যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
ঠিক সকাল আট ঘটিকায় বোধিপ্রাপ্ত হইলাম যে এটি খ্রিষ্টীয় দ্বিসহস্র অষ্টম বৎসরের অষ্টম মাসের অষ্টমতম দিন। এত মিলের কোন বিশেষত্ব নাই যতক্ষণ না মানুষ এর উপর বিশেষত্ব আরোপ করে। পত্রিকা খুলিয়া দেখিলাম চীনারা ঠিকই বিশেষ করিয়া নিয়াছে।
চালাক জাতি বরাবরই। অলিম্পিকের ক্ষণকে তারা আট দিয়া আষ্টৃপৃষ্ঠ বাধিয়া নিয়াছে। সে যাই হোক ইহা দূরের গল্প। কবিগুরু বৎসরে বৎসরে জন্ম নেন প্রয়াণ করেন, আর আমরাও নিকেতনী হইয়া উঠি। হুমায়ুন আজাদও জর্মনে মারা যান আমরা শোকাভীভূত হইয়া উঠি।
তারপরও কি করিয়া যেন কবিতা টিকিয়া যায়। কবিতা কথা কইতে থাকে।
এতটা শান্তিনিকেতনী হইতে আমার দম বের হয়ে গেছে। সরাসরি বলি, ব্লগের কবি, অকবি, কবি যশোপ্রার্থী, কবি বিদ্দেষী, কবিতা খাদক, কবিতা রোচক, কবিতা প্রসবক, কবিতা নিদ্রক সকলের প্রতি আহবান.....আজ হোক কবিতা উৎসব। এই উৎসবের সময় শুরু হয়ে গেছে সকাল আটটায় শেষ হবে রাত আটটায়।
আমার কবিতা।
৮/৮/২০০৮
রাজনৈতিক নি:শ্বাস
বৃক্ষটি অর্পিত হল অচেনা ভূমিতে
শেকড় গজালো
কেননা কেউ জল দিয়েছিল
পাতাগুলো সবুজ হল
আর হেসে উঠল উচ্ছল কৈশোরের মত
কেননা কেউ ছড়িয়ে ছিল প্রাণদায়ী সুবাতাস
বাকলগুলো শক্ত হল, শাখাগুলো দৃঢ়
পাখিরাও এসে বসল
কেননা কেউ সূর্য্য দিয়েছিল
আধখানা নয়, পুরোটুকু
একদম উজাড় করে
বৃক্ষটি বেড়ে চলল
বেড়েই চলল....
বৃক্ষরা রাজনৈতিক নয়
ঘাসফুলবাতাস সূর্য্যরাও নয়
ভূ-খন্ডে ভূ-খন্ডে বৃষ্টি হয় প্রতিদিন
সকাল বিকাল দেখা দেয় মেঘ আর ঝড়ের দল
মানুষেরা হা করে নি:শ্বাস নেয়
ভীষণ রাজনৈতিক
বি:দ্র: শিরোনাম দেইখা মনে করার কিছূ নাই যে আজকে অন্য পোষ্ট কমেন্ট না করার কথা বলা হইছে। এইটা কবিতা উদযাপণের আহবান মাত্র। সমর্থন পাইলে কৃতার্থ হই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।