রাজা মশাই তাহার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী, উজির, নাজির, পারিষদ, সভাসদ কূল নিয়া দরবারে বসিয়া রহিয়াছেন। নানাবিধ বিষয়ে আলাপ আলোচনা, খুনসুটি চলিতেছে।
হঠাৎ মহারাজা গম্ভীর কন্ঠে ঘোষনা করিলেন, "আমার একটা বিষয় জানিবার অভিপ্রায় হইতেছে। তোমরা আমার বিশিষ্ট পারিষদকূল। তোমাদিগের হস্তে আমার রাজ্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ন্যাস্ত।
রাজ্য রক্ষায় অকুতোভয় তোমরা।
এখন আমাকে কহ, তোমাদিগের মাঝে এমন কেহ কি আছে যে তাহার স্ত্রীকে ভয় পায়না? আমি অদ্য গনণা করিব। স্ত্রীকে ভয় পায় যাহারা তাহারা আমার দক্ষিনে আর যাহারা ভয় পায় না তাহারা বামে আসিয়া দাঁড়াও। "
মূহূর্তে পুরো সভা স্তব্ধ হইয়া গেল। কি করা যায়? এতো বেইজ্জতির ব্যপার! কিন্তু হাজার হোউক রাজা মশাইয়ের হুকুম; অমান্য করা বা মিথ্যা তো বলা যাইবেনা।
কিছুক্ষন সবাই দাঁতে ঠোঁট কামড়াইয়া অবনত মস্তকে খাড়াইয়া রহিল। অবশেষে শুরু হইল দল বিভাজনের পালা।
কিয়ৎক্ষন পরে দেখা গেল সকলেই রাজামশাইয়ের দক্ষিনে দন্ডায়মান। কেবলমাত্র একজন বামে অবস্থান করিল।
রাজামশাই ইহাতে যারপরনাই আশ্চার্যান্বিত হইয়া কহিলেন, "শুধু এক, শুধু একজন মাত্র ব্যক্তি রহিয়াছে আমার সভায়, যে স্ত্রীর ভয়ে ভীত নয়!!! কি আশ্চর্য এ দৃশ্য!!! হে সাহসী, আমার দিকে আগাইয়া আইস, তোমাকে পুরস্কৃত করিব, আইস।
"
তৎক্ষনাৎ বাম পাশে দন্ডায়মান ব্যক্তি কহিলেন, " জাহাঁপনা, আমার স্ত্রী আমাকে পই পই করিয়া বলিয়াছে, যেকানে অধিক জনসমাগম, আমি যেন সেখানে না যাই, আমার দক্ষিনে না দাঁড়াইবার উহাই কারণ। "
###কে বউরে সবচে' বেশী ডরায়?####
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।