যা লিখি তাই অখাদ্য হয়। তবুও চেষ্টায় আছি....
এই মাত্র দেখে আসলাম কমেডি-এ্যকশান মুভি ট্রপিক থান্ডার। ভালই হাসলাম। হলিউডের একটি যুদ্ধের ছবি বানানো হবে ভিয়েতনামে। পরিচালক ভিয়েতনামে ছবির সেট বানাইছে।
প্রথম দৃশ্যই পরিচালকের ছবির শুটিং দিয়ে শুরু। তো নায়ক এবং এর সহযোদ্ধারা ভিয়েতনামিদের সাথে চরম যুদ্ধ করছে। কিন্তু শুটিং এ কেউ সিরিয়াস না। সবাই যে যার মত মজা করতাছে ক্যামেরা রোলিঙ অবস্থায়ও। শেষমেষ ব্যয়সাপেক্ষ একটি বোম্ব ব্লাস্টের সিনও টেকওফ হলোনা নায়কের কমেডিসুলভ আচরনের জন্য।
এই জন্য পরিচালক খুব বিরক্ত হয়ে প্যাক আপ করলেন। শেষে রাতের বেলা অন্য এক সাবেক পরিচালকের পরামর্শে রিয়েল লাইফ ওয়ার মুভি করার প্লান হলো। পরদিন ছবির নায়ক সহ ছয়জনকে হেলিকপ্টারে করে নির্জন এক বনে নিয়ে যাওয়া হলো। এলাকাটি ভিয়েতনামি এক টেরোরিস্ট গ্রুপের আস্তানা। সবাইকে বলা হলো,তোমরা তো কেউ শুটিঙ এ সিরিয়াস না তাই তোমরা এখানে রিয়েল লাইফ শুটিঙ করবা।
সবখানে লুকানো ক্যামেরা লাগানো আছে। এখানে যা ঘটবে সবই শুটিং। এর কিছুক্ষন পরেই পরিচালক ল্যান্ড মাইনে পুরো ভ্যানিস হয়ে যায়। ওরা ভাবলো এটাও মনে হয় ছবির অংশ। গহীন জন্গলে ওরা ছয়জন আর অন্যদিকে টেররিস্ট গ্রুপ।
টেররিষ্টরা ভাবছে এমেরিকান রা ওদের কে ধরতে আসছে আর ওরা ভাবছে টেররিস্টদের সাথে ফাইট এটাও মনে হয় ছবির শুটিঙএর অংশ। চারিদিকে লুকানো ক্যামেরায় সব রের্ক্ড হচ্ছে। অর্থাৎ শুটিঙ চলছে। বুজুন কি খেলাটা জমছে!যখন ওরা বুঝলো যে এটা শুটিং না। রিয়েল ফাইট চলছে ততক্ষনে অনেক দেরিহয়ে গেছে।
সবাই এক এক করে টেররিষ্টদের হাতে বন্দি। বাকিটা হলে গিয়ে দেখে নিবেন।
ছবির পরিচালক এবং অভিনেতা বেন স্টেলার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।