আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বে-জ্বর ঠান্ডা

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

এই মুহূর্তে দুটো সোয়েটার, হাতমোজা, মাফলার ও স্লিপার (ডিকশনারিতে স্লিপারের বাংলা লেখা 'বিনামা'। শব্দটাকি আসলেই ব্যবহার করা হয় কিনা বুঝতে পারছি না। ) পরে বসে আছি, তবু শীত কমছে না। কয়েকদিন ধরে গলার অবস্থা ব্যাঙের চেয়েও খারাপ হয়ে আছে।

মাথা ব্যাথায় ছিঁড়তে গিয়েও ছিঁড়ছে না আর নাকের জ্বালায় ডাস্টবিন টিস্যুতে ভরে গিয়েছে। সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, এতো কিছুর পরেও গায়ে জ্বর নাই। প্রতিবারই যখন দুঃখী চোখে কাউকে জ্বর দেখতে বলি, দেখা যায় সে মানুষটার হাত আমার কপালের থেকে বেশি গরম! কালকে সন্ধ্যা ছটায় প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলো, তাই ভাবলাম বারো ঘন্টা লম্বা ঘুম দিয়ে সকালে উঠে পড়াশুনা করবো। তারপর নটায় দিকে ফাজিল ফোনটা ভাইব্রেট করতে করতে ঘুম ভাঙিয়ে দিলো। বিছানা থেকে উঠতেও ইচ্ছা করেনা, আবার পড়েও থাকতে ইচ্ছা করে না।

তাই কনটাক্ট লিস্ট ধরে ফোন করা শুরু করলাম। আকশাতাকেই করতে হলো, কারন কথা বলার মানুষদের মধ্যে একমাত্র ওর সাথেই আমার ফ্রি। তার জীবন নিয়ে কিছু কথা হলো, লেটেস্ট আপডেট পেলাম, তারপর কথার মাঝখানেই ফোন কেটে গেলো। আবার কল করতে ইচ্ছা করছিলো না, তাই কথা বলার মতো মানুষদের লিস্ট থেকে দ্বিতীয়জনকে ফোন করলাম। এর সাথে প্রায় বিশ মিনিট 'কিছু না' নিয়ে কথা বললাম।

এই বন্ধুটার সাথে কিছু না নিয়েও কথা বলতে মজা লাগে। ও একই সাথে ওর ন'বছরের ছোট ভাই ও আমার সাথে কথা বলে যাচ্ছিলো। অসুবিধা হচ্ছিলো, কারন ও আমাদের দু'জনের সাথে একই রকম করে কথা বলে। ব্যাপারটা একটু অপমানসূচক। কালকে রাতে শেষ পর্যন্ত 'চাঁদের আলোয় কয়েকজন সামান্য যুবক' (নাকি চাঁদের আলোয় সামান্য কয়েকজন যুবক? ভুলে গেছি।

) পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেছি। সারা রাত হাবিজাবি স্বপ্ন দেখতে দেখতে শেষ রাতে মাথায় গান বাজতে বাজতে ঘুম ভেঙে গেলো। কি গান সেটা মনে করতে পারছি না, তবে সকাল থেকে মাথায় ভিন্ন একটা গান বাজছে - নিকলব্যাকের 'হাউ ইউ রিমাইন্ড মি'। এ গানটা গত কয়েকদিন শুনেছি কিনা মনে পড়ছে না, তবে এটা আমার কাছে নেই। গানটা আমি অত বেশি পছন্দও করি না, তাই বুঝতে পারছি না কেন বাজছে।

অতীতে দেখা গেছে আমি যে দিন রোজা রাখি, তখন সারাদিন ভালো কাটে। পড়াশুনা করি, বাসার কাজ করি, ইটিসি ইটিসি। যেহেতু এই ছুটিতে কিছুই হচ্ছে না, তাই ভাবলাম আজকে রোজা রেখে গতি পাল্টে ফেলি। কিন্তু শীতের জন্য কিচ্ছু করতে পারছি না। সকালে ইকোনোমিকস নোট করতে বসে কিভাবে জানি ফেসবুকে চলে গেলাম! যাহা হউক, প্রোক্র্যাস্টিনেশন পিরিওড শেষ।

এখন পড়তে না বসলে নিজের উপর বিরক্তি বাড়তে বাড়তে রাগের পর্যায় চলে যাবে, সেখান থেকে অসম্ভব-রকমের-মন-খারাপ। তারপর আমার জন্ম থেকে যা যা খারাপ কিছু ঘটে গেছে সবকিছুর লিস্ট করবো, মন খারাপ বাড়বে। আমার টিয়ার গ্ল্যান্ডে এতো কান্না নাই। ছবি: Jonathan Safran Foer এর Extremely Loud and Incredibly Close থেকে দুই পৃষ্ঠা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।