আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! ফেসবুক একাউন্ট দুটোই ডিএকটিভেট করলাম। ঊদাসী বান্দর নিকটা ডিএকটিভ করলাম কিছু ম্যাসেজ এসেছিলো যেগুলো পড়ে রুচিতে বাধলো উত্তর দিতে। স্বনামে থাকা একাউন্ট টা ডিএকটিভ করলাম নিজের কিছু ভুলের জন্য। ভুলটার কারনে আমার জীবনসঙ্গিনীকে কাঁদতে হয়েছে, পুরো রাত তার কাটাতে হয়েছে আকাশের তারা দেখে চোখের পানি ফেলে।
সারা বিশ্ব ধুকছে অদ্ভুত এক অস্হিরতায়। নানা মত নানা জনে বিভক্ত ৬০০ কোটি মানুষ যুদ্ধ, ক্ষুধা, সন্ত্রাস, কুশিক্ষা, সহিংসতা, ধর্মীয় বিদ্বেষে আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, জীবন দিচ্ছে। মাঝে মাঝে ভাবি কোথায় পালাবো আমি? যেখানেই যাই, দুঃখ আছে নানা মোড়কে আমাদের আশেপাশে।
অদ্ভূত কিছু খবর ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি। নিউক্লিয়ার ফিশনের নাম অনেকেই শুনেছেন।
পারমানবিক বোমা বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশনে যে প্রক্রিয়ায় বিপুল শক্তির উৎপন্ন ঘটে সেই প্রক্রিয়ার নাম নিউক্লিয়ার ফিশন। নিউক্লিয়ার ফিশন আবিষ্কার করেন দুজন মানুষ একজন অটো হান আরেকজন হলেন লীস মেইটনার । লীস ছিলেন অটোহানের রিসার্চ পার্টনার। এই আবিস্কারের জন্য অটো হানকে পুরস্কৃত করা হয়। এই অটোহান এমনই একজন ব্যাক্তি যিনি তার নোবেল প্রাপ্তির বক্তৃতায় এই লীস মেইটনারের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেন নি।
আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো পুরো প্লানটা দুজনে মিলে করলেও এই এক্সপেরিম্যান্টের দরুন যে শক্তি উৎপন্ন হয়েছিলো তার হিসাবের ব্যাখ্যাও ঠিক মতো দিতে পারেননি অটো হান। এমনকি এই বিক্রিয়ায় যে বিপুল পরিমান শক্তি উৎপন্ন হবে, নোবেল না পাওয়ার পরও এই মহিলা বিজ্ঞানী কম্যুনিটির এক জার্নালে চিঠি আকারে প্রকাশ করেন। তখন আমেরিকা তার চিঠিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে "ম্যানহাটান প্রজেক্ট" চালু করে যার ফলাফল হলো হিরোশিমা নাগাসাকির জন্য দুটো পারমানবিক বোমা। এই প্রজেক্টের জন্য লীস মেইটনারকে আমেরিকা কাজের অফার দেয়। লীস মেইটনার অফারটা প্রত্যাখ্যান করে লিখে পাঠায়,"বোমা বানানোর কাজে আমার কিছুই করার নেই।
"
এই মহিলা তার কাজের স্বীকৃতি পান ১৯৯৮ সালে, বলা হয় নোবেল কমিটি সে কজন যোগ্যতম ব্যাক্তিকে সম্মান জানায়নি, লীস তাদের মধ্যে একজন।
এরকম আরেকজন ছিলেন সিসিলিয়া পেইন গাপোস্কিন । উনি সুর্য্যের বর্নালীর বিভিন্ন শ্রেনীবিন্যাসের সাথে ভারতের পদার্থবিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার আয়োনাইজেশন তত্বের প্রয়োগ ঘটাতে গিয়ে দেখেন যে নাক্ষত্রিক বর্নালীর শোষনের হারের মধ্যে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সেটা বিভিন্ন তাপমাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন পরিমানের আয়োনাইজেশনের উপর নির্ভর করে, ভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভর করে না। এই তত্বের উপর নির্ভর করে দেখা যায় সূর্য্যের মধ্যে সিলিকন আর কার্বনের পরিমান পৃথিবীর মতো হলেও হাইড্রোজেনের পরিমান খুবই বেশী (প্রতিটিতে এক মিলিয়ন)। তার সুপার ভাইজার হেনরী যেকোনো কারনেই হোক (অনুমান করা হয় তিনি এই আবিস্কারের ক্রেডিট নিজের করে নিতে চেয়েছেন) তার পিএইচডি থিসিসের উপ সংহারে সূর্য প্রধানত হাইড্রোজেন দিয়ে তৈরী এটা উল্লেখ করতে মানা করেন।
এর চারবছর পর বিভিন্ন উপায়ে এক্সপেরিমেন্ট একই ফলাফল পেলে সেটা নিজের নামের সাথে প্রকাশ করেন সেখানে অবশ্য উল্লেখ করনেন তার এই ছাত্রীটি প্রথম এটা ধরতে পেরেছিলেন।
এই ভদ্রমহিলা শুধুমাত্র মহিলা হবার কারনে ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে তার বিএসসি ডিগ্রী প্রদান করেননি কারন ১৯৪৮ সালের আগ পর্যন্ত নারীদের এই ডিগ্রী প্রদান করার নিয়ম ছিলো না।
বর্তমান বিশ্ব দেখলে মনে হয় না যে এরকম কখনো ঘটেছে। বিভিন্ন গবেষনাগার অথবা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র মেধার দৌড়ই দেখা যায় তাই দেখা যায় রাত বিরাতে টাওয়ারের বা সাইটের কাজ করে একটা নারী পুরো একটা ট্রেনে একা একা ফিরছে অথবা ড্রাইভ করে বাসায় নিরাপদে আসছে বা কাজে যাচ্ছে।
নারী পুরুষ এক সাথে বসে গবেষনাগারে অথবা বিভিন্ন অফিসে কাজ করে যাচ্ছে যেখানে পাশের নারীটির নিতম্বের আকার বা ক্লিভেজ সাইজ বেশ ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে তাকে কটুক্তি শুনতে হচ্ছে না অথবা ধর্ষন করছে না কেউ।
আমাদের দেশে তো এখন ধর্ষন নয়, নারীদের এর ধারে কাছের পোশাকে দেখলে হত্যার অধিকার পেয়ে যাচ্ছে মানুষ। আর সরকার?
সরকার এক অদ্ভুত সরকার আমাদের। আমাদের টেকনোলজী নেই, সেগুলো নিয়ে গবেষনা করার মাথা ব্যাথা নেই। যখন পুরো একটা বিল্ডিং সাভারে ধ্বসে গেলো তখন জাতিসংঘ থেকে আধুনিক সরন্জ্ঞামে প্রশিক্ষিত দল যখন বাংলাদেশকে বিনে পয়সায় সাহায্য করতে চায় তখন মাথামোটা অশিক্ষিত কুকুর লীগের মন্ত্রীরা সেই অফার প্রত্যাখ্যান করে।
নষ্টা মহিলা খালেদার দলের আগের মীরজাফর বলে ওঠে তারা ক্ষমতায় আসলে তারা নাকি সবাইকে ২০ লক্ষ টাকা দেবে অথচ মনে পড়ে কোকোর লন্ঞ্চডুবিতে একবার ৮০০ আরেকবার ৪০০ আরেকবার ৬০০ লোকের মৃত্যুতে একটা ছাগল আর সাথে ১০ ০০০ টাকা দেবার ঘোষনা করে।
আমরা এসব শয়তান দল আর হেফাজতের মতো কুকুরদের সমর্থনও করি।
আর কতটা গভীর কবর খুড়বো মোরা নিজেদের জন্য? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।