(গত বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি মোবাইল ফোনে তোলা কিছু ছবি পোষ্ট করেছিলাম। যে ছবিগুলোকে অনেকে ভালো বলেছেন, কেউ জানিয়েছেন ভালো লাগেনী অনেকে আবার মন্তব্য করেননী। যাই হোক, আমার এই মোবাইলের তোলা ছবিগুলোর পোষ্ট আজই শেষ। ছবি পোষ্টের সাথে উল্লেখ থাকায় অনেকে হয়তো জানেন এই ছবিগুলো নিয়ে আমি একটা সংকলনও করেছিলাম। তাই শেষ ছবিটি পোষ্ট করার আগে সেই সংকলনে লেখা ভূমিকাটিও সংযুক্ত করলাম।
সঙ্গে সংকলনের প্রচ্ছদটিও। )
সবকিছুরই ভূমিকা লাগে তাই দিলাম
মানুষের সব স্বপ্ন সফল হয় না, হলে আমার মা বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী আজ হয়তো আমাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার টাইপের কিছু হতে হতো। হইনি বা হতে পারিনি। এটা ভালো হয়েছে না খারাপ এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। কারন ওইসব বিষয় আমাকে টানতো কম।
আমাকে সবসময় আজগুবি স্বপ্ন হাতছানি দিত। এগুলোরই একটি ফটোগ্রাফি। আমার কখনো কখনো ইচ্ছে ছিল ছবি তুলবো। মা বাবার স্বপ্ন সামান্য পূরণ না হলেও আমার স্বপ্ন ফিফটি পারসেন্ট পূরণ হয়েছে। ব্যয়সাপেক্ষ মূল ক্যামেরায় ফটোগ্রাফি না করতে পারলেও প্রযুক্তির কল্যাণে সৃষ্টিকর্তা মোবাইলে আমার ইচ্ছে পূরণ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
হয়ে গিয়েছিলাম মোবাইল ফটোগ্রাফার।
২.
জীবনে অনেক কিছুই করেছি, সবচেয়ে বেশী করেছি পাগলামী। এটাও সেই ধারাবহিকতার ফসল। মোবাইল সম্পর্কে আমাদের কারোরই যেমন জ্ঞানের কমতি নেই, জানারও কমতি নেই মোবাইল কালচার সম্পর্কে। মোবাইল কিনেছিলাম প্রায় বেশ ক'বছর আগে।
বয়সের তুলনায় অনেক আগেই এমন একটা সময় মোবাইল নিয়েছিলাম যখন আমার বয়সীদের হাতে মোবাইল ব্যবহার ছিল খুবই কম, বড়দের হাতেই মাত্র মোবাইল আসতে শুরু করেছে। তখন মোবাইল নিয়ে রাস্তায় বের হতে একরকম লজ্জা-ই লাগত। রিং বেজে উঠলে তো সর্বনাশ। অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যেতাম।
যে কারনে মোবাইল কেনার পর অনেকটা সময় মোবাইল বাসাতেই রেখে বাইরে যেতাম। তো যে মোবাইল এক সময় বের করতে লজ্জা লাগত, সময়ের বিবর্তনে সে মোবাইল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি পথে পথে। এখানে ব্যবহৃত ছবিগুলো আমি তুলেছি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
৪.
মানুষের জীবন একটা, শখ অনেক। মানুষ সবসময়ই চায় শখ পূরণ করতে।
সেই শখ পূরণের দীর্ঘ একটা কর্মসূচিও থাকে জীবনভর। আমার সেই শখ পূরণ কর্মসূচির এটা একটা অংশ ধরা যেতে পারে অথবা হতে পারে আমার একটা শখের কাজকে সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা। সম্ভবত এদেশে মোবাইলে তোলা ছবির এটাই প্রথম কোন সংকলন।
৫.
আমার এই প্রকাশনা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, এরকম প্রকাশনার কারন কি? এ প্রশ্নের উত্তর যদিও আগেই দেয়া হয়েছে, পাগলামি। তারপরও একটা কথা বলা যায়, আমার ভীষন ইচ্ছে ছিল এই ছবিগুলো নিয়ে একটা প্রদর্শনী করবো।
কিন্তু একটা প্রদর্শনী মানে অনেক ঝামেলা। তাই এখন প্রদর্শনী যেহেতু সম্ভব হচ্ছে না সে কারনে ছবিগুলোকে একটা জায়গায় ধরে রাখার ব্যবস্থা করা আরকি। এটাকে মোবাইল ফটোগ্রাফির মোবাইল প্রদর্শনী বলাও হয়তো ভুল বলা হবেনা।
৬.
আইডিয়া বৈচিত্র এবং প্রযুক্তির হাত ধরে দুনিয়া জুড়ে ফটোগ্রাফি অনেক দুর এগিয়ে গেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই সামান্য মোবাইল নিয়ে ছবি তুলে সেটাকে ফটোগ্রাফি বলাটা হয়তো এরকম দুঃসাহসের পর্যায়ে পড়বে।
তারপরেও ক্যামেরার চোখ দিয়ে দেখার আগে মুঠোফোনের চোখ দিয়ে অনেক কিছু দেখে দেখলাম আমার চোখটা সত্যিকারের দেখার চোখ হয়েছে কিনা। কে জানে? যদি তা সত্যিই হয়ে থাকে তবে হয়তো একদিন মূল ক্যামেরার চোখে দেখে দেখে তুলে রাখার চেষ্টা করব সজীব সচল জীবনের স্থির চিত্র সমগ্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।