একদিন ফজর নামাজের পর আম্মুর সাথে হাটতে বেরিয়েছি। শরৎকাল,খুব পরিষ্কার আকাশ। ভোরের পাখিগুলো কিচিরমিচির করছে। আমার কিন্তু মোটেও ভাল লাগছিল না। এত ভোরে কখনোই ঘুমকে ছুটি দিতে মন চায়না।
শুধুমাত্র আম্মুর চাপাচাপিতে হাটতে বের হওয়া। যাই হোক হাটতে হাটতে কলেজ রোডে চলে এলাম। এই ভোরে কলেজ রোডটা বড্ড নীরব। রাস্তার দুই ধারে উঁচু উঁচু ইউক্যালিপটাস গাছ। আর হঠাৎ হঠাৎ ভেসে আসে মৃদু মৃদু শিউলী ফুলের সুবাস।
মনটা ভাল হয়ে গেল হঠাৎ। পিচের কাল রাস্তা ধরে হাটছি আম্মু আর আমি.............সেই স্নিগ্ধ ভোরটা আমার জীবনে এত স্মরনী্য় একটা দিন হবে ভাবতেই পারিনি.............................. এবার আসল ঘটনায় আসা যাক...একটা ইউক্যালিপটাস গাছের গোড়ায় হঠাৎ চোখ পড়ল। দেখলাম নীল রঙের কী যেন চকচক করছে। ভাবলাম কী আর হবে, রাস্তায় তো কত কাগজ পড়ে থাকে,এটাও তাই। এই ভেবে চলেই আসছিলাম প্রায়।
কিন্তু কেন যেন বারবার সেই নীল রঙটা আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করছিল। লজ্জার মাথা খেয়ে,আম্মুর বকা উপেক্ষা করে অবশেষে গেলাম সেই নীলের কাছে। কাছে গিয়ে দেখলাম ওটা একটা ডায়েরী। একেবারে কাদায় মাখামাখি। বাসায় এনে ওটাকে পরিষ্কার করলাম।
আসলে ডায়েরীটা নীল রঙের ছিলনা,ওটা ছিল ম্যারুন...ডায়েরীটার একদম উপরে একটা নীল রঙের স্টিকার ছিল। ডায়েরীর কাভারটা অনেক সুন্দর আর ওয়াটার প্রূভ ছিল তাই ভেতরের লেখাগুলো নষ্ট হ্য়নি। অন্যের ডায়েরী অনুমতি ছাড়া পড়া নিষেধ কিন্তু এটাতো কুড়িয়ে পাওয়া তাই এটার মালিক এখন আমি। যাই হোক অতি উৎসাহে প্রথম পাতায় চোখ রাখলাম.......নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না....কী চমৎকার হাতের লেখা!!..............................চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।