আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পই বাঁচিয়ে রাখে তার শিল্পীকে, অন্য কিছু নয়...



চোখের সামনে দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে গেল আমার বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের গতিপথ। দিন এল সো কল্ড আধুনিকতার চর্চ্চার, ও পরিবর্তিত হতে শুরু হল- মানুষের মানবিক সম্পর্কের ইতিহাস। আমরা দ্রুততর হতে গিয়ে ঈশপের কচ্ছপকে ভুলে টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে অভ্যস্ত হয়ে হাইব্রীড খাই আর ছাড়ি। ঘুমঘোরে মনে পড়ে এ বছর ক'জনকে বিসর্জিত করলাম। আর গ্লোবাল জমিনে কতখানি চাষ করে নিলাম রক্তাক্ত লাশের ক্ষেত। কিন্তু মানুষ কি করে ভুলে যাবে তার অতীত? কি করে ভুলে যাবো বন্ধু কবি সুমন প্রবাহণের অর্নিদিষ্ট যাত্রা পথ? মানুষ কি করে ভুলে যাবে তার লক্ষ কোটি বছরের ইতিহাস আমি কি করে অস্বীকার করব আমার ফেলে আসা সময়ের স্বাক্ষর? হোক তা অতি নিরর্থক! কিম্বা প্রাজ্ঞজনের কাছে বালখিল্য... কিন্তু সময়কে তো ধারণ করে কবি তার আপন মুদ্রাদোষে! একযুগ সময়কাল পার হবার পরেও যে কবিতাটি আমাকে পাখির ডানার উড়ন্ত নির্জণতা এনে দেয়, তার জন্যই হয়তো আমি আমার এ লেখাটির দিকে শিশু পাখিটির মত চেয়ে রই, আর কবিতাটিই মা পাখি হয়ে ধারণ করে তার সন্তানকে... শিল্পই বাঁচিয়ে রাখে তার শিল্পীকে, অন্য কিছু নয়... মূলত কালনেত্র ২য় সংখ্যায় ( প্রকাশকাল: ৬ অক্টোবর ২০০০ ) প্রকাশিত একটি কবিতাকে ব্লগে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার তালেই এই সংক্ষিপ্ত প্রয়াস। মৌমাছির-ও দুঃসময় আসে [শ্রাবণের মেঘ দেখে ঋদি ভাঙা নদী বৃষ্টি শেষে জলকণ্যা তুমিই শ্রাবণী] এখনো আকাশে মেঘের ওড়না ওড়ে বজ্রপাত স্থির; ছাদের কোনে টবে বৃষ্টি হয়, অতঃপর রোদ আসে দোতলার স্যাঁতস্যাতে কার্নিশে তবু রাত আসে, রোদ কমে আকাশেতে রঙ পাল্টায় কপোতীর নিদ্রা আসে; কপোতের পাশে জলজোছনায়। সেভাবেই বর্ষা আসে দু'চোখের তীরে নীড়ের টানেই তাই, মেঘ ডাকে তারে আহা! মেয়ে কৃষ্ণকলি কাঁদো কেন- এই বরষার ক্ষণে? কখনো বৃষ্টি থামে, কখনো বা রোদ; তখন যদি ভালোবাসা থামে! তখন যদি ভালোবাসা বাড়ে! আমাদেরও শরীর আছে- আমাদেরও বিদ্যমান শীতক্ষুধাআগুন আমাদেরও বিপর্যয় ঘটে তেমনি, মৌমাছির-ও দুঃসময় আসে। আকাশের মতো জীবনেরও রঙ পাল্টায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।