...
নাসিরুদ্দীন হোজ্জাকে চেনেন তো সবাই?
আমার মনে হয় সবাই চেনেন
আজ শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক এর মতো একটা নাসিরুদ্দীন হোজ্জার গল্প বলবো আপনাদের। না চুপটি করে বসার দরকার নেই। খুবই ছোট্ট গল্প, আর আমিও ভালো বলতে পারিনা। যাক এবার গল্পটা বলছি শুনুন, ইয়ে মানে পড়ুন।
নাসিরুদ্দীন হোজ্জা ছিলেন বেশ চালাক চতুর।
এমনকি বলা যায় ধূর্তও
সে খুবই হিসেবী। এবং খুবই সতর্ক। বাড়ীতে তার এক চাকর নতুন কাজে যোগ দিয়েছে। তাই তার মনে কেবলই ঘুরপাক খায় বেটাকে ঠিকঠাক মতো তালিম দিয়ে নিতে হবে। তা না হলে কী না কী ক্ষতি করে বসে।
মানে ভুল-চুক আরকি।
তো একটা গ্লাস দিয়ে নাসিরুদ্দীন তার চাকরকে বললো, “এ্যাই শোন, ওটা কিন্তু কাঁচের। খুব দামী। ভেঙে যায়না যেনো। খুব সাবধান!”
কিন্তু সে এটা বলেও নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না।
মনে খুঁতখুঁতি কখন ভেঙে ফেলে। এতোকিছু কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের চিন্তা। হঠাৎ করেই,
“এ্যাই শিগগীর এদিকে, গ্লাসটা দেতো!” (খুব সাবধানে নিজেই এগিয়ে গিয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়ে টেবিলে রাখলেন। )। এরপর চাকরকে কষে একটা চড়! :O
বললেন, “কাঁচের গ্লাস কোনোদিন ধরেছিস? খুব সাবধানে ধরতে হয় বুঝলি? দেখিস খুব সাবধান ভাঙেনা যেন” এটা বলে খুব সাবধানে গ্লাসটা চাকরের হাতে দিলেন।
চাকরটি কাচুমাচু-অপ্রস্তুত-কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতো কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে ঠিক করে নিলো। মনিবরা এমন করতেই পারে।
হোজ্জার বন্ধুরা এমন অবাক কাণ্ডে কিছু না বলে পারলো না। বললো, “সে কী হে হোজ্জা! এ কি করলে? গরীব ছেলেটা কাজ করতে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই ওকে মারলে যে!”
হোজ্জার উত্তর, “আরে ভাই, সেটাই তো সমস্যা।
যদি ওটা ভেঙে ফেলে তাই আগেই সতর্ক করে দেয়া। ও যে গরীব ওকে তো জরিমানা করলে আমার ঠকা হবে। ”
[গল্পটি একটি বিশেষ কারণে লেখা হয়েছিলো, তবে তার শানে-নূযুল এখানে আপাতত অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু এটুকু হিন্ট দিয়ে রাখি এ গল্পটি কোনো এক তথাকথিত বিখ্যাত কু-জনের দেমাগ ফাঁটিয়ে দিতে খুবই কার্যকর হয়েছিলো। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।