(সাধু বাক্য সাধু ভাষায় বর্ণন করা উত্তম। তবে এই লিখায় ভাষাগত কোন ক্রটি পরিলক্ষিত হইলে বুঝিতে হইবে যে, বৃহত্তর গণতান্ত্রিক স্বার্থেই তাহা করা হইয়াছে। কারণ আমাদের নেতৃবৃন্দ আমাদের শিখাইয়াছেন নিজের স্কন্দদেশে দোষ লইবেনা, দোষ বহন করিবার জন্য অন্যের স্কন্দদেশ রহিয়াছে। )
১৮ই ডিসেম্বর ২০০৮ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করিবার জন্য দেশের দুই নেত্রী জামিন এবং প্যারোলে মুক্তি পাইয়াছেন।
নির্বাচন লইয়া নতুন নতুন শব্দগুচ্ছ আর রঙ্গলীলা জাতি দেখিতেছে। অবশ্য যাহারা উভয় দলের মিটিং মিছিলে অংশগ্রহন করেনা তাহারা জাতির অর্ন্তভূক্ত কিনা তাহা বিবেচ্য বিষয়।
ওয়ান ইলেভেন নামক এক বস্তুর কল্যাণে দেশে নানারুপ কান্ড-কারখানা ঘটিতেছে। ইহার মধ্যে সাম্প্রতিক আওয়ামী উৎপাদিত এবং বিপননকৃত পণ্য হইল "তৃণমূল লেবেনচূষ"। বর্তমানে আওয়ামী বিপননকর্মীবৃন্দ তৃণমূল লেবেনচূষ বিপননে ব্যস্ত রহিয়াছেন।
তৃণমূল নামক লেবেনচূষটি তৃণমূলের কর্মীদের বিতরনের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছিল। বলা হইয়াছিল এই পণ্যে তাহাদের চাহিদা মোতাবেক সকল গুণাবলী মওজুদ থাকিবে। কিন্তু তাহাদের সেই সকল নির্বাচিত গুণাবলী সম্পন্ন বস্তু কেন্দ্রে আসিয়া পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে। অবশ্য বিপননকর্মীবৃন্দ বলিতেছেন যে, পণ্য উৎপাদনকারীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া এবং গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে এই আমূল পরিবর্তন।
গণতন্ত্রের নামে জাতি লেবেনচূষ চুষিতে থাক।
তোমাদের স্বার্থ আর পছন্দ দেখিবার জন্য সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী একজোড়া নেত্রী রহিয়াছেন। তাহারা যাহা করেন তাহা তোমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন, গণতন্ত্র আর দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখিবার জন্যই করেন। তোমদের দায়িত্ব লেবেনচূষ চোষন করা। আজ আওয়ামী লেবেনচুষ চোষন করা। চারদলীয় লেবেনচূষ সত্বর বাজারে আসিবে বলিয়া অনুমান করা যাইতেছে।
একটি অপ্রাসঙ্গিক কৌতুক :
এক কাষ্ঠ হুজুর তাহার ষোড়শ বর্ষীয় ছাত্রীর কথোপকথন :
হুজুর : বালিকা নিকটে আইসো। আমি তোমাকে আদর করিব।
বালিকা : হুজুর, আপনি'তো বলিয়াছেন যে, জ্বেনা করিলে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কাপিয়া ওঠে..
হুজুর : বালিকা সমগ্র কাজটি এমন মোলায়েমভাবে সম্পাদন করিব যে বিছানাও কাঁপিবেনা..
পুনশ্চ :
জনগন সকল ক্ষমতার উৎস বা মালিক। সেই জনগনই জানিবেনা কি প্রক্রিয়ার তাহাদের প্রতিনিধি মনোনীত হইলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।