সুখীমানুষ
ফসল কাটা হয়েছে শেষ, মাঠে নাড়া রয়েছে পড়ে।
কোথাও কোথাও মাটির ছোট স্তুপ করে
ইদুরেরা করেছে এদের প্রাসাদ।
শীতের আগমনী গাইছে ধূসর কুয়াসা, এরা ঢেকে
দিয়েছে দূরের গ্রামের কাছের আকাশ।
আমার নিরুদ্দেশ যাত্রার আপাত উদ্দেশ্য হচ্ছে
এই মাঠ পার হয়ে ওই গ্রামে গিয়ে এই পাশ দেখা।
আকাশে ওঠেছে চাঁদ, খোলা মাঠের মাঝে আমি
বিন্দুর মত রয়েছি দাড়িয়ে।
এই শীতের রাতেও
দেখি পাখী ওড়ে! এও দোকা নয়, একা পাখী।
আহারে, সেকি খুঁজে বেড়াচ্ছে, নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছে?
আমিও করেছি শুরু পথ চলা। আমার বড্ড তাড়া।
শীতের রাতের গোমতীও যে আমাকে দেখতে হবে। যেখানে চড়ের মধ্যে একা দাড়ায়ে আছে শিমুল গাছ,
যেখানে পড়ে রয়েছে আমার অনেক স্মৃতি, অনেক।
তার কাছে দাড়ায়ে দেখতে হবে শীতের রাতের
জোছনা-স্নাত নদী। দিতে হবে ডুব অতীতে।
ভিজে ওঠছে ঘাস, মাটিতেও পরেছে এর আভাস।
এ পথেই আমার যাত্রা, অতি সুখীমনুষের যাত্রা।
৩১-০৮-০৭, প্রেমবাগান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।