আমরা ধর্ম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম তর্ক করি। ধর্ম নিয়ে লেখাগুলো আমি খুব মনযোগ দিয়ে পড়ি। সত্যি কথা বলতে অন্য যে কোন লেখার চেয়ে আমার ধর্মসংক্রান্ত লেখা পড়তে ভাল লাগে। আমরা আমাদের ধর্মীয় পরিচয় হিসেবে কেউ মুসলিম কেউ হিন্দু কেউ খ্রিষ্টান ইত্যাদি বলি। কিন্ত আমরা কি কেউ আমাদের ধর্ম নিজেদের ইচ্ছায় পছন্দ করেছি ? যে মুসলিম ঘরে জন্মেছে সে মুসলমান, যে হিন্দু ঘরে জন্মেছে সে হিন্দু হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে তো আমাদের সামনে কোন বিকল্প পথ দেয়া হয় না। ছোটবেলা থেকে সবাই বুঝিয়েছে যে তুমি এই ধর্মের লোক এই তোমার বিশ্বাস, এই ধর্ম সত্য, এই ধর্মগ্রন্থ সত্য। ধর্মগ্রন্থের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করা, আলোচনা করা মহাপাপ। চোখ বন্ধ করে শুধু বিশ্বাস করে যাও। আমার মতে প্রত্যেকটা মানুষকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কোন ধর্মের ব্যাপারে জোর করা উচিত না।
প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে মানুষ স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিবে যে সে কোন ধর্ম গ্রহন করবে বা কোন ধর্মকেই বিশ্বাস করবে কিনা। কেউ কেউ ধর্ম পরিবর্তন করে। আমার মনে হয় তাতে ওই ব্যক্তির গুনগত তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। কারন তার ধর্ম পরিবর্তন তার ছোটবেলা থেকে মগজ ধোলাইয়ের ফসল। তার চিন্তাভাবনা সবসময় ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর ভিতরেই ছিল।
এই বাইরে গিয়ে সে চিন্তা করেনি। আজ যে ইসলামের জন্য জীবন দিচ্ছে সে যদি হিন্দু পরিবারে জন্ম নিত তাহলে হিন্দু ধর্মের জন্য সে জীবন দিত। তারমানে হচ্ছে যার মগজ যে ধর্মের জন্য ধোলাই হচ্ছে সে সেই ধর্মের জন্য তারা যা খুশি করতে রাজী, ন্যায়-নীতি কোন বিষয় না তাদের কাছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।