অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
পৃথিবীটা বিয়াপক আমোদের জায়গা, মাঝে মাঝে দুনিয়া দেখে এমনটাই মনে হয়।
কত পদের মানুষ আর কতপদের অনুভব, কত অনুভাবনা, কত সংঘর্ষ, কত সমঝোতা, কিন্তু রাতের বালিশে ঠিকই একই মৃত্যুভয় চেপে ঘুমানো। খাওয়া বসা ঘুম, রতিক্রিয়া- প্রাত্যকৃত্য করে আচামন একই পানিতে।
অবশ্য পানি কিংবা জল যে পাত্রেই যাক না কেনো পানীয় জলের চরিত্র বদলায় না। তবে দীর্ঘ সময়ে খোলা পাত্রে রাখাও ঠিক না, হয় পচে যায় কিংবা ডেঙ্গু মশার চাষাবাদ হয়।
সুতরাং রেখে ঢেকে চেপেচুপে রাখাটাই দস্তুর।
আমাদের অন্তর্জালিক যোগাযোগের জায়গাটাতে কিছু ভালো জিনিষ আছেই। অনেক ন্যাংটো মেয়ের ছবি মিনিমাংনা পাওয়া যায় ,তারা একই ঠিকানায় পাশাপাশি বসবাস করে, কিন্তু কারো সাথে কারো ছোঁয়াও লাগে না, কি বলে ওটাকে ডেজিগনেশন আলাদা। কিন্তু সেই একই জগতে ঘোরাঘুরি করা মানুষের মনোমালিন্য স্বাভাবিক।
ক্ষমতা বলয় এবং রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখা কিংবা নতুন ঘাঁটি দখল করে নিজের ভাবনার বীর্য রেখে আসা, কোনো দিন উর্বর ভাবনায় হয়তো নতুন দর্শণ ফলবে।
রাজনৈতিক প্রভাব এবং দখলের রাজনৈতিক রুপটা বাস্তবের ভুমি থেকে উঠে সরাসরি ঢুকে পড়েছে অন্তর্জালে। সেখানেও একই দখল সংস্কৃতি কাজ করে, সম্মিলিত চাপে পেরেশান করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে, তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টা নেহায়েত নিজেদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা জগতের কাছে।
অন্তর্জালে আরও অনেক ভালো বিষয়ের ভেতরে রয়েছে শিক্ষা উপকরণের সহজপ্রাপ্যতা, যদিও বাংলাদেশে থেকে অনেক উপকরণই পাওয়া সহজ নয়, তবে বাংলাদেশে থেকে দুটো জায়গা ফ্রি যাওয়া যায়, ফেইথফ্রিডম আর উইকিপিডিয়া। এই দুই জ্ঞানভান্ডারে সিক্ত মনীষিদের যন্ত্রনায় অস্থির হতে হয় সময় সময়।
তারা অন্তঃসারবিহীন প্রবন্ধ ফেঁদে বসে, মাঝে মাঝেই সম্পাদনার চাপে ভুল কিছু চলে আসে, তবে মনীষিদের জ্ঞানে রস নেই, প্রাণ নেই, প্রণোদনা নেই।
নিস্প্রাণ একটা খোলস ধরে রাখা, আঁটোসাঁটো পোশাকের যন্ত্রনা চেপে স্মিতহাসি ।
মানুষের রকমফের অনেক রকম হতে পারে ,তবে কিছু কিছু উদাহরণ এমনও হয়, ধরা যাক কোথাও ছাগলের কথা চলছে, সে নিজেই গলায় রশি বেঁধে কাঠাল গাছের তলায় ঘাঁটি গাড়বে আর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে। আবার যদি বলা হয় অন্য কোনো ছাগলের প্রসঙ্গে আলোচনা করছি তবে মনোকষ্টে ভুগবে।
চৈতন্যোদয় হওয়া সম্ভব নয়, সব সময়ই চৈতন্য দেব হুঁশে থাকে না, কৃষ্ণপ্রেমে মদির হয়ে তিনি সর্বদা ডোমের চত্তরে পা রাখেন, এবং এর পরেই আবার সম্বিত ফিরে পেলে তিনি সার্ফে পা কেচে রোদ্দুরে শুকাতে দেন, সুশীল চৈতন্য আরও ভয়ঙ্কর, অবশ্য সুশীলতা আমার কাছে সার্কাসের ট্রপিজের মতো ভারসাম্য রক্ষার দুরহ কৌশল মনে হয়। ভারকেন্দ্র, অভিমুখ, অভিলক্ষ এবং নিবির নিবিষ্ট মনোযোগ লাগে।
রামকৃষ্ণের মতো জলে ভাসা হাঁস হয়ে থাকা সুশীলের নিয়তি। অনেক নৌকায় পা রেখে সবগুলো নৌকাকে টালমাটাল না করে নির্বিঘ্নে জলপারাপার কৌশল সহজে সম্ভব না, তবে চেষ্টা করলেই নির্বিকারত্ব অর্জন সম্ভব। কিন্তু সুশীল আধুনিক হয়ে উঠা আরও কঠিন কাজ। আধুনিক হয়ে উঠবার প্রথম শর্ত সুশীলতা ভঙ্গ করা, যে অর্থে সুশীলতা সমাজমান্যতা চায় সে অর্থে আধুনিক সমাজকৃষ্টিমান্যতাকে অস্বীকার করে।
তাই বাংলাদেশে সুশীলতার অশালীন বাঁদরামি চোখে পড়ে, গোত্র এবং উপগোত্র, দল উপদল, দলীয় এবং উপদলীয় কোন্দল চোখে পড়ে, এবং সবাই সবার পিঠ চুলকে দিতে চায়।
ফুলস্লীভের শার্ট পড়া মান্য সুশীলের শার্টের হাতা সময়ে সময়ে উপরে উঠে গেলে চোখে পড়ে আঁচড়ের দাগ। সামাজিক সুশীলের চরিত্র উপলব্ধি করাই কঠিন, কে কখন কার পিঠ চুলকায় আর কে কখন কাকে খামচি দেয় বলা কঠিন। তাই যখন সুশীল নিজের উত্তরীয় খুলে অন্তর্বাসের অন্তর্গত হয়ে নিজের সহজ জীবন যাপনে প্রবেশ করে, যখন তার উপরের আবরন খসে যায় তখনই তার শরীর জুড়ে দেখা যায় খোঁস পাচড়া আর আঁচরের দাগ, সেও ম্যানিকিউর করা নখের পরিচ্ছদ খুলে ফেলে শ্বাপদের নখর লাগায়, তারপর প্রাণপণে আঁচরাতে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।