গফরগাঁও কে বিশ্বের মাঝে উপস্হাপন করতে চাই
ঢাকা, অক্টোবর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। উত্তরা থানার পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে পরোয়ানার কাগজে থাকা ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে মুজাহিদকে পায়নি।
উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক জ্বালানি সচিব নজরুল ইসলাম এবং পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক (খনি ও খনিজ) মঈনুল আহসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না থানায় আসার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। "
বড়পুকুরিয়া খনি দুর্নীতি মামলার ১৬ আসামির মধ্যে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী সাইফুর রহমান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ নয় জনকে বিরুদ্ধে সোমবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত। ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এই আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদেন আগামী ১২ অক্টোবর আদালতে জমা দিয়ে বলা হয়েছে।
এদের মধ্যে সাইফুর রহমান, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন এবং চীনা প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্র"পের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে জারি হওয়া পরোয়ানা মঙ্গলবার বিকেলে গুলশান থানায় পৌঁছেছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এদের পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, "খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মোয়াজ্জেম হোসেনের যে ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসেছে সে ঠিকানায় তিনি অনেক আগে থেকে থাকেন না। বাকি দুইজনের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। "
মামলায় গ্রেপ্তারি জারি হওয়া অন্যরা হলেন, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মতিউর রহমান নিজামী, এম কে আনোয়ার ও এম সামসুল ইসলাম এ মামলায় জামিনে থাকায় তাদের আগামী ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ একটি চীনা প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্র"য়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। গত রোববার সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সুত্র : Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।