মাহবুব লীলেন
গোটাকয় বই হাতে যখন যুদ্ধফের্তা এমআর আখতার মুকুল শাড়ি বাজারে বসে পড়েন তখন বন্ধুরা হায় হায় করে উঠে তার বুদ্ধি নাশের আশংকায়- কাপড় কিনতে এসে বই ছুঁয়েও দেখবে কেউ?
বইয়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে মুকুল হাসেন- দেখি না। শরীর গোছাতে আসা মানুষের হাতে মনের মসলাও উঠে কি না দুয়েকটা পাতা
মুকুলের সাহসে ভর করে বেইলি রোডে টিকে যায় সাগর পাবলিশার্স। বাড়ি ফিরবার পথে শাড়ি বাজারুরাও নিয়ে যেতে থাকে একটা দুটো বই। সেই ভরসায় বন্ধুদের হতবুদ্ধি করে দিয়ে আরো দুয়েকটা বইয়ের পসরা বসে যায় শাড়ি বাজারের উঠানের মুখে...
নব্বইর শুরুতে শাহবাগে ঝিমায় বাহার রহমান। কবিতা ও সাহিত্যের পরতে পরতে পড়া স্বপ্নহীনতার শ্যাওলা ঠেলে আজিজের তিন তলা থেকে দেখে পোশাকি নগরের চকচকে রং
বিধ্বস্ত বাহার ঝিমায় আর ভাবে।
ভাবে আর ঝিমায়। ঝিমাতে ঝিমাতে ভাঙা সাহসের নিত্য প্রকাশে তালা তুলে দিয়ে নিত্য উপহার খুলে টিশার্টে মুক্তিযুদ্ধ- রবীন্দ্রনাথ- পৌষ কিংবা মানচিত্র আঁঁকে। আঁকে আর তলে তলে হাসে- বাড়িতে এখন কিছু দাম পাওয়া যায়...
বাহার হাসে আর আজিজের ভাঁজে ভাঁজে হাটে। বইয়ের দোকানগুলো টপাটপ টিশার্ট ফতুয়া পাঞ্জাবি শাড়িতে ভরে উঠা দেখে। দেখে আর মিটিমিটি হাসে- সামর্থ্যটাই বড়ো কিছু না।
আইডিয়াটাই মূল...
নাগরিক মানুষের শরীরে উঠে আসে বাহারের রুচি- মানবতা কিংবা ইতিহাস। তবু ছাত্রীর বাধ্যতামূলক বিছানায় এখনও ভার্সিটি শিক্ষকের আদিম হওয়া দেখে কঁকিয়ে উঠেন চরমপত্রী মুকুল- শরীরে রং দিলি রে পোলাপান। মনে লাগতে দিলি না এক ফোটা রোদ... তাই রাজনীতির জমিন পিঁপড়ারে বন্দোবস্ত দিয়া রাস্তায় করা লাগে বিচির বিরুদ্ধে মিছিল...
২০০৮.০৯.১৯ শুক্রবার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।