তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
গ্রামে যতোদিন ছিলাম গৃহশিক্ষকের বেতের বাড়ি নিয়মিতই খেতে হতো। প্রথম প্রথম জায়গির শিক্ষক ছিলেন। উনাদের বেশিরভাগই হয়তো কোন ব্যাঙ্কের কর্মচারী। যেহেতু উনারা বাড়িতেই থাকতেন তাই দোষ্টমী করলেই সাথে সাথে শাস্তির ব্যবস্হা।
বিভিন্ন উপায়ে উনাদের আমরা মানে ছাত্ররা বিতাড়িত করতাম। শেষ পর্যন্ত জায়গির না রেখে শুধু সন্ধ্যায় পড়ানোর জন্য স্যার রাখা হয়। উনি এক হিসেবে আত্মীয় আবার যে স্কুলে পড়ি ওখানের শিক্ষক। মোটামুটি দিনের কর্মকান্ড রাতে উনি বেতের মাধ্যমেই জওয়াব দিতেন। শহুরে হওয়ার পর বেতের যন্ত্রনা কখনো পোহাতে হয়নি।
গ্রামের ঐ শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে বেতের বাড়ির সাথে বিভিন্ন রকমের প্রবাদ বলতেন। শুনতে শুনতে মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো। এর মধ্যে একটি ছিলো-এতোদিনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। যখন লেখাপড়ার কোন বিষয় অনেকক্ষন পর পারতাম তখন উনি এই কথাটাই বলতেন।
অফিসের মেইলে খুব কমই মেইল আসে।
অনেক ফিল্টার হওয়ার পর মেইলগুলো আমার পর্যন্ত আসে। তাই কোন মেইল আসলে বেশ রোমাঞ্চিত হই। গতকাল হঠাত লোটাসনোট নতুম মেইলের অটো সংকেত দিলো। ভাবলাম কি না কি। খুলে দেখি আমার ম্যানেজার আমার অনুপস্হিতি এপ্রোভ করেছেন।
মনে মনে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমি আবার কবে অনুপস্হিতের জন্য মেইল দিলাম। আরকাইভ খুলে দেখি গত তিন মাস আগের অনুপস্হিতির অনুমোদন। সাধারনত মাসে দুইদিন অনুপস্হিত থাকা যায় কোন কারন ছাড়াই। তবে ম্যানেজারের অনুমতি নিতে হয়।
অনুমতির জন্য অনলাইন ফরম পুরন করে পাঠালে উনি অনুমতি দিলে অটোমেটিক একটি মেইল আসে। অনুপস্হিত থাকলে অতিরিক্ত ঘন্টা থেকে কাটা যাবে। অতিরিক্ত না থাকলে ঘন্টা মাইনাস হবে। আমার সেই তিনমাস আগের অনুপস্হিতি উনি গতকাল অনুমোদন দিয়েছেন দেখে প্রবাদটা মনে পড়লো।
ঠান্ডা মোটামুটি এসে গেলো।
যে পার্কের ভেতর দিয়ে আসি সেখানে ঝরা পাতায় মোটামুটি সব সয়লাব। অনেকদিন পর কুয়াশা দেখলাম। নিজের ঠান্ডা লেগে ঠোট, জিহ্বায় অনেকগুলো খোশা উঠেছে। অফিস থেকে খুব সহজেই ছুটি পাওয়া যেতো। কিন্তু সামনে অনেক কাজ।
তাই আপাতত অসুখ নিয়েই অফিস করতে হচ্ছে। ভাইয়া শুনে কিছু ফ্রি উপদেশ দিয়ে দিলো। ভিটামিন সি খাতে হবে। মনে মনে বল্লাম- ভাবী ডাক্তার হইলেই কি তুমি এইরকম ফ্রি উপদেশ দিবে। আমিও কিছু জানি।
কিন্তু অলসতার জন্য কমলা, মালটা কিনতে ইচ্ছে করছে না। রোযা যাওয়ার পর এখনো কোন ফলের কাছাকাছি যাই নাই। আর ঠান্ডায় হাত দিয়ে খেতে ইচ্ছে করে না। ভাতও হাত দিয়ে খেতে ভালো লাগে না। কোনমতে চামচ দিয়ে কিছু পেঠে চালান করে দিলেই শান্তি।
আমি আর ছোটবোন বসে চিন্তা করি যদি না খেয়ে বাচার কোন পদ্ধতি আবিষ্কার হতো তাহলে কি মজাই হতো। ও সাথে সাথে বলে উঠে- যদি সব সময় পিজ্জা খাওয়া যেতো তাহলে কি মজা হতো। আমি বলি- তাহলে তুমি এতোদিনে একটা কলসী হতে।
বর্তমানে ক্রিকেট খেলা দেখার উত্তেজনা মোটামুটি নাই। যখন যেখানে যেমন।
এখন ফুটবল নিয়েই পড়ে থাকি। তারপরও মনের কোনে দেশের খেলাটার জন্য ওয়েবে ব্রাউজ করি। যদি জিতে যাই। ২/৪ বছর পর একটি ম্যাচ জিতে কি হবে? ক্রিকেটের অবস্হা কি শেষ পর্যন্ত ফুটবলের মতোই হবে? বাংলাদেশের ক্রিকেটে বর্তমান অবস্হা প্রবাদের মতোই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।