এইখানে শায়িত আছেন বাংলা ব্লগ ইতিহাসের কলঙ্ক...
কতোরকম সফটওয়্যার আমরা ব্যবহার করি। এগুলোর অধিকাংশেরই নামকরণের পেছনে রয়েছে মজার মজার কিছু গল্প। এই পোস্টে তারই কয়েকটি তুলে ধরা হয়েছে। এ নিয়ে পোস্ট লেখার কথা আসলে ছিলো না, পুরো ব্যাপারটাই নিতান্তই শখের বশে করা.........
১. Google: "Google" শব্দটির উদ্ভব "Googol" শব্দটি থেকে, গণিতে যার অর্থ ১০ এর ১০০তম ঘাত (10 to the power 100) বা ১ এর পরে ১০০টি ০ বসালে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় সেটি।
অর্থাৎ 1 Googol = 10^100 = 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000
1 Googol এর মানকে ইংরেজীতে ১০ ডুয়োট্রিগিন্টিলিয়ন (Ten Duotrigintillion) বলা হয়।
১৯৩৮ সালে মার্কিন গণিতজ্ঞ এডওয়ার্ড ক্যানসার (Edward Kasner) এর ভাতিজা মিল্টন সিরোটা (Milton Sirotta) এই শব্দটির প্রচলন করেন। পরবর্তীকালে এডওয়ার্ড ক্যানসার ১৯৪০ সালে তার লিখিত Mathematics and the Imagination বইয়ে উল্লেখের মাধ্যমে শব্দটিকে জনপ্রিয় করেন।
----------------------------------------------------------------------------------
২. Adobe: "Adobe" শব্দটির অর্থ হচ্ছে স্থাপত্য নিমার্ণে ব্যবহৃত এক বিশেষ ধরনের ইট যা বালি, কাদা, গোবর ও বিভিন্ন তন্তুকে মিশ্রিত করে ইটের আকার দিয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আজ হতে প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে অর্থাৎ খ্রীষ্টপূর্ব ২০০০ সালেও শব্দটি আদি মিশরে প্রচলিত ছিলো, তবে Adobe রূপে নয় বরং "dj-b-t" রূপে যার অর্থ করলে দাঁড়ায় "কাদা দ্বারা নির্মিত ইট"। পরবর্তীতে আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০ সালে আদি মিশরীয় থেকে কপ্টিক (Coptic) ভাষায় বিবর্তিত হয়ে শব্দটি হয়ে যায় "tobe"।
এরপর শব্দটি আরবীতে "আল তুব (الطّوب)" হিসেবে স্থান করে নেয়। এরপরে শব্দটি আদি স্প্যানিশে গিয়ে adobe তে রূপ লাভ করে। ১৮শ শতাব্দীতে শব্দটিকে স্প্যানিশ থেকে ইংরেজীতে ধার করে আনা হয়। প্রধানত শুষ্ক, রূক্ষ ও মরুভূমি এলাকায় Adobe ইট দিয়ে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়ে থাকে।
----------------------------------------------------------------------------------
৩. Mac: Mac হচ্ছে Macintosh এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
যেমনটা আমরা সবাই জানি Apple Inc. উদ্ভাবিত একটি অপারেটিং সিস্টেম। মজার ব্যাপার হচ্ছে Macintosh মূলতঃ একটি বিশেষ প্রজাতির আপেলের নাম।
----------------------------------------------------------------------------------
৪. Linux: Linux এর উদ্ভাবক হচ্ছেন লিনাস ট্রোভাল্ডস (Linus Torvalds)। প্রাথমিক অবস্থায় ট্রোভাল্ডস এর নাম দিতে চেয়েছিলেন "Freax" যা ছিলো "free", "freak" ও Unix অপারেটিং সিস্টেমের X অক্ষরের একটি সমন্বিত রূপ। কিন্তু ট্রোভাল্ডস এর বন্ধু আরি লেমকে (Ari Lemmke), যিনি ছিলেন যে FTP সার্ভারে প্রথমবারের জন্য Linux এর kernel ডাউনলোডের জন্য Host করা হয় তার এ্যাডমিনিস্ট্রেটর, তিনি ঐ FTP সার্ভারে ট্রোভাল্ডস এর Directoryটির নাম দেন "linux"।
আর সেই থেকেই Linux শব্দটির প্রচলণ।
----------------------------------------------------------------------------------
৫. Ubuntu: Ubuntu একটি আদি আফ্রিকান শব্দ যার অর্থ হচ্ছে "Humanity to others", অর্থাৎ "মানবতা অপরের তরে"।
----------------------------------------------------------------------------------
৬. Nokia: Nokia হচ্ছে ফিনল্যান্ডের (Finland) নোকিয়ানভিরতা (Nokianvirta) নদী তীরবর্তী একটি শহরের নাম। টেলিকমিউনিকেশন জগতের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান নোকিয়ার জন্ম ১৮৬৫ সালে এ শহরেই, তবে কোন মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয় বরং একটি পেপার মিল (Paper Mill) হিসেবে। ১৯০৪ সালে Finnish Rubber Works Ltd নোকিয়া শহরে একটি কারখানা স্থাপন করে।
আরো একটি কোম্পানী - Finnish Cable Works Ltd এর সাথে এই দু'টো কোম্পানী ১৯৬৭ সম্মিলিতভাবে রূপ নেয় Nokia Corporation এ। পরবর্তীতে এই যৌথ মালিকানা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা বিভিন্ন আলাদা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়, আর বাকিগুলো ১৯৯০ সালে বিক্রি করে দেয়া হয়। তবে Finnish Rubber Works Ltd এখনো টিকে আছে Nokian Tyres নামে আর Paper Millটি টিকে আছে Georgia-Pacific Finland Oy নামে। সূচনা নোকিয়া শহরে হওয়া সত্ত্বেও টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান Nokia এখন আর নোকিয়া শহর থেকে তাদের কোন কর্মকান্ড সঞ্চালন করে না। বর্তমানে এর হেডকোয়ার্টার এসপু (Espoo) শহরে যা নোকিয়া শহর থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দক্ষিণে।
প্রতিবছরই নোকিয়া শহরে হাজার হাজার পর্যটক আসেন এই ভেবে যে যেহেতু শহরের নামের সাথে মিল আছে সুতরাং Nokia নিশ্চয়ই এখানে কোন বিশেষ চমক রেখেছে। কিন্তু এমন কোন কিছুর সন্ধান না পেয়ে তারা যারপরনাই হতাশ হন।
----------------------------------------------------------------------------------
৭. কিছু এ্যান্টিভাইরাসের নাম: হতাশ হয়ে দেখলাম Norton, McAfee ও Kaspersky ৩টির এ্যান্টিভাইরাসেরই নামকরন হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠাতাদের নামে। Norton হয়েছে Peter Norton Computing, Inc. এর প্রতিষ্ঠাতা পিটার নর্টন (Peter Norton) এর নামে। Peter Norton Computing, Inc. বর্তমানে Symantec দ্বারা অধিকৃত।
McAfee এর নামকরণ হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা জন ম্যাকাফি (John McAfee) এর নাম অনুসারে। Kaspersky এ্যান্টিভাইরাসের নামকরণ হয়েছে এর দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ন্যাটালি ক্যাস্পারাস্কায়া (Natalya Kasperskaya) ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী ইউজিন ক্যাস্পারাস্কাই (Eugene Kaspersky) এর নামানুসারে।
AVG এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে Anti Virus Grisoft। Grisoft এখানে এ্যান্টিভাইরাসটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম।
Avast! Antivirus এর Avast শব্দটির অর্থ হচ্ছে কাউকে থামতে বলার জন্য একধরনের আদেশ যা সাধারনত শত্রুপক্ষের প্রতি সাবধানবাণী হিসেবে উচ্চারিত হয়।
Avast শব্দটি এসেছে ডাচ ভাষার "hou vast" থেকে যেখানে hou হচ্ছে houden যার অর্থ to hold আর vast মানে হচ্ছে fast।
তবে এ্যান্টিভাইরাস NOD32 এর নামকরনে একটু বৈচিত্র্য আছে। NOD হচ্ছে চেকোস্লোভাকিয়ার ভাষায় "Nemocnica na Okraji Disku" এর সংক্ষিপ্ত রূপ যার অর্থ হচ্ছে hospital at the edge of the disk। এ বাক্যটি একটি চোকোস্লোভাকিয়ান হসপিটাল বিষয়ক নাটকের নাম "Nemocnica na okraji mesta" থেকে এসেছে যার অর্থ ছিলো hospital at the edge of the city।
----------------------------------------------------------------------------------
৮. Asus: "Asus" শব্দটি এসেছে গ্রীক পুরাণের পঙ্খীরাজ ঘোড়া "Pegasus" এর শেষ ৪টি অক্ষর থেকে।
প্রথম ৩টি অক্ষর কর্তন করা হয় Asus নামটিকে বর্ণানুক্রমিক সন্নিবেশে উচ্চস্থান লাভের সুযোগ করে দেবার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------------
৯. WinRAR: WinRAR এর উদ্ভাবক ছিলেন রাশিয়ান সফটওয়্যার ইন্ঞ্জিনিয়ার Eugene Roshal (ইউজিন রোশাল)। মূলতঃ RAR অর্থ হচ্ছে Roshal ARchive
----------------------------------------------------------------------------------
১০. Mozilla: Mozilla শব্দটির উদ্ভব হয়েছিলো যখন Netscape Navigator web browser এর নির্মান প্রক্রিয়ার সময় এর সাংকেতিক নাম দেয়া হয়েছিলো Mozilla। Mozilla হচ্ছে "Mosaic killer" এর সংক্ষিপ্ত রূপ, Mosaic killer দিয়ে এখানে Mosaic Browser প্রজেক্টের সমাপ্তির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। মোজিলার লোগো রূপে ব্যবহৃত হয় রূপকথার দৈত্য গডজিলার (Godzilla) ন্যায় দেখতে একটি দৈত্যকে।
মোজিলা একসময় Netscape Navigator web browser এর ম্যাসকট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে মোজিলার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও প্রজেক্টগুলোর নামও বৈচিত্রময় ও ভিন্ন। যেমন - Firefox, Thunderbird, SeaMonkey, Bugzilla, Camino, Sunbird, Flock, Songbird। নামগুলোতে পাখি, প্রাণি, সরীসৃপ ও প্রাকৃতিক শক্তির নামের ব্যবহার লক্ষনীয়।
----------------------------------------------------------------------------------
১১. Firefox: Firefox হচ্ছে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত ক্রেইগ থমাস (Craig Thomas) লিখিত একটি Techno-Thriller উপন্যাস।
এই উপন্যাসে Firefox ছিলো একটি কাল্পনিক রাশিয়ান MiG-31 যুদ্ধবিমানের নাম। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে ক্লিন্ট ইস্টউড (Clint Eastwood) এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি এ্যাকশন ম্যুভি বানান, নাম সেই একই থাকে - Firefox। ১৯৮৩ সালে এই একই কাহিনী অবলম্বনে Atari প্ল্যাটফর্মের জন্য Firefox নামের একটি গেইম বাজারে প্রকাশিত হয়। এই ১৯৮৩ সালেই ক্রেইগ থমাস তার Firefox উপন্যাসের পরবর্তী পর্ব Firefox Down প্রকাশ করেন।
এতো কিছু লিখলাম বটে, কিন্তু এটা অজানা যে Firefox এর নামকরণ আদৌ এগুলো দ্বারা প্রভাবিত কিনা।
তবে Firefox এর নাম প্রথমে মোটেও Firefox রাখা হয়নি। ২০০২ সালে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এর নাম দেয়া হয়েছিলো Phoenix। ২০০৩ এর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নামটি ধরে রাখা হয়, কিন্তু তারপর BIOS নির্মাতা প্রতিষ্ঠান Phoenix Technologies এর সাথে নামে মিল থাকায় trademark জনিত কারনে Phoenix নামটি বাদ দিতে হয় এবং নতুন নাম দেয়া হয় Firebird। Firebird নামটি প্রথমেই সমালোচনার মুখে পড়ে কেননা Firebird database server নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে Firebird শব্দটি আগে থেকেই ছিলো। অতঃপর কয়েক ঘন্টার জন্য নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Firebird Browser।
কিন্তু এর ঠিক পরেই মোজিলা কর্তৃপক্ষ এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে Mozilla Firebird নামটির ঘোষণা দেন। কিন্তু Firebird database server এর চাপের মুখে ২০০৪ এর ২ ফেব্রুয়ারীতে মোজিলা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে Mozilla Firefox নামটি রাখতে বাধ্য হন।
আরো একটি কথা যা না বললেই নয়, উপরে Phoenix নামটি লক্ষ করুন। Phoenix হচ্ছে গ্রীক পুরাণের একটি কাল্পনিক পাখি। কথিত আছে একটি Phoenix ৬০০-৮০০ বছর বাঁচে।
তারপর সে তার বাসা সহ আগুনে প্রজ্জ্বলিত হয় এবং জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ছাই থেকেই আবার নতুন Phoenix জন্ম নেয়। এখানে Phoenix দ্বারা Netscape Navigator web browser পতনের পর Firefox এর উত্থানের কথাই বলা হয়েছে........
এ বিষয়টি আরো দৃঢ়ভাবে প্রতীয়মান হয় Firefox এর একটি ইস্টার এগ থেকে। আপনার Firefox ব্রাউজারটি খুলে এর Address bar এ about:mozilla লিখে Enter চাপুন। আপনি হয়তো অনেকটা এরকম একটি কোন কথা দেখতে পাবেন:
Mammon slept. And the beast reborn spread over the earth and its numbers grew legion. And they proclaimed the times and sacrificed crops unto the fire, with the cunning of foxes. And they built a new world in their own image as promised by the sacred words, and spoke of the beast with their children. Mammon awoke, and lo! it was naught but a follower.
from The Book of Mozilla, 11:9
(10th Edition)
এরকম আরো লেখা পাবেন মোজিলার নিজস্ব ওয়েবসাইটের এই লিংকে: http://www.mozilla.org/book/
প্রচ্ছদ: Firefox
প্রচ্ছদ: Firefox Down
ম্যুভি পোস্টার: Firefox (১৯৮২)
নামকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে Mozilla Firefox ব্রাউসারের লোগোর বিবর্তন
----------------------------------------------------------------------------------
১২. Nero: Nero নামটার পেছনে যার অবদান তার নাম হচ্ছে প্রাচীন রোমান সম্রাট Nero Claudius Caesar Augustus Germanicus।
তিনি ৫৪ থেকে ৬৮ খ্রীষ্টাব্দ অব্দি শাসন করেন। কথিত আছে ৬৪ খ্রীষ্টাব্দে রোমে যে বৃহৎ অগ্নিকান্ডের সংঘটিত হয়েছিলো নিরো নিজেই তার সূত্রপাতকারী। আমরা অনেকেই নিশ্চয়ই ছোটবেলায় বাংলা থেকে ইংরেজীতে ট্রান্সলেশনের জন্য একটি বাক্য দেখেছি - "রোম যখন আগুনে পুড়ছিলো, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো। " এই নিরোই সেই নিরো। বর্তমানে আমরা যেমনটা জানি Nero হচ্ছে CD/DVD রাইটিংয়ের জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার।
CD Writingকে অনেকে Burning বলে থাকেন যার অর্থ কোন কিছু আগুনে বা তাপে পুড়ানো। সম্ভবত এই Writing এর সাথে Burning এই সম্পর্কের দরুনই Nero নামটি ব্যবহারের কারন। আমার সবচেয়ে মজা লেগেছে যেটা ভেবে সেটা হলো Nero সফটওয়্যার প্যাকেজটির যে টুলটি বার্নিংয়ের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেটির নাম হলো Nero Burning ROM। যেন বলা হচ্ছে Nero Burning ROME........
মজার ব্যাপার হলো এই ব্যাপারগুলো Nero এর লোগোতেও তুলে ধরা হয়েছে। একটু খেয়াল করে নিচের ছবিতে Nero এর লোগোতে আগুন লাগা Colosseumটি দেখুন:
আসলে এই Colosseumটি হচ্ছে রোমের সেই বিখ্যাত Colosseum:
কৃতজ্ঞতা:
এই পোস্টের সকল বহির্গামী লিংক উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত।
এই পোস্টে উপস্থাপিত তথ্যাবলীর অধিকাংশ উইকিপিডিয়া ও গুগল সার্চ থেকে প্রাপ্ত কিছু সাইট ও সামান্য স্বীয় জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত।
পরবর্তী পর্ব: কিছু Technological প্রতিষ্ঠানের নামকরনের ইতিহাস ও উৎপত্তি (২য় পর্ব)
একটি নাফিস ইফতেখার ল্যাবরেটরী গবেষণা, ২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।