টাকার জোড়ে

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

দামী ঘড়ি ও গাড়ী ব্যাবহারের জন্য চীনের কোন আমলাকে চাকুরীচ্যুত নাকি করা হয়েছে। কোথায় যেন খবরটা পড়লাম কয়েকদিন আগে। অর্থাৎ তার জন্য যতটুকু প্রযোজ্য তার বাহিরে তার পদচারনার জন্যই এই শাস্তি। কিন্তু আমাদের দেশের কি অবস্থা? যার যত সম্পদ সে তত শান সৌকতে থাকে।

প্রয়োজনের বাহিরে সেগুলো ব্যাবহার করে। আর এইজন্য আমাদের সমাজে এত ভেদাভেদ। একটা সমাজে সবাইতো ধনী হবে না। কেউ গরীর থাকবেই। আর এই দুই শ্রেণীর জীবনযাত্রার মানও দুইরকম হবে এটাই ঠিক।

কিন্তু আমাদের দেশে ধনী ও গরীবের পার্থক্যটা খুবই বেশী। কোনটার সাথে কোনটার মিল নেই। যার জন্যই সমাজে আমাদের এত দুর্নীতি। একটা যদি সঠিক নীতিমালা থাকতো, যে কোন ব্যাক্তি যতই সম্পদশালী হোক না কেন তার সীমানা এতটুকুই। তার বাহ্যিক সম্পদ প্রদর্শনে একটা লিমিটেশন থাকা উচিত।

যেমন: আমাদের দেশে এমনও ধনাঢ্য পরিবার আছে যাদের প্রত্যেকটি সদস্যের জন্য একাধিক বিলাস বহুল গাড়ী আছে। বাড়ী আছে। আবার সরকার এই প্রবনতাকে ঠেকানোর জন্য গাড়ীর উপর উচ্চহারে ট্যাক্স আরোপ করেছে। কিন্তু তাতে কি কোন ফল আসেছে? আসছে না। ঢাকা শহরে এমন অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি আছেন যাদের একটি গাড়ী প্রয়োজন কিন্তু কিনতে পারেনা অতিরিক্ত দামের জন্য।

তাহলে সরকারের এই ট্যাক্স নীতির কারনে সমস্ত সুযোগ সুবিধা গুলো কি ওয়ান সাইডেড হয়ে যাচ্ছে না? একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য সব সুযোগ সুবিধা ভোগের বিষয় হয়ে যাচ্ছে। মদের উপর উচ্চ ট্যাক্স তাই বলেকি মদের বিক্রি কমে গেছে? যায় নি, বরং বাড়ছে দিনে দিনে। এরজন্য যুগপযোগী নীতি গ্রহন আবশ্যক। গাড়ীর উপর উচ্চহারে কর দিয়ে গাড়ীর বিক্রির অপব্যাবহার রোধ করা যায়নি। বরং তারা প্রতিদিন নিত্যনতুন গাড়ী উচ্চহারে কর দিয়েই কিনছে।

সেটা ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তা দেখলেই বোঝা যায়। পক্ষান্তরে যার নুন্যতম একটি গাড়ী প্রয়োজন সে কিনতে পারছে না। তাই সরকার সম্ভবতঃ এখন নতুন একটি নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। সেটা হলো, এক পরিবারের একাধিক গাড়ী থাকতে পারবে না আর কিনতে হলে সেটা প্রয়োজন সাপেক্ষে উচ্চ হারের ট্যাক্স দিয়ে একাধিক গাড়ী কিনতে পারবে। কিন্তু এ যাত্রায়ও সরকার সফল হবে না।

প্রতারিত হবে সাধারণ মানুষ। ততদিন এ অবস্থার উন্নতি হবে না যতদিন না পর্যন্ত আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে বোধ না আসে। এরজন্য দরকার নীতিমালা ও সুষ্ঠ পর্যবেক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে। গৃহীত সব নীতিই একসময় ধনীদের আওতায় চলে যায়। কব্জা হয়ে যায় টাকার জোড়ে।

আর কত দিন চলবে এভাবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।