বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
মূল খবর এই লিংক এ
সকালে প্রথম আলোতে খবরটি পড়ে বিস্ময়ে একেবারে তাজ্জব হয়ে গেলাম! আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে আর কত মিথ্যাচার চলবে? কয়েকদিন আগে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সন্মেলনে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। এটি নিয়ে সারা দেশে গত দু'দিন ধরে তোলপাড় চলছে। আজ প্রথম আলোর খবরটি পড়ে খুবই আশ্চর্য লাগছিল এই ভেবে যে, আমাদের এই গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন একটি গোষ্ঠী মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়ে গেছে, যাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন আপত্তিকর ভূমিকা সন্মন্ধে সবাই ওয়াকিবহাল। তারপরও তারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দাবী করে কোন ধৃষ্টায়?
গতকাল ফেসবুকে একটি ভিডিও ক্লিপিংস দেখছিলাম, সেখানে সেই মুক্তিযোদ্ধার শারীরিক লাঞ্চনার সচিত্র বর্ণনা দেয়া হচ্ছিল। সেই মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া যদি কোন মুক্তিযোদ্ধার অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সেনারা কিসের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন? এভাবে রাজাকারদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হওয়ার জন্য?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।