সাগর সরওয়ার
আমি ঝাল খেতে পছন্দ করি।
বন এ নেমেই খুব শীতের মধ্যে পড়তে হবে এমনটা ভেবেছিলাম। তা একবারে মিথ্যে। ইন্টারনেটে ভুল দেখেছিলাম। ফলে যা হবার তাই হলো, হাত ব্যাগে মোটা কাপরটি বোঝা হয়ে গেল।
ডুসেলড্রফ এয়ারপোর্টের বাইরে ঢাকা থেকে আনা সিগারেট টানতে আমার মনে হলো কি বোকা আমি!
এক ইহুদি ভদ্রলোক আমাকে নিতে এসেছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি হেসে উত্তর দিলেন, এখন সামার। আমরা সময়টা খুব এনজয় করছি। আমার সিঙ্গেল এপার্টমেন্টটায় উঠিয়ে দিয়ে উনি চলে গেলেন। ক্লিমেন্স আগষ্ট স্ট্রাসের এ বাসায় অনেকে থাকে।
ঢাকা থেকে কিছু খাবার নিয়ে এসেছিলাম, তা খাওয়া হলো না। আমাদের আরেক কলিগ আরাফাত একই বিল্ডিং এ থাকে। সে আমাকে নিয়ে তার বাসায় খাওয়ালো।
পরদিন অফিসে গেলাম। নতুন অফিস।
সবার সঙ্গে পরিচিত হলাম। নানা কথার মাঝে বন সিটি সেন্টারে একটি দোকানের নাম শুনলাম, মিনি এশিয়া। ভারতীয় আর বাংলাদেশী নানান খাবার পাওয়া যায়।
বিকালে একটু আগে বেরিয়ে গেলাম সেই দোকানের উদ্দেশ্যে। খুঁজেও পেলাম।
এটা দেখি ওটা কিনি।
দোকানি আমাকে নতুন দেখেছে। তাই জিজ্ঞাস করলো আমি নতুন কিনা। জানালাম, তাই।
তিনি বিল নিচ্ছেন।
সব কেনা শেষ। প্যাকেটে সব কিছু ভরে যখন বের হবো... তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি গেলাম
বললেন
: যা লাগবে সব নিয়েছো তো?
: হ্যা, নিয়েছি।
: না সব তুমি নাওনি!
আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম। কি বাকি রাখলাম, আমার একটি সমস্যা আছে বেশী চিন্তা করলে আমার কয়েক গোছা চূল মহা ব্যস্থ হয়ে পড়ে, মানে অনেকটা দাঁড়িয়ে যায়।
তখনো তা দাঁড়িয়ে গেলো।
আমার এই অবস্থা দেখে তিনি বললেন
: বন্ধু তুমি কাঁচা মারিচের কথা ভুলে গেছো। ওটা ছাড়া তোমরা খেতেই পারো না।
তিনি তার টেবিলের বাম পাশের একটি জাযগায় দেখালেন কাঁচা মরিচ।
: আ হা, এটাই তো আমার দরকার।
আমি এক ইউরোর সবুজ রঙের মরিচ কিনলাম। মাঝে মাঝে মনে হয কাঁচা মরিচ না থাকলে আমরা কি করতাম। এত উপাদেয় খাবার কি পৃথিবীতে আর আছে?
কাঁচা মরিচ ছাড়া আমার চলেই না.......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।