::::: দেখবো এবার জগতটাকে :::::
ইফতারির পরের সময়ে সন্ধ্যাটা প্রচন্ড ক্লান্তির থাকে। আমার বাসায় লোকজন সবাই অবাক। আমি রোজা আছি। নাস্তিক হিসাবে আমার অলরেডি নাম হয়ে গেছে বাসায় কিংবা বন্ধু বান্ধবের কাছে। ধার্মিক বন্ধুরা অহরহ হুমকি ধামকি দেয়, কবে যেন কতল করে দেয়।
যদিও আমার সন্দেহ আমাকে নাস্তিক বলা যায় কি না? আমি ধার্মিক না, কিন্তু নিজের ধর্ম সহ সব ধর্মের লোকজনকে শ্রদ্ধা করি। ধর্ম তো একটা বিষয় ধর্মকে না করে ধার্মিক দের শ্রদ্ধা করাই উচিত।
ইফতারিতে হালিম ছাড়া সবসময় অসম্পুর্ন লাগে। একগামলা হালিম খেলে শরীরে কেমন জানি একটা জড়া কাজ করতে থাকে। সেরকম লাগছে।
আরো অনেকক্ষণ এই অনুভুতিটা থাকবে। রোজার মাসে নিঃসন্দেহে সবচে বড় কষ্ট সিগারেট। তাই যত ক্লান্তিই থাক শরীর টাকে টেনে হিচরে ছাদের কোনায় নিয়ে গেলাম। পর পর দুইটা সিগারেট খেয়েও শান্তি হলোনা। আরেকটা খেতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
কিন্তু প্যাকেট গড়ের মাঠ। ছাদের পিলারের হেলান দিলে খালি নিচে লাফ দিতে ইচ্ছা করে। এটা কি মানুষের ধর্ম? সব মানুষেরই কি অবচেতন মনে আত্মহত্যার একটা প্রবনতা কাজ করে? কে জানে। আমি জোড় করে চোখ দুটাকে নিচ থেকে উপরে উঠিয়ে দিলাম। আকাশে মেঘ।
উত্তর আকাশে ধুকপুক করে জ্বলছে শুকতারা। ধুকপুক করে জ্বলা শব্দটা কি ঠিক হলো? এটা কবিদের জন্যে হয়তো হালাল। ধকধক করে জ্বলে আগুনের শিখা, আর ধুকপুক করে জ্বলে নিভু নিভু কিছু। কবিতা লিখতে পারি যদি কোন দিন তাহলে এতা ব্যাবহার করতে হবে। ধুকপুক করে জ্বলছে শুকতারা।
কষ্টের মত। আমি মাথা ঘুড়িয়ে তারা দেখার চেষ্টা করলাম। প্রমিনেন্ট কোন নক্ষত্র মন্ডলীকে খুজে পেলাম না। সপ্তর্ষী, কাল পুরুষ, ভেগা, লায়ন, ড্রাগন কিচ্ছু নেই। ঢাকার আকাশে তারা দেখা অনেক ঝামেলা।
বান্দারবান তারা দেখার জন্যে এক নাম্বার, আকাশে এত কোটি কোটি তারা দেখা যায়। অবশ্য তারার আধিক্যে এক্টাকেও চেনা যায় না। তারা চেনার জন্যে মফঃশ্বল শহর কিংবা গ্রাম ভালো। আর সাগরের পার। সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও অবশ্য বান্দারবানের মত এত তারা, প্রিয়জনের মতই প্রিয় তারাদের খুজে পাওয়া যায়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।