গফরগাঁও কে বিশ্বের মাঝে উপস্হাপন করতে চাই
পুত্র এরিককে ফিরে পেতে সাবেক স্বামী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদিশা। গতকাল এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিদিশা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ মাসে একটিবারের জন্যও আমি এরিককে দেখতে পাইনি। এমনকি তার সঙ্গে একবার কথা বলারও সুযোগ পাইনি। এরশাদ গায়ের জোরে আমার সন্তানকে আটকে রেখেছেন। মা হিসেবে ছেলেকে কাছে পাওয়ার জন্য যত ধরনের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন, সবই আমার কাছে আছে।
আমি নিশ্চিত-আদালতে গেলে এরশাদ ফেঁসে যাবেন।
বিদিশা বলেন, এরিকের জন্মদিন গেছে, তার সুন্নতে খত্না হয়েছে, একটি ঈদ গেলো, অথচ মা হিসেবে আমি ওর কোনো খোঁজখবর পাইনি। মা বেঁেচ থাকতে এরিক বড় হচ্ছে কাজের বুয়াদের কাছে। আমার প্রশ্ন-পৃথিবীর কোথাও কী এই নজির আছে! কোনো আইনেও কী তা বলে?
তিনি বলেন, আমার এই প্রতিবন্ধী ছেলের জীবনকে বিষাক্ত ও অপবিত্র করে তোলা হচ্ছে। ও ঠিকভাবে স্কুলে যাচ্ছে কি-না, লেখাপড়া করছে কি-না আমাকে কিছুই জানানো হচ্ছে না।
আমি নিজেও ওর স্কুলে যাই না। কারণ আমি গেলে এরশাদ হয়তো ওর স্কুল পরিবর্তন করে ফেলবে।
বিদিশার দাবি, এক সপ্তাহ পালা করে এরিককে কাছে রাখার জন্য এরশাদের সঙ্গে তার লিখিত সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এরশাদ তা ভঙ্গ করেছেন। আরো নানাভাবে তাকে ও এরিককে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এর সকল প্রমাণ তার হাতে। সকল ডক্যুমেন্ট তিনি আদালতে উপস্থাপন করবেন। তখন আদালতই রায় দেবে, কার কাছে থাকা এরিকের অধিকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিদিশা বলেন, আমি অবশ্যই গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। চলতি মাসেই আবার নির্বাচনি এলাকায় যাচ্ছি।
নির্বাচন কমিশনে যে ১ শতাংশ সমর্থকের সমর্থন সম্বলিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেটির কাজও চলছে। এলাকার ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। স্থানীয় উপজেলা জাপা নেতা বাদশা যে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এটা একটি হাস্যকর ঘটনা। কারণ ওই লোক আমাকে অবাঞ্ছিত করার কে? আসলে এসবের পেছনে এরশাদের হাত রয়েছে। কিন্তু এরশাদ সাহেব জানেন না যে, অন্য কাউকে অবাঞ্ছিত করার অধিকার সংবিধান কাউকে দেয়নি।
সাবেক একজন রাষ্ট্রপতি সংবিধান সম্পর্কে ধারণা রাখেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।
বিদিশা জানান, অন্যদের মতো ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে তার মনেও সংশয় রয়েছে। তারপরও জোড়াতালি মার্কা নির্বাচন হলেও তিনি তাতে অংশ নেবেন।
সুত্র :http://www.amadershomoy.com/online/content/2008/10/12/news0809.htm
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।