ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না 1. যদি বিডি থেকে এ্যাম্বাসীর মাধ্যমে CSC বৃত্তির জন্য আবেদন করেন- ক. বিশ্ববিদ্যালয়: ফরমে আপনার দেয়া ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হতেও পারে... নাও পারে, এক্ষেত্রে csc ঠিক করে.. কাকে কোনটাতে দিবে খ. সাবজেক্ট: আপনার choose করা বিষয়ে হতে পারে আবার হুবহু ঐ বিষয়ে নাও হতে পারে, আংশিক চেঞ্চ হতে পারে যেমন- কেউ MBA দিছে কিন্তু তাকে international trade দিতে পারে গ. শিক্ষা মাধ্যম: যদি ব্যাচেলর হয় তাহলে আর কোন কথা নাইক্কা সোজা চাইনিজ মিডিয়াম. masters' এর ক্ষেত্রে উভয়ই আছে, যদি চাইনিজ মিডিয়াম হয় তাহলে ১ বছর শুধু চীনা ভাষা পড়তে হয় এরপর major এর পড়া কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম হয় সেক্ষেত্রে ১ম সেমিস্টারে major এর পাশাপাশি সপ্তাহে ২/৩ টা করে চীনা ভাষার উপর ক্লাস থাকে . ঘ. থিছিছ সুপারভাইজর: কার আন্ডারে যাচ্ছেন কিংবা কোন বিষয়ে থিছিছ করবেন এব্যাপারে আপনার কোন ধারনাই থাকবে না. চীনে আসার পর varsity ঠিক করে দিবে কে হবে supervisor. এক্ষেত্রে সমস্যা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের ঙ. ব্যাচেলরদের চীনা ভাষা শেখা: ১ বছর শুধু চীনা ভাষা পড়তে হয় এরপর major এর পড়া. প্রথম বছর ভাষা শেখা শেষে HSK-4 পাস করতে হয় যার সিলেবাসে ১২০০ character আছে. এরপর গ্র্যাজুয়েশন শেষে certificate পাওয়ার কনডিশন অবশ্যই HSK-5 পাস করতে হবে যার সিলেবাসে 2500 character আছে . চ. Allowance: বেইজিংয়ে পোঁছার সাথে সাথেই হাতে ১৫০০ ইউয়ান ধরিয়ে দিবে যা এককালীন থোক বরাদ্দ. এছাড়া মাসিক বৃত্তি যা দেয় তা নিজে চলার জন্য যথেষ্ট, অনেকেই এই টাকা থেকে কিছু সঞ্চয় করে বাড়িতে পাঠায়. মেডিকেল ইনসুরেন্স থাকায় চিকিৎসা নিয়ে নো টেনশন একসেপ্ট চোখ ও দঁতের সমস্যা ছাড়া. ছ. বিমান ভাড়াসহ যাতায়াত খরচ: সব চীনা সরকারের ...নো টেনশন, গ্র্যাজুয়েশন শেষে বিডি ফেরার খরচও ওদের. 2. যদি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে CSC/ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বৃত্তির জন্য আবেদন করেন- ক. বিশ্ববিদ্যালয়: কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা নিয়ে টেনশন নাই. খ. সাবজেক্ট: নো টেনশন গ. শিক্ষা মাধ্যম: ১(গ) দ্রষ্টব্য ঘ. থিছিছ সুপারভাইজর: নো টেনশন ঙ. ব্যাচেলরদের চীনা ভাষা শেখা: ১(ঙ) দ্রষ্টব্য চ. Allowance: মাসিক বৃত্তি ১(চ) এর মতই ছ. বিমান ভাড়াসহ যাতায়াত খরচ: বিমান সহ যাতায়াত খরচ নিজের. ৩. ১ বছরের জন্য ল্যাংগুয়েজ: CSC/কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে যারা শুধু ১ বছরের জন্য ল্যাংগুয়েজ করতে আসে - ক. বিশ্ববিদ্যালয়: ফরমে আপনার দেয়া ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হতেও পারে... নাও পারে, এক্ষেত্রে csc/কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ঠিক করে.. কাকে কোনটাতে দিবে. খ. Allowance: CSC এর অধীনে হলে বেইজিংয়ে পোঁছার সাথে সাথেই হাতে ১৫০০ ইউয়ান ধরিয়ে দিবে যা এককালীন থোক বরাদ্দ. এছাড়া মাসিক বৃত্তি ১৪০০ ইউয়ান যা দেয় তা নিজে চলার জন্য যথেষ্ট, মেডিকেল ইনসুরেন্স থাকায় চিকিৎসা নিয়ে নো টেনশন একসেপ্ট চোখ ও দঁতের সমস্যা ছাড়া. গ. বিমান ভাড়াসহ যাতায়াত খরচ: CSC এর অধীনে হলে সব চীনা সরকারের কিন্তু কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট অধীনে হলে বিমান সহ যাতায়াত খরচ নিজের. চীনে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তে আসতে IELTS/TOEFL এসব কিছু লাগে না.... সে যে বিষয়ই হোক মেডিকেল/ইঞ্জিনিয়ারিং. এবার একটা মজার তথ্য দেই- আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি এখানে এক ভিয়েতনামিজ ছাত্র আছে যে তার দেশে ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা শেষ করে এখানে এম.এস.সি করছে. ঐ ছেলে আমাকে বলে আমি ক্লাসে কিছুই বুঝি না, মাথা খালি ঘুরায়! আরও দুই আলজেরিয়ানকে দেখেছি যারা তাদের দেশে পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করে এখানে এম.এস.সি করছে. আচ্ছা যান আরও একটা মজার তথ্য দেই- যারা এক্সচেঞ্চ স্টুডেন্ট/ সেলফ্ ফাইনান্স এদের অনেকেই ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্চ করে ভিন্ন বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারে যেমন কেউ হয়ত ইন্টারমিডিয়েটে কলা/ব্যবসা অনুষদে ছিল এখানে ব্যাচেলর করছে বিজ্ঞান রিলেটেড কিছুতে, এক্সচেঞ্চ স্টুডেন্ট- দেশে হয়ত দেড় বছর পড়েছে ফুড টেকনোলজির উপর এখানে এসে চেঞ্চ করে বাকি আড়াই বছর পড়ছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর. আমি আরও একজনকে দেখেছি সে নিজ দেশে ব্যাচেলর করেছে ফিজিক্স এন্ড ইলেকট্রনিক্সের উপর আর এখন চীনা সরকারের বৃত্তি নিয়ে এম.এস.সি করছে মেকানিক্যালে. আমার কাছে এজন্যই মনে হয়- সব সম্ভবের দেশ চীন. এ্যাম্বাসীর মাধ্যমে CSC বৃত্তির জন্য আবেদন- সাধারনত সিলেকটেড স্টুডেন্টদের নাম জুলাই মাসে CSC ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়. এরপর এ্যাম্বাসীর পক্ষ থেকে একটা সময় বলে দেওয়া হয় ঐ হিসেবে varsity‘র admission notice, china education ministry'র দেওয়া papers সংগ্রহ করতে হয় embassy তে সশরীরে উপস্হিত হয়ে কারন স্বাক্ষর নেয়. তখনই আরও একটা কাজ করে বিমান টিকেট বুকিংয়ের জন্য ১০০০ টাকা জামানত নেয় যে টাকাটা পরে ফেরত দিয়ে দেয়. VISA'র জন্য আবেদন করতে passport, varsity‘র admission notice, china education ministry'র দেওয়া papers এবং medical report জমা দিতে হয়, সেই সঙ্গে ভিসা ফি. নরমাল ভিসা ৭ দিন পরেই দেয় এবং ঐ ভিসার মেয়াদ ২ মাস. এই সময়ের মধ্যে চীনে এসে পুনরায় ভিসা নিতে হয়. china eastern airlines এর টিকেটের ব্যবস্হা করে তারা যেটাতে ২০ কেজি মালামাল লাগেজে দেওয়া যায় এবং দুজনেরটা একসাথে ওজন করে যা ৪০ কেজি. এছাড়া হাতে নিজের ইচ্ছামত নিয়ে প্লেনে ঢুকে মাথার উপর বাক্সের মধ্যে রাখা যায়. আমাদের দেশে passport সাইজ photo'র ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা/ নীল যে কোনটা হলেই চলে কিন্তু চীনে অবশ্যই সাদা অন্য কালার গ্রহণযোগ্য নয়. বিডি থেকেই pp/stamp উভয় সাইজই করে আনবেন কেননা চীনে ফটো তোলার খরচ অনেক বেশি. আমাকে একটা ফটোর জন্য 24 yuan গচ্চা দিতে হয়েছে কারন ব্যাকগ্রাউন্ড নীল ছিল. আরো বিস্তারিত: View this link এবং View this link Click This Link কমন্টসহ পোষ্ট দেখুন এছাড়াও এই পেজে ঢুঁ মারতে পারেন View this link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।