পরেই বলবো না হয়
রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ে
কিছু মানুষ হেঁটে যাচ্ছে খালিপায়ে।
জামাকাপড়ে অন্যদের থেকে চোখবুজেই তাদের আলাদা করা যায়।
ভাব ভঙ্গীমায় বা আচার আচরনেও তারা সবার থেকে আলাদা।
হাঁটতে হাঁটতে তারা কথা বলে যায় আপন মনে,
কারোরই পরোয়া করেনা তারা।
কেউ মুখ আকাশের দিকে করে গালি দেয়,
মনে হয় ভগবানকেই যেন।
কেউ বা আশেপাশের সবাইকে মা-বাবা সম্পর্কীত... কিছু বলে।
আমরা তাদের পাশ কাটিয়ে যাই,
যেন তাদের অস্তিত্বই নেই।
আমরা ভুলে যেতে চাই তাদের অস্তিত্ব।
অবশ্য পাগল বলে,
তাদের এমন কোনো অসুবিধা যে হচ্ছে তাওতো নয়।
পৃথিবীর সকল কদর্য রূপ তাদের আর স্পর্ষ করতে পারেনা,
পৃথিবীর সকল কালো রূপ,
পৃথিবীর সকল ভয়ঙ্কর রূপ,
পৃথিবীর আরো যা কিছু আছে খারাপ দিক,
সে সবই তাদের আর স্পর্ষ করতে পারেনা।
তারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত, সদা ব্যস্ত।
আমরা তাদের পরোয়া করি বা নাই করি,
তারা পাগল, বদ্ধ পাগল।
পাগল হয়েও তারা সুখে আছে.....
অন্ততঃ আমরা তো তাদের থেকে
অনেক অনেক বেশী দুঃখেই আছি।
----------------------------------------------------------------------------------
মাঝে মাঝে আমার কেন জানি মনে হয় অতি সত্বর আমিও পাগল হয়ে যাবো। আর বেশি দেরি নেই আমার পাগল হয়ে যাবার।
আশেপাশের কিছু দৈনন্দিন ঘটনাই অবশ্য তার জন্য দায়ী, আর কিছুটা অবশ্য আমিও দায়ী তার জন্য। পাগল হয়ে যেতে পারলে ভালোই হবে, মনে হয় "মরেও বেঁচে যেতে পারবো"।
আমার পাগলামীর কিছু কিছু লক্ষণও আমি এযাবৎ লক্ষ করতে পেরেছি। যাই হোক..... এখন আমি আমার পাগলামীর ফিরিস্তি নিয়ে বসছিনা, আপনারা নিস্চিন্ত থাকতে পারেন।
কিছু দিন ধরেই আমি ভাবছিলাম যে পাগল হয়ে গেলে যত বেশী কষ্টই হোক না কেন... অন্ততঃ বোঝার মত বোধ তো থাকবেনা! চারিদিকে শুধু অন্যায়, অবিচার, রাগ, বিদ্বেষ, ঝগড়া, কলহ, সন্দেহ, আরো যা আছে পৃথিবীর কদর্য রূপ ও আমাকে আর কষ্ট দিতে পারবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।