আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেমের খভিতা: সময়কাল: ১৯৯৭-২০০৪

ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
একসময় বউকে পটাতে কিছু কিছু খভিতা লিখতাম..সেটাও ২০০০ এর আগের ঘটনা। ব্লগার সৌপ্তিক আমার একটি পোষ্টে আমাকে এবং আমার বউকে নিয়ে একটা খভিতা উপহার দেয়। আমার খভিতা রচনা কালে আমি দুটো নাম ব্যবহার করতাম। সেগুলো দিয়ে এই খভিতাটা সংরক্ষণের জন্য আলাদা একটা পোষ্ট দিলাম। কবি সৌপ্তিকের জন্য থাকলো অনেক অনেক ধন্যবাদ।

। সময়কাল: ১৯৯৭-২০০৪ প্রেম নাই এ দুনিয়ায় প্রেম নাই এই ভেবে সীমান্ত বাসে করে যাচ্ছিল হঠাৎ করে দেখে এক রুপসী রাস্তার ওপাশে ওমনি সীমান্ত কলিজা চিরে ডাক আসলো। কি আর করা চলতি বাস থামাবে কে সীমান্ত শুধু চেয়ে আছে কিছুদুর যেতে সুন্দরী হারিয়ে গেছে। হাহাকার নিয়ে সীমান্ত ঘুরে দিশেহারা হঠাৎ করে পায় আবার সুন্দরীর দেখা পিছু নেয় এবার অনেক কষ্টে সে হাসি দেয় সুন্দরী একটুও চান্স না দেয় এই দেখে সীমান্ত ঝাজা পায় সীমান্ত নাছোড়বান্দা প্রেম সে করবেই সুন্দরী তো ভাব মারবেই পিছু নিয়ে সীমান্ত সুন্দরীর বাসা চেনে বাসাটা তিন তলা সম্মুখে তার বারান্দা। প্রতিদিন সীমান্ত সুন্দরীর বাসার সামনে আসে অবাক নয়নে বারান্দার দিকে চেয়ে থাকে সুন্দরী তো আসে না সীমান্ত ও হাল ছাড়ে না।

হঠাৎ একদিন বাদলা দিনে সীমান্ত পাশের ওই চায়ের দোকানে বৃষ্টি দেখতে আসে সুন্দরী এই বুঝি সীমান্ত হয় কবি কি সুন্দর তার রুপ। সুন্দরী প্রথম দেখে সীমান্তকে মনে হয় তার মনে প্রেম জাগে চোখে চোখে কথা হয় এই বুঝি প্রেম হয়। হঠাৎ পাড়ার গুন্ডারা দাদাগিরি দেখায় সীমান্ত আচ্ছামত মার খেয়ে তাগড়া আশিক হয়। হাল ছাড়ে না সীমান্ত চিঠি লিখে সুন্দরীকে বলে তার হৃদয়ের বেদন। এই প্রথম সুন্দরী হাতে চিঠি পায় নিচে সীমান্তের নামটি দেখতে পায় সুন্দরী পাল্টা জবাব দেয় তার মনের আশা তারে কয় সীমান্ত চিঠি পায় সুন্দরীর নাম নদী জানা হয়।

নদী তাঁরে বাসার ফোন নাম্বার দেয় দুপুরে তার ফোন করতে কয় সীমান্ত তাঁরে ফোন দেয় ভীরু ভীরু গলায় দুজনে কথা কয়। এ ভাবে চলে চার মাস তাদের প্রেম গাঢ় হয় হঠাৎ একদিন সীমান্ত নদীর স্কুলে গিয়ে হাজির নদী অবাক হয় মনে মনে খুশি হয় সীমান্ত হাতে নিয়ে গোলাপ জানায় তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এই দেখে নদী আবেগপ্লুত হয়। না না এভাবে আর কদিন দেখা না হলে মন ভরে কথা না হলে কাটেনা দিবা স্বপন তাই ঠিক হলো স্কুল ফাকি দিয়ে নদী আসবে পার্কে, মন ভরে দুজনে বাদাম খাবে। ঠিক তাই হলো দুজনে দেখা হলো এই প্রথম হাতে হাত চোখে চোখ অনেকটা সময় হলো কথা মাঝে মাঝে এদিক সেদিক চাওয়া। এর পর চললো সাঁই সাঁই প্রেম দুজন শুধু দুজনার প্রেমে কি শুধু মধু জ্বালাও থাকে কি নিয়ে যেনো ঝগড়া বাধলো এর পর কথা কাটাকাটি হলো কিছু দিন কথা বন্ধ বিরহে সীমান্ত বিরহে নদী ইন্টারমিশন আইলো।

কেমনে কেমনে জানি সর্ম্পক ঠিক হইলো আবার দুজনে মিললো মাঝে মাঝে সীমান্ত খভিতা লিখতো নদী পইরা হাসতো। আইলো মোবাইলের যুগ সর্ম্পক আরো সহজ হইলো। অনেক বছর পার হইলো নদীর বিয়ের চাপ আইলো সীমান্ত তখনো বেকার হয়নি তার আকার দুজনেই চিন্তিত কি হবে না হবে এই ভেবে আশাহত। হঠাৎ সীমান্ত ডিসিশান নিলো পালিয়ে যাবে নদীকে নিয়ে যা হবে কপালে পরে দেখা যাবে। বান্ধবীর বাসার নাম করে নদী পালালো সীমান্ত তাঁর জন্য বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত।

দুজনে বাসে করে পালালো সীমান্ত তার বন্ধুর বাসায় উঠলো তাঁরা শুভবিবাহ সেরে ঝামলোমুক্ত হলো। তিনমাস হলো নদীর বাসার সবাই পাগল হ্ইলো সীমান্তের মা শয্যাশায়ী সীমান্তের বন্ধুরা বকা খাইলো। বন্ধু মারফত খবর পাইয়া সীমান্ত বাড়ি আইলো বাপের হাতে কিছু উত্তম মাধ্যম খাইলো মেনে নেয় না তারা এ বিয়ে দুলাভাই এসে ঝামেলা চুকালো। ওদিকে মেয়ের ঘরে সবাই কান্দে সীমান্তের দুলাভাই তাঁদের সীমান্তের ঘরে আনে। কার জানি রহমত সবাই এ বিয়া মাইনা নিলো।

ওদিকে সীমান্ত চাকরী খুজে হন্য হইয়া জুতা ছিড়ে কিছুতেই হয়না কিছু সবার পেরেশানি বাড়ে কি রহমত! কি রহমত দুলাভাই ভিসা আনে ভিসা পাইয়া সীমান্ত নদীর কাছ থেকে বিদায় নিয়া বিদেশ গেলো। বিদেশ তার ভালো লাগে না নদীরে মিস করে এই কথা কইতেও পারে না কি আর করা সবই কপাল তাই মাঝে মাঝে স্বদেশে পলায়। [আমাদের বউয়ের সাথে আমার প্রথম দেখা ১৯৯৭ এ, কিছুদিন তার হাউজ টিউটর ছিলাম। পরে দুজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। পাস করে দুজন চাকরী করি দু'শহরে।

বিয়ের পরও তাই থাকে। এরপর সরকারী বৃত্তি নিয়ে সে চলে যায় এক দেশে আমি পড়াশোনা করতে কানাডায়। আমি আসার অল্প কিছুদিন পর ও এখানে আসে। আমাদের মূল সংসার আমরা কানাডাতেই শুরু করি। সৌপ্তিককে আমাদের প্রেমের সময়কাল টা বলেছিলাম।

সেটা নিয়ে এত চমৎকার সাহিত্য রচনা করেছে...এক কথায় অতুলনীয়]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.