যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
শরতের নরোম সকালে শিশির ভেজা পায়ে
বাগান বিলাস তলে দাঁড়ানো কিশোর,বোঝেনি
বাগান বিলাসে ওটা ফুল নয়,তবুও ছিঁড়েছিল
আঁজলা ভরে,কথা রাখ নি তুমি দ্বাদশ বালিকা।
দীর্ঘ অপেক্ষা শত্রু ডেকে আনে.....................
সপাং চাবুকের বাড়ি....আঃ
কথা ছিল সাথে যাবে,কাকভোরে বাড়ুজ্জ্যে বাড়ি,
তোমার নামে ফুল ছিঁড়ে দিতে হবে।
কিশোর বোঝেনি শিউলীরা ঝরে ঝরে পড়ে,
সাদা প্রাঙ্গণ মৌ মৌ করে,কেবলই কুড়োনো চাই।
রাশি রাশি শিউলী অস্পৃশ্য রয়,শিউলি এলো না।
দীর্ঘ নিরাবতা জ্বালা ডেকে আনে......................
সপাং চাবুকের বাড়ি....আঃ
পদ্মা পাড়ের সেই বাঁধের ওপর,সেই বাবলা তলে,
কাকচক্ষু স্ফটিক জলে আমাদের প্রতিবিম্ব,
দোহার,লীন,খাজুরাহো মূর্তির মত জড়িয়ে তুমি,
অবলীলায় বলে দিলে-গর্ভে তোমার আর জনের বীজ!
পলকহীন যুবক যেন বিশ্বাস পায়,তাই হাত ছোঁয়ালে
আর জনের বীজে ! আতংক আর অনাবিল খুশির
সেকি অজান্তিক সম্মিলন ! হতভম্ব যুবকের আরো
কাছে এলে তুমি,বলে দিলে-ভয় নেই চলে যাবে.....
অথচ তোমার কোল জুড়ে এলো আর জনের
রক্তাক্ত উত্তরাধীকার ! ভাগ হয়ে গেলে তুমি
তিন পাত্র ভাল বাসায়....আঃ সে কি কষ্ট...
সপাং চাবুকের বাড়ি......আঃ আঃ
আবার কুড়িটি বছর বাদে দুটি হাত মেলে দিলে,
এখানে ওখানে জেগে ওঠা শিরা, চোখের নিচে
গোধূলি মেঘ,ফ্যাকাসে চোখের ঘোলাটে তারা
ফেরাতে চায় কাকচক্ষু জলের হারানো ছবি।
ব্যাকুল চোখ যেন বলে-কত দিন এই শুষ্ক ঠোঁটে
চুম্বনের দাগ পড়েনি ! অকস্মাৎ ত্রস্থ হই আমি,
আজন্ম সঞ্চিত স্বপ্ন,চল্লিশ পেরুনো অতৃপ্ত কামনা
সব এলোমেলো করি,আবার সাজাই,আবার ভাঙি।
কুড়িটি বছর কী দীর্ঘ সময়,কুড়িটি শরৎ কী
ভিষণ শিউলী হীন,কুড়িটি বছর কী দীর্ঘ অপেক্ষা...
আঃ আবার সেই চাবুকের বাড়ি.......................
এখনো সামনে বাড়ানো তোমার হাত,কিছু চায়।
এখন আমি কি দিতে পারি?কি আছে আমার?
আছে। দীর্ঘ নিরবতায় খুঁজে বের করি........
এই আমার রাতঘুম,এই আমার দিগন্তব্যাপী হাহাকার,
এই আমার ফেলে আসা শেষ কুড়িটি বছর,এই
নাও পাঁজড়ের খাঁজে কুঁকড়ে থাকা প্রেম,
কালব্যাধি নিশ্বাস,ফাঁপা বাস্তবের খামে
তোবড়ানো ভবিষ্যৎ।সকল নৈবেদ্য সমাগত প্রায়..
উনিশ কিশোরী খিল খিল হেসে বলে-
মা তুমি কি এরই কথা ভেবে একা কুড়িটি বছর?
সপাং চাবুকের বাড়ি....আঃ আঃ আঃ
আজন্ম চাবুকের বাড়ি সারা শরীর ছুঁয়ে
বাতাসে মেলায়...আঃ আঃ আঃ কী পরম শান্তি !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।