বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
আজ আমার ভোর হয়েছে অনেক আগে, ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ ব্লগে বসেছিলাম। এরপর গেলাম এয়ারপোর্ট, আমার ভাইকে বিদায় দিতে। এয়ারপোর্টে ভাইয়াদেরকে বিদায় দিতে গিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। প্রিয়জনকে বিদায় দিতে আসলেই খুব কষ্ট হয়।
এয়ারপোর্ট থেকে কাপ্তাই যাওয়ার জন্য এক বন্ধুর সাথে মিলিত হলাম "অক্সিজেন" নামের একটা স্থানে। সেখান থেকে বার কয়েক যানবাহন বদল করতে করতে অবশেষে কাপ্তাই এর নিকটবর্তী বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এ পৌঁছলাম। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ যাওয়ার ব্যাপারটা হঠাৎ করে ঘটে গিয়েছিল। আমি বা আমার সাথের বন্ধু, কেউ কাপ্তাই এর পথ চিনতাম না। যাওয়ার পথে একটি সিএনজি ট্যাক্সিতে সৌভাগ্যক্রমে সেই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রের সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল, তার নাম বাবলু।
বাবলুর সাথে প্রথমে সেই ইনস্টিটিউট এ গেলাম, সেখানে কিছু ছবি তুললামঃ
ঐ ইনস্টিটিউট থেকে বের হয়ে পথে একটি ছোট পার্ক চোখে পড়ল। সেখানেও ছবি তুললামঃ
তারপর সেখান থেকে গেলাম কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ। তাই ছবি তুলতে পারিনি । দুধের সাধ ঘোলে মেটাবার মতই পুরো প্রকল্পটি যতদূর সম্ভব ঘুরে দেখলাম।
ঐ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার অনেকটুকু পথ হেঁটে বেড়িয়েছি। আসার পথে ক্লান্তিতে একেবারে নেতিয়ে পড়েছিলাম ।
পুরো জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ঘুরে দেখতে দেখতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম মধ্যবর্তী জুম রেস্তোরা সংলগ্ন ছোট একটি পিকনিক স্পটে। এই পিকনিক স্পটে যখন পৌঁছাই তখন সূর্য প্রায় অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল।
অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমার এত ভালো লাগলো, সেটা লিখে প্রকাশ করা যাবেনা। ঐখানকার কিছু ছবিঃ
অসাধারণ এসব দৃশ্য দেখে মনটা খুবই ভাল হয়ে গিয়েছিল। জুম রেস্তোরা থেকে বের হয়ে বাসার পথে রওনা দিলাম। পেছনে রেখে গেলাম প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো কিছু অসাধারণ মূহুর্ত।
আজ সকালে মনটা খুব খারাপ ছিল এয়ারপোর্টে।
ভাইয়াকে বিদায় দেয়ার সময় কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। কাপ্তাই যাওয়াটা যদি আজ না হতো, সারাদিন সত্যিই খুব বাজে কাটত। কাপ্তাই-এ অসাধারণ একটি দিন কাটানোর কারণে সকালের সেই কষ্টটা বিকেলে আর ছিলনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।