লোকালপ্রেস ইতিহাস রচিত হয় মুহূর্তেই। শাহবাগ মোড় পরিণত হয়েছে শাহবাগ স্কয়ারে। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিশ্চয়ই মনে আছে তাহরির স্কয়ার কিংবা আরব স্প্রিং এর কথা! দেশের অনেক ঘটনাই কিন্তু প্রগতিশীল লেখক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে পথে নামায়নি, কিন্তু একজন কুখ্যাত কসাই রাজাকারের এমন বিচারিক পুরস্কার মানুষ আর সহজে নিতে পারছে না। প্রতিবাদের এই আগুন প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে। নতজানু অবস্থা থেকে আরো বেরিয়ে আসতে হবে সরকারকে।
শুধু দুয়েকজন নেতা গিয়ে সামিল হওয়ার অভিনয় করলে চলবে না। কালো পতাকা নিয়ে হাসতে হাসতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ রুটিন মিছিল করলেই সরকার এই নরম রায়ের দায় থেকে মুক্ত হতে পারবে না। দেশের মানুষ সরকারের আরো কঠোর ভূমিকা চাইছে।
একদিনেই মানুষের হতাশা কোথায় দাঁড়িয়েছে শুনবেন ?
আরো বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ঘৃণ্য কোন অপরাধীরই সাজা হবে না।
এখন বীর মুক্তিযোদ্ধারা কমপক্ষে ষাটোর্ধ। একাত্তরের হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠনকারী, মানবতাবিরোধী নরপশুরাও ষাটোর্ষ। অল্পদিনেই একে একে প্রাকৃতিকভাবেই মারা যাবে। যারা বিচার দেখে যেতে চেয়েছিল তারা যতখানি অতৃপ্তি নিয়ে পৃথিবী ছাড়বে। শত্রুরা তার চেয়ে বেশি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আমার দেশমাতৃকার সম্ভ্রণহানী করার সুখ নিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে বলতেই পৃথিবী ছাড়বে।
আমাদের রাজনীতি অন্যপথে পা দেবে। একাত্তর, যুদ্ধাপরাধী, বিচার এই বিষয়গুলো পরিণত হবে বস্তাপচা এক ইস্যুতে। আহা, এতটা আশাহত হতে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু উপায় নেই, বোধ হয় এই বাস্তবকেই মানতে হবে। বরং এর সঙ্গে যুক্ত হবে অনেক কিছু।
একাত্তরের নরপশু ও কুকুরগুলোর রেখে যাওয়া প্রজন্ম, যারা এতদিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে প্রশাসনে, সরকারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিজ্ঞানে, গবেষণায়- তখন শুরু হবে তাদের যুগ। তারা পূর্বতন এই যুদ্ধাপরাধ, মাবতাবিরোধী কিংবা একাত্তরের নেতিবাচক ভূমিকা রাখা মীর জাফরদেরকেই ইতিহাসে আলোকিত করে তোলার কাজে হাত দেবে।
এই নৈরাশ্য নিয়ে কি বসে থাকা যায়? আসুন আরেকবার দেশের জন্য নিবেদন করি নিজেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।