মানুষ পরাজিত হতে পারে কিন্তু কখনো ধ্বংস হয় না। - আর্নষ্ট হেমিংওয়ে
এক বছর আগেও নেট নেয়ার পূর্বে অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতাম। আর সারাদিন টো টো করে ঘুড়াঘুড়ি তো ছিলোই। আড্ডা আর আড্ডা। আম্মু বিরক্ত হয়ে বলতো, তুই লজিং মাস্টার নাকি।
বাসার একটু কাজ কর্ম করলেও তো হয়। মাঝে মাঝে খুব রাত হলে ইচ্ছে করে দড়জা খুলা হতো না। ভেতর থেকে বলতো শুনতাম, বাইরেই থাক। আর ছুটির দিন গুলো হলো আমার জন্য বিভিষিকা। আম্মু বাসায় মানে কোন কাজ ধরায় দেয়া, একগাদা কাপড় ইস্ত্রী করা, অথবা বইয়ের শেলফটা গুছানো, তোষক ঘাড়ে করে ছাদে নিয়া যাওয়া ইত্যাদি।
এখন নেট নেয়ার পর বিষেশ করে বাংলা ব্লগগুলোর খোঁজ পাওয়ার পর বাইরে যাওয়া কমে গ্যাছে। ব্লগে বসে বসে থাকতে থাকতে কোন দিক দিয়া যে টাইম কাইটা যায় বুঝি না। নিতান্তই প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে বাইরে যাওয়া হয না। বন্ধুদের সাথে আড্ডাটা হয় মেসেন্জারে কনফারেন্স করে। এখন তো আম্মুর খুশি থাকার কথা, পোলা ঘরে বইসা আছে।
নাহ, এখন উল্টা কথা শুনি, তুই বাইরে যাস না ক্যান, চেয়ারে বইসা থাকতে থাকতে তো ভুড়ি গজাইতেছে। আগে না সারাদিন বাইরে যাইতি, কি হইছে, বন্ধুদের সাথে ঝগড়া হইছে নাকি ইত্যাদি ইত্যাদি। সে দিন উবুন্টু আইবেক্সের অনুষ্ঠানে যাবো শুনে আম্মু ব্যাপক খুশি। জুম্মার নামাজ পরে ভাত খেয়ে একটু ঘুম ঘুম লাগছিলো। যেতে মন চাইছিলো না।
কিন্তু আম্মু চেঁচামেচি করে আমারে উঠতে বাধ্য করলো আর ১০০ টাকা দিলো যাতায়াতের জন্য। সেই জন্য পরে হেলতে দুলতে গেলাম। টাকার কিছু অংশ বাঁচিয়ে গুলশান দুইয়ে কস্তুরিতে গ্রিল খেলাম।
কি যে করুম ভাবতেছি....... এখন বাসায় চুপচাপ পিসির সামনে বইসা থাকি.....তারপরও হাউকাউ.....আম্মুদের মন কেমনে জয় করা যায় কেউ কি বলতে পারেন????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।