আমি তরুণ। নিয়ম মানতে ভাল লাগেনা...
এইচ,এস,সি পরীক্ষা শেষ, ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টার সংশপ্তক'এ। লক্ষ্য করলাম, সবাই খুব হাসি খুশি। তবে একজন অন্যরকম। যাকে কখনও দেখিনি হাসতে, সে সব সময় গম্ভীর হয়ে থাকত।
মনে মনে ভাবতাম, সে বোধহয় হাসতেই জানেনা। এটা ভেবে আমি নিজেই আবার অবাক হতাম! খুব অবাক হতাম।
এভাবে সবার সাথে পরিচয় হতে-হতে কেঁটে গেল কয়েকটা দিন। একদিন জানতে পারলাম ওর নাম সিফাত। আচ্ছা! বলত এটা ছেলে না মেয়ের নাম? প্রশ্নটা করেছিল আমাদের লোক-প্রশাসন বিভাগের মনির স্যার।
আমরা সবাই বলেছিলাম অবশ্যই এটা ছেলের নাম। তোমরা শুনে হয়ত অবাক হবে এটা একটা মেয়ের নাম। যার কথা বলে আসছি আমি।
আজ আমার সব ধারনাকে ভূল প্রমানিত করে দিল ও।
আমি দাঁড়ানো ছিলাম সিড়ির সামনে।
দেখি সিফাত এদিকেই হেঁটে আসছে। ভাবলাম, ওর যে ডিমান্ড! ওর সাথে তো আর কথা বলা যাবেনা। তবে ওকে আজ সালাম দিব। দেখি ও কী করে? কেননা, এটাকে কেউ অন্যায় হিসেবে নিতে পারবেনা।
যেই ভাবা, সেই কাজ।
ও যখন আমার একেবারে কাছে চলে এলো, ওমনি আমি ওকে সালাম দিলাম। ও প্রথমে আমার দিকে তাকালো মুগ্ধ দৃষ্টিতে অতঃপর একটা ভূবন কাঁপানো (না,হৃদয় কাঁপানো!) হাসি দিয়ে সালামের উত্তর দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কেমন আছ? আমি যেন আকাশ,থেকে পরলাম। ওর উত্তরে আমি বললাম, ভালো, তুমি? ও বললো, আমিও ভালো। অতঃপর ও চলে গেল উপরে।
তবে যাবার সময় আমার মনে রেখে গেল এক অনাবিল আনন্দের ছোঁয়া।
আমি কখনো কল্পনায়ও ভাবতে পারিনি, ওর মত গম্ভীর এক মানুষ এত সুন্দর করে হাসতে পারে। আমার কাছে মনে হল, আমাবস্যার রাতে অথবা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে একটুকরো চাঁদ ভেসে উঠল।
সত্যিই ওর হাসি খুব, খু----ব সুন্দর। কিংবা অসম্ভব সুন্দর! ওর সে হাসিমাখা মুখটা আজও আমার চোখে চোখে ভাসে। ইচ্ছে করে, ঐ হাসিমাখা মুখটা আবার দেখি, বারবার দেখি।
আফসোস! ওকে এখনও বলা হয়নি, হাসিটা তোমার খুব সুন্দর। তাই মাঝে মাঝে নিজেকে খুব কৃপণ মনে হয়। আসলে আমি কি সত্যিই কৃপণ?
একটু প্রশংসা করলে আমার কী এমন তি হয়ে যেত! আমি যে কী না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।