আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম বিডিওএসএন কোড স্প্রিন্ট ২০০৮ : স্বপ্নেরা মেলুক ডানা

চিন্তা করছি

ওমর শেহাব, দলনেতা, বিডিওএসএন কোড স্প্রিন্ট দল ভাবনাটা প্রথম জট পাকাতে শুরু করে সুবিনের মাথায়। সুবিন একটি নামকরা সফটওয়্যার কোম্পানীর ইন্জিনিয়ার। মাঝে মধ্যেই সে নানারকম বিচিত্র পরিকল্পনা করে আমাদের ভয় পাইয়ে দেয়। তবে এবার তার আইডিয়া বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের খুব পছন্দ হয়ে গেল। খুব সহজ সরল ব্যাপার।

আমরা ঢাকা থেকে কয়েকজন ইন্জিনিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। সেখানে কম্পিউটার কৌশলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে দল করে দুইদিনে প্রায় ২০ ঘন্টা টানা কাজ করে কিছু সফটওয়্যার তৈরির কাজ করব। কামনাশীষ, বিপুল, জাকারিয়া শুনে তো এক লাফে রাজি হয়ে গেল। তারপর আমরা ভাবা শুরু করলাম কি তৈরি করা যায়। যাই তৈরি করি না কেন, তারপর কিন্তু সে সফটওয়্যারের সবকিছু বিনাশর্তে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। এমন সময় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কিছু কথা মনে পড়ল। তিনি আমার সরাসরি শিক্ষক। আগেরবার সমাবর্তন উপলক্ষে গিয়ে তাঁর সাথে যখন দেখা হল, তিনি বার বার কম্পিউটারে বাংলায় লেখালেখির জন্য একটি সুবিধাজনক টুলের কথা বলেছিলেন। তাঁর শর্ত ছিল বেশ কয়েকটি।

প্রথমত: এটি সবধরনের প্ল্যাটফর্মে চলতে হবে। তারপর এর আকার হতে হবে খুব ছোট। এর কারণ যদি কারও বাংলা সাপোর্ট না থাকে, তবে যেন বাংলায় ইমেইল লিখে তার সাথে সেই সফটওয়্যারটিকেই এটাচমেন্ট হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এটাচমেন্ট যত ছোট হয় তত সুবিধা। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আস্তে আস্তে সফটওয়্যারের ধারণাটি পরিপূর্ণতা পেল। ঠিক করলাম মজিলা ফায়ারফক্স সফটওয়্যারটির জন্য একটি বাংলা টুলবার এক্সটেনশন তৈরি করব। এটি স্যারের শর্তগুলোর সাথে অনেকখানি মিলে যায়। মজিলা ফায়ারফক্স যেহেতু লিনাক্স ও উইন্ডোজ উভয় প্ল্যাটফর্মেই চলে, কাজেই আমাদের কোন ভয় নেই। আমাদের প্রস্তাবিত টুলটি মজিলা ফায়ারফক্সের একটি অংশ হিসেবেই কাজ করবে।

এভাবে তৈরি করলে টুলটির আকার ও খুব ছোট হবে। খুব নিখুঁত ভাবে করলেও এর আকার সহজে একশ কিলোবাইট অতিক্রম করবে না। যে কেউ এটাচমেন্ট হিসেবে এটিকে পছন্দ করবে! বাজারে এ মুহুর্তে বেশ কিছু চমৎকার বাংলা ইনপুট সিস্টেম পাওয়া যায়। যারা উইন্ডোজে কম্পিউটার চালান তাদের অনেকে অভ্র ব্যবহার করেন। ওমিক্রন ল্যাবের তৈরি এই বিখ্যাত সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ ভিত্তিক যে কোন সফটওয়্যারে বাংলা লিখতে সক্ষম।

তারপরও কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে যায়। এটি লিনাক্সে কাজ করে না। তার উপর ১০ মেগাবাইটের চেয়ে বেশি বড় হওয়ায় এর ইনস্টলার এটাচমেন্ট হিসেবে পাঠানো যায় না। লিনাক্সে বাংলা লেখার কাজটি বেশিরভাগ ক্ষেত্র করা হয় 'স্মার্ট কমন ইনপুট মেথড' নামে একটি সফটওয়্যার দিয়ে। যথারীতি এখানেও প্ল্যাটফর্ম কিংবা এটাচমেন্ট সাইজের সমস্যাগুলো পাওয়া যায়।

এছাড়া আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করার ক্ষেত্রে এর পরিচিতি বাড়ানো এবং সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করাও একটি বড় কাজ। যেমন ধরা যাক, এখন যদি কেউ খুব ভাল একটি বাংলা লেখার টুল তৈরি করে (যদি সেটা অভ্র কিংবা স্মার্ট কমন ইনপুট মেথড এর চেয়েও ভাল মানের হয়) তারপরেও তার জন্য একটা বড় কাজ হবে ইতমধ্যে যেসব ব্যবহারকারী অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন তাদের কাছে নতুন সফটওয়্যারটিকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এর খবর পৌঁছে দেয়া। সব মিলিয়ে দেখা যায়, একেবারে নতুন একটি সফটওয়্যারের পরিবর্তে যদি আমরা একটি জনপ্রিয় এপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে প্রোগামটি লিখি তবে এটি অল্প সময়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তারপর আমরা খোঁজ শুরু করলাম কোথায় প্রথম কোডস্প্রিন্ট আয়োজন করা যায়। ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা যেমন গৌরবের তেমনি এর আয়োজন করাটাও অনেক ঝক্কির।

প্রথম যে সমস্যায় পড়লাম তা হলো কোডস্প্রিন্ট কি, কি ধরনের প্রজেক্ট করতে হয়, কত সময় লাগতে পারে - এসব আমরা কিছুই জানতাম না! খোঁজ খবর নিয়ে ভয় আরো বেড়ে গেলো। অনেক কোডস্প্রিন্টেই নাকি মোট প্রজেক্টের অর্ধেক ও শেষ হয় না। তার উপর শেষ মুহুর্তে কামনাশীষের হলো জ্বর। সে যেতে পারলো না। আমার প্রজেক্টটি আমি এমন ভাবে পরিকল্পনা করছিলাম যাতে আমার দলের ছাত্রদের উপর খুব বেশি চাপ না পড়ে, আবার স্প্রিন্টের তুলনায় যেন খুব বেশি সহজ ও না হয়।

প্রজেক্টে কয়েকধরনের কাজ ছিল। কেউ যদি জাভাস্ক্রীপ্ট ল্যাংগুয়েজে দক্ষ হয়, সে এখানে করার মত প্রচুর কাজ পাবে। আবার কেউ যদি একেবারে আনকোরা নতুন টেকনলজি দু'দিনের প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও শিখার সাহস রাখে, তার জন্য ছিল এক্স.ইউ.এল. শিখে সেটিতে পরিপূর্ণ একটি টুল লিখার চ্যালেন্জ। আবার যার ম্যাপিঙে আগ্রহ তার জন্য আছে বিভিন্ন লেআউটের সাপোর্ট তৈরির কাজ। সৌভাগ্যক্রমে আমার দলে সব ধরণের কাজের জন্যই কাউকে না কাউকে উৎসাহী পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় আমরা ক্যাম্পাসে গেলাম। শবে বরাতের বন্ধে কাউকে আদৌ পাওয়া যাবে কিনা সে শংকা ছিল। কিন্তু মৃণালের আয়োজন দেখে সব দুশ্চিন্তা উবে গেল। সি.এস.ই. বিভাগের অ্যাকাডেমিক সোসাইটির এই তুখোড় সাধারণ সম্পাদক এর আগেও আমাদের সাথে কাজ করেছে। তার উপর আমাদের বিশ্বাস ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল কোডস্প্রিন্ট ল্যাবেই। প্রথমে বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান কোডস্প্রিন্টের উদ্দেশ্য ও তার পরিকল্পনা নিয়ে সবাইকে ধারণা দিলেন। তারপর আমরা চারজন দলনেতা নিজ নিজ প্রজেক্ট সম্পর্কে ধারণা দিলাম। শুরু হল দল গঠন। আগে থেকে ডিপার্টমেন্টে নোটিশ দেয়া থাকায় ছেলেমেয়েরা মানসিকভাবে তৈরি ছিল।

প্রতি দলে ৫/৬ জন করে আগ্রহী শিক্ষার্থী নেয়া হল। তারপর বিভাগের প্রভাষক খন্দকার এন্তেনাম উনায়েস আহমদ তানভীর প্রথমে বিডিওএসএন কোডস্প্রিন্ট ২০০৮ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলেন। আমি আমার দল নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। প্রথমেই একটা টেকনিক্যাল মিটিং। সত্যিকারের সফটওয়্যার কোম্পানীতে কিভাবে একটি মান সম্মত সফটওয়্যার তৈরি করে তার পুরো প্রক্রিয়াটি ওদের বললাম।

সেলস টিম আর প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিমের স্বপ্ন কিভাবে ইন্জিনিয়ারিং আর কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স টিমের হাতে বাস্তব রুপ লাভ করে এ ব্যাপারে তারা বইয়ের নিরস বাক্যগুলোর কিছু বাস্তব উদাহরণ জানতে পারল। সফটওয়্যার তৈরির এই আনুষ্ঠানিক রীতির সাথে পরিচয় থাকলে আমাদের নিজেদের কাজের পদ্ধতিকতটুকু মানসম্মত হচ্ছে তা আমার দলের ছাত্ররা সহজে বুঝতে পারবে। এরপর আমরা কাজ ভাগ করে নিলাম। চিশতী আর বোরহান অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এক্স.ইউ.এল. কন্ট্রোল নিয়ে আমার সাথে আলাপ করেছিল। ভাবলাম ইউজার ইন্টারফেস তৈরির কাজটা ওদেরই দেয়া যায়।

যে আগ্রহ নিয়ে ওরা ঝাঁপিয়ে পড়ল, তা দেখে কে বলবে ওরা এর আগে এই ল্যাংগুয়েজ নিয়ে কোন কাজ করেনি? শুরুতে কত ঝামেলা! কিভাবে ইউ. আই. কন্ট্রোল যোগ করতে হয় সেটা তো পরে, - এই প্ল্যাটফর্মই যে কেউ জানেনা! একটু পরে চিশতী কে বললাম অপু আর সাবিলাকে নিয়ে ম্যাপিঙ টিমে কাজ করতে। রাবুন আর মিজান বসল কিভাবে প্রশিকার লে আউট আমাদের টুলে যোগ করা যায় সেটা বের করতে। এদের কাজ ভাগ করতে করতে দেখলাম বোরহান নিজের মাথার চুল ধরে টানাটানি করছে। তাই ওকে সাহায্য করতে বসে পড়লাম। চিশতী পড়ল মজার সমস্যায়।

ম্যাপিঙ মডিউল ঠিক মতো কাজ করছে কিনা সে টেস্ট কিভাবে করবে? কোন রকম বাংলা লে আউটেই সে টাইপ করতে পারেনা। বেচারা ইন্টারনেট এ ঘুরে ঘুরে লে আউটগুলো প্রিন্ট করল। দুই শব্দ টাইপ করতেই কি বোর্ড ভেঙে ফেলে আর কী। এর মধ্যে দেখলাম পিচ্চি একটা ছেলে আমাদের ঘাড়ের উপর দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম - নাম বলল ফারসীম, মাত্র দ্বিতীয় বর্ষে উঠেছে।

আর যায় কোথায় - ওকে ও দলে নিয়ে অন্যদের সাথে বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে যত কষ্টই হোক, যত ঝামেলাই হোক টেকনিক্যাল টিম মিটিঙ আমরা নিয়মিত করেছি। এতে একটা লাভ হয়েছে। সব সময় তো কম্পিউটারে ঘাড় গুঁজে সবাই কাজ করছে - কেউ কারো দিকে তাকানোর ফুরসত পায়নি। টংয়ে চা পানের ফাঁকে ফাঁকে একজন আরেকজনের সমস্যা সম্পর্কে জেনেছে, পরামর্শও দিয়েছে।

এতে করে কেউ এটা ভাবেনি যে সে ছাড়া অন্যরা বসে আছে। প্রত্যেকে বুঝেছে প্রজেক্টে তার মতো অন্য সবার অবদানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিন মাঝে মধ্যেই চলল সাইডটক। এই অংশটি ছিল বেশ মজার। আমরা বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিলাম।

তারা জানল আমরা কি কি টেকনলজি নিয়ে কাজ করি, মান বজায় রাখার জন্য কি ব্যবস্থা নেই, টিমওয়ার্ক বলতে আসলে কি বুঝায় এইসব। প্রচুর প্রশ্ন পেলাম আমরা, সাধ্যমত তার উত্তর দেবারও চেষ্টা করলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম সম্পূর্ণ প্রজেক্টের সবগুলো মডিউলে ন্যূনতম হলেও কাজ করব। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ম্যাপ এর ক্ষেত্রে ঠিক করেছিলাম অন্তত যদি আমাদের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক প্রবর্তিত জাতীয় কী বোর্ড লে আউটের সাপোর্ট দিতে না পারি কোডস্প্রিন্ট এর জন্য একে সম্পূর্ণ মনে করবো না।

একই ভাবে ইউ. আই. কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে আমরা ঠিক করেছিলাম সবচেয়ে সরল উপায়ে অর্থাত অন্তত একটি বাটন থাকবে টুলবারে যার মাধ্যমে বাংলা সাপোর্ট অন বা অফ করা যাবে। প্রথমদিনের শেষে ন্যাশনাল কী বোর্ডের সাপোর্টের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এল। বাকি রইল কেবল যুক্তাক্ষর। এদিকে এক্স. ইউ. এল. বাটনও প্রথম দিনেই বসানো গেল কিন্তু সেখান থেকে যেকোন জাভাস্ক্রীপ্ট এলগরিদম ট্যাব নির্বিশেষে কাজ করবে সেটা আর করা গেল না। প্রশিকার লে আউটের কাজ ও প্রথমদিনে প্রায় শেষ হয়ে এল।

দ্বিতীয় দিন ল্যাবে এসে দেখি সবার চোখমুখ শুকনো। আমি সবাইকে নিয়ে মিটিং এ বসে দেখি আমাদের বেশ ভালোই অগ্রগতি হয়েছে। সবাই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। দ্বিতীয় দিনের মূল চ্যালেন্জ ছিল আগের দিনের তৈরি এক্স.ইউ.এল. কন্ট্রোল থেকে ম্যাপিঙ মডিউলটি নিয়ন্ত্রণ করা। প্রতি মুহুর্তেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শেষ কোথায়! একটার পর একটা নতুন সমস্যা আসতেই থাকল। একসময় আমাদের টুলটি যে কোন একটি এইচ.টি.এম.এল. ফর্মে প্রথমবারের মত বাংলা ইনপুট নিতে শুরু করল। কিন্তু একী! কিছু তো দেখায় না! পরে আবিষ্কার করলাম সাবমিট বাটনের ক্যাপশন পরিবর্তিত হয়ে সেখানে কিছু একটা বাংলা দেখা যাচ্ছে। বুঝলাম আমাদের তরী তীরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। দ্বিগুণ উৎসাহে সবাই সমস্যাটা খুজেঁ বের করার চেষ্টা শুরু করল।

অবশেষে নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পরে রাত আটটায় আমরা এইচ.টি.এম.এল. পেইজে বাংলা টাইপ শুরু করতে পারলাম। তখন আমি সবাইকে বললাম এ জিনিসটিই পরদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে দেখানো হবে। এখন শুধু টুকটাক ত্রুটি সারানো হবে। পরে আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের প্রজেক্টের কাজ স্থগিত করলাম। তারপর সবকিছু গুছিয়ে যখন কম্পিউটারের টুলটি কাজ করা অবস্থায় এর সাথে পুরো টিম ছবি তুলতে যাব, দুম করে বিদ্যুৎ চলে গেল।

কি আর করা! সবাই বাসায় চলে আসলাম। সে রাতটা বেশ ভাল ঘুম হয়েছিল। সবার মধ্যেই এ অনুভূতি ছিল যে 'আমরা পেরেছি'! অনুষ্ঠানের আগে আমরা শেষবারের মত মিটিং করে ঠিক করে নিলাম কে কোন অংশটি দেখাবো। প্রদর্শনীটি ভালোই হয়েছিল। এক একজন সদস্য এসে বর্ণনা করল সে কি কাজ করেছে, কি কি ঝামেলায় পড়েছিল, তার কতটুকু মেটানো গেছে ইত্যাদি।

বিডিওএসএন এর কোডস্প্রিন্ট এত বেশি সফল হয়েছে যে আমরা সবসময় চিন্তা করেছি, কেন এটি আরো আগে শুরু করলাম না। এত অল্প সময়ে এত কাজের চারটি সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেল, ছাত্রছাত্রীরা এত কিছু শিখল অথচ সে তুলনায় আয়োজনের কষ্ট অনেক কমই। সে জন্য ধন্যবাদ শা.বি.প্র.বি.'র সি.এস.ই. বিভাগকে। যখনই আমরা নতুন কিছু শুরু করতে চেয়েছি ল্যাব আর অন্যান্য সুবিধা দিয়ে তারা আমাদের পাশে এসে দাড়িঁয়েছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমাদের সফটওয়্যারটিতে এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে। প্রথমত প্রচলিত সবগুলো লে আউটের সাপোর্ট যোগ করতে হবে। বাটনে একটি মেনু যোগ করে তাতে অপশন বাড়াতে হবে। একটি ভালো আইকন ও দরকার। সফটওয়্যারটি ফায়ারফক্সের সব সংস্করণে চলে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

আমরা এখনও কাজ করছি। তারপরও খুব বেশি কাজ জমে গেলে আগামী কোডস্প্রিন্ট তো রয়েছেই!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।