এ বছর মোটামুটি সব শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকেই বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। কাজটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। পরিবর্তনগুলো বেশ যুগোপযোগীও লেগেছে। ইংরেজি গ্রামার ও দেখলাম সব একসাথে না দিয়ে প্রতিটি ক্লাসে ভাগ ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে ছাত্র- ছাত্রীদের উপর থেকে চাপ কিছুটা কমবে।
আর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা তুলে ফেলায় পরীক্ষার চাপও অনেকটা কমবে। কিছু ছাত্র- ছাত্রীর অভিযোগ যে, সাবজেক্ট নাকি বেশি আর পড়াও আগের তুলনায় কঠিন। এক্ষেত্রে আমি বলবো,তোমাদের বয়সে আমরা যেসব বিষয় বুঝতামই না তা তোমরা বর্তমানে যেখানে অনেক ভালো বুঝো,সেখানে একটু বেশি বেশি পড়তে পারবে না,এটা মেনে নেয়া যায় না।
তবে প্রশ্নের ধরন নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। যেমন পাঠ্যপুস্তকে যে পড়াগুলো আছে সেগুলো থেকেই অনুচ্ছেদ দেয়া উচিৎ।
অনুচ্ছেদ দেয় পাঠ্যপুস্তকের বাইরে থেকে ,কিন্তু প্রশ্ন করে পাঠ্যপুস্তক থেকে। তা হলে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনুচ্ছেদটির দরকারই বা কি? আর দেশের অনেকেই আইন না জানার কারণে তাদের অধিকার ও কর্তব্য সর্ম্পকে জানে না। তাই আইনের কিছু সাধারণ বিষয় পাঠ্যপুস্তকের অর্ন্তভূক্ত করা উচিত। আর হ্যা, এবার দেখলাম আগের চেয়ে আরো অনেকগুলো প্রকাশনী গাইড ব্যবসায় নেমে পড়েছে যেগুলোর মানসম্পন্নতা দূরে থাক,কোন মানই নেই। পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিং এরও ব্যবস্থ্ করা উচিত।
কারণ, অনেক শিক্ষক দেখছি এখনো বুঝতে পারছেন না যে আসলে কি পড়াতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।