সঞ্জয় মিঠু
পেপটিক আলসার সম্পর্কে পুরাতন ধারনা হল...
১) কঠিন এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য পেপটিক আলসার হয়।
২) দীর্ঘক্ষণ যাবৎ খালি পেটে থাকা বা খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ন করা।
৩) মানসিক কারণে
৪) অম্লজনিত কারণে
কিন্তু এ ধারণা এখন আর সর্বজন স্বীকৃত নয়। গবেষণায় দেখা যায় এসব কারণ নয়; পেপটিক আলসারের জন্য দায়ী এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া। নাম হেলিকো ব্যাকটোর।
পেপটিক আলসারের রোগী গ্রাম থেকে শহরে বেশি। এই হার প্রতি ১০জনে এক জন। কখনো কখনো এসপিরিণের অপব্যবহারের জন্য ও হতে পারে পেপটিক আলসার।
অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিক মার্সাল তার গবেষণায় খুজেঁ পান যে, পাকস্থলী ও ডুওডেনামের ভিতরে প্রাচীরের গাঁয় এক বিশেষ ধরনের জীবানু। এই জীবানুর কার্যাবলী তার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।
তিনি এই জীবানু নাম দেন হেলিকো ব্যাকটোর। তার বদ্ধমূল ধারণা হয় এই ব্যাকটেরিয়াই পেপটিক আলসারের জন্য দায়ী। তিনি পাকস্থলী ও ডুওডেনাম হতে সংগ্রহ করেন এই ব্যাকটেরিয়া। তারপর তৈরি করেন ব্যাকটেরিয়া মিশ্রিত সিরাম। আর গবেষণার স্বার্থে নিজেই পান করেন সেই সিরাম।
কিছু দিন পর তিনি প্রচণ্ড পেট ব্যথা অনুভব করেন। পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি পেপটিক আলসারে আক্রান্ত। সেবার কঠিন যুদ্ধ করে তিনি মুক্তি পান পেপটিক আলসার হতে। এঘটনা ১৯৮১ সনের। এরপর আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণার পর নিশ্চিত হয়ে ১৯৮৮ সালে এ সম্পর্কিত তার গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।
আর তখন থেকে পেপটিক আলসার সম্পকির্ত পুরাতন ধারণা বদলে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।