সেদিন খবরের কাগজগুলোতে দেখলাম অরুন নন্দীর মৃত্যু সংবাদ। কলকাতায় বোনের বাসায় বসেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন । এই কলকাতায় বসেই তিনি ৯২ ঘন্টা ৫ মিনিট সাঁতার কেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন । নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য নয় ,একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য ,বিশ্ববাসীকে পাকবাহিনীর বর্বরতা সম্পর্কে অবহিত করার জন্য । চিরকুমার অরুন নন্দী চাঁদপুরের ছেলে ।
ছোটবেলা থেকেই সাঁতারের মোহ ছিলো তার । প্রমত্তা ডাকাতিয়া নদীতে তিনি সাঁতার অনুশীলন করতেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অংশ গ্রহনও ছিলো সাঁতার নির্ভর । কলকাতায় গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে । ওখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ।
তার মৃত্যুর খবরটার পরিবেশনা ছিলো একদম সাদামাটা। বুদ্ধিজীবিরাও এ মৃত্যুকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মনে হয়নি। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলো নিঃশ্চুপ । আর একই দিনে প্রথম পৃষ্ঠায় ছিলো একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও মুজাহিদের মুক্তির খবর । ফলাও করে ছাপা হওয়া এ খবরের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলো বিশ্বজয়ী বাঙালী অরুন নন্দী।
কী অদ্ভুত আমাদের চেতনা,মূল্যবোধ দেশপ্রেম .....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।