আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

SAVE LIGHT- SAVE EARTH

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ............

প্রাকৃতিক আলো ব্যাবহার করুন ++ঘরের দেয়ালটাকে ধূসর সাদা(Pale shades) রঙ করে নিন। অন্ধকার রুমে আয়না ব্যাবহার করুন, যা প্রাকৃতিক আলো প্রতিফলিত করবে। ++উজ্জ্বল রোদের দিনে আপনার ঘরের পর্দা এবং ব্লাইন্ড খুলে দিন যাতে করে বেশি করে আলো প্রবেশ করতে পারে। ++যদি আপনার ঘরটি অন্ধকার হয় তবে বড় জানালা লাগিয়ে নিন, জানালাগুলো চওড়া করে না বানিয়ে লম্বা করে তৈরি করান এতে বেশি আলো পাবেন। ++আপনার কাজের জায়গা যেমনঃ পড়ার টেবিল, কিচেন ইত্যাদি প্রাকৃতিক আলোর উৎসের কাছে রাখুন।

কোন ধরনের লাইট ব্যাবহার করবেন? ++প্রচলিত ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব ব্যাবহার করা কমিয়ে দিন। এই বাল্ব আলো জ্বালানোর চেয়ে তাপ উৎপাদন করতেই বেশি বিদ্যুত খরচ করে। যদিও এই বাল্ব অনেক কমদামে পাওয়া যায় তথাপি এটা কিন্তু ঘনঘন পরিবর্তন করতে হয়। শুধুমাত্র, যেসব জায়গায় আপনার তাৎক্ষণিক কিন্তু স্বল্পকালীণ আলো দরকার সেখানে এই ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব ব্যাবহার করতে পারেন। ++ যেখানে খুব উজ্জ্বল আলো দরকার (যেমনঃ কোন পেইন্টিং এ আলোর প্রতিফলন) সেখানে হ্যালোজেন বাল্ব ব্যাবহার করতে পারেন।

এটা প্রায় প্রাকৃতিক আলোর মতন উজ্জ্বল আলো দেয়। হ্যালোজেন বাল্বে বিদ্যুত খরচ বেশি হলেও সাধারণ বাল্বের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়। ++ফ্লুরুসেন্ট বাল্ব(যেমনঃ টিউব লাইট এবং এনার্জি সেভিং বাল্ব) ব্যাবহার করুন। ফ্লুরুসেন্ট বাল্ব সাধারণ ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব এর থেকে চারভাগ বিদ্যুত খরচ করে মাত্র অথচ ১৫ গুন বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। ++যেখনে দীর্ঘ সময় ধরে আলো দরকার, সেখানে ফ্লুরুসেন্ট লাইট বায়বহার করুন।

যেমনঃ আপনার লিভিং রুম বা কিচেন। ++পরবর্তিতে যখনই আপনার বৈদ্যুতিক বাল্ব পরিবর্তন এর প্রয়োজন হবে, চেষ্টা করুন ফ্লুরুসেন্ট বাল্ব কিনতে। এভাবে পর্যায়ক্রমে, আপনার সকল ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব পরিবর্তন করে ফেলুন। ++ ফিটিং ও লাইট আলাদা থাকে এমন টিউব লাইট কিনুন। ফলে পরিবর্তনের দরকার হলে শুধুমাত্র লাইট কিনলেই চলবে।

কৃত্রিম আলোর প্রকারভেদ লাইটের ধরণ ক্রয় মুল্য আয়ু-ঘন্টা বিদ্যুত খরচ ফ্লুরুসেন্ট- মধ্যম - ৬০০০-১৫০০০ - নিন্ম হ্যালোজেন - মধ্যম - ২০০০-৪০০০ - মধ্যম ইনক্যান্ডিসেন্ট - নিন্ম - ১০০০-২৫০০ - উচ্চ কিভাবে কম খরচ করে বেশি আলো পাবেন? ++ গ্রহনযোগ্য মানের ওয়াট সম্পন্ন বাতি ব্যাবহার করুন। বেশি ওয়াটের লাইট মানে বেশি বিদ্যুত ব্যয়। ++যখনই আপনি রুমের বাইরে যাবেন, তখনই আপনার লাইটের সুইচটা অফ করে দিতে ভুলবেন না। তবে লক্ষ্য রাখুন, ফ্লুরুসেন্ট টিউব লাইট বারবার অন-অফ করলে এর আয়ু কমে যায়। ++একাধিক বাল্ব ব্যাবহার না করে সমশক্তির একটি বাল্ব ব্যাবহার করুন।

যেমনঃ ২৫ ওয়াটের ৪টি বাল্ব ব্যাবহার না করে, ১০০ওয়াটের ১টি বাল্ব ব্যাবহার করুন। কারণ, ১০০ওয়াটের একটি বাল্বের সমপরিমান আলোর জন্য ৬টি ২৫ ওয়াটের বাল্ব প্রয়োজন। ++ এমন লাইট ফিটিং ব্যাবহার করবেন না যা আলোর প্রক্ষেপনে বাধাঁর সৃষ্টি করে। **প্রয়োজন শেষে আপনার লাইটের সুইচটা অফ করে রাখুন। এতে করে আপনি শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক বিলই কমাচ্ছেন না, পৃথীবির শক্তিও সঞ্চয় করছেন।

সাহায্য করছেন সবুজ পৃথীবি তৈরি করতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।