৭ পর্বের কমেডী সিরিজ পুলিশ একাডেমীর শুরুর পর্বের নাম পুলিশ একাডেমী- হোয়াট এন ইন্সটিটিউশন। এই পর্বে দেখা যায় কিছু নতুন রিক্রুটকে ট্রেনিং দেয়ার জন্য পুলিশ একাডেমীতে ভর্তি করানো হয়। এই রিক্রুটগুলো সম্পর্কে বলা হচ্ছে -
The new police recruits. Call them slobs. Call them jerks. Call them gross. - Just don't call them when you're in trouble.
স্টিভ গুটেনবার্গের অভিনয় অন্য এক মাত্রা যোগ করেছে , যদিও গুটেনবার্গ ৪ পর্ব পর্যন্ত করেন।
পুরো মুভির চরিত্রগুলো অদ্ভুদ। কমান্ড্যান্ট ল্যাসার্ড, পুলিশ একাডেমীর প্রধান যে কিনা পুরোদস্তুর শিশুর মত, সবকিছু ভুলে যান, কিন্তু ভাগ্য তার পক্ষে থাকে বলে পার পেয়ে যান, তারই প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন হ্যারিস, যে কিনা কিভাবে ল্যাসার্ডকে হটিয়ে নিজে কমান্ড্যান্ট হবে তার চিন্তায় মশগুল।
সার্জেন্ট মাহোনি চরিত্রে অভিনয় করা স্টিভ গুটেনবার্গ, যে কিনা হ্যারিসের বিরাগভাজন হন, ফলে পদে পদে হ্যারিসের জ্বালার শিকার হতে হয় মাহোনীকে, কিন্তু মাহোনীও কম যাননা, হ্যারিসকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন।
তাছাড়া পুরো ফিল্মের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু চরিত্র হল মুখে অসাধারন বাস্তব শব্দ (যেমন গাড়ির হর্ন,পুলিশের হেলিকপ্টারের শব্দ) সৃষ্টি করতে পারা সার্জেন্ট জোনস, সবসময় ভারী অস্ত্রপাতি ও গোলাগুলির প্রতি আগ্রহী সার্জেন্ট টাকলবেরী, যার সাথে মার্শাল আর্ট প্র্যাকটিস করার জন্য সব ক্যাডেট মুখিয়ে থাকে সেই উন্নতবক্ষা সার্জেন্ট কালাহান সহ আজব আজব সব ক্যারেক্টার। যারা রসিক তারা পুরো ৭ পর্বেই মজা খুজে পাবেন, যারা রসকসহীন তারা ৪,৫ পর্বের পর ভাড়ামী মনে করতে পারেন, তবে আমার কাছে শেষটা ছাড়া সব পর্বই মজা লেগেছে। ক্যাপ্টেন হ্যারিসের মুভ ইট মুভ ইট মুভ ইট বলে কমান্ড দেয়ায় আলাদা স্বকীয়তা আছে স্বীকার করতেই হবে।
যারা মুভি সিরিজটি দেখেননি তাদের বলব সত্যিকারের বিনোদন পেতে চাইলে অবশ্যই দেখবেন।
রেটিং - প্রথম পর্ব থেকে ষষ্ঠ পর্ব - ৯/১০
৭ম পর্ব - ৬/১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।