আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতিদের বিরুদ্ধে এবার শত কোটি টাকার আমানত কেলেংকারির অভিযোগ অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে চাষী কল্যাণ সমিতির নামে ব্যাংকিং কার্যক্রম



জাহাঙ্গীর আলম আকাশ, রাজশাহী আমানতের নামে জামায়াত সমর্থকরা শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কোন প্রতিপক্ষ নয় খোদ জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরাই এই শভংকরের ফাঁকির বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছে। অন্তত: পাঁচ লাখ আমানতকারির কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ১০০ কোটি টাকার অধিক অর্থ ছাড়াও এই সংগৃহিত অর্থের সুদ-লভ্যাংশ ফেরত না দিয়েই সংগঠন গুটিয়ে নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, একদল জামায়াতির কাছ থেকে হাত বদল হয়ে আরেক দল জামায়াতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে সংগঠনের মালিকানা ও আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম। কিন্তু আমানকারিদের জমানো টাকা ফেরত দেয়ার কোন উদ্যোগ নেই।

বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি (বিসিকেএস)র নামে বিগত ১৯৯৭ সাল থেকে জামায়াতিরা রাজশাহীসহ দেশের ১৭টি জেলায় সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়াই এবং কোনরকমের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাংকিং সিস্টেমে আমানত সংগ্রহ করে শত কোটিরও অধিক টাকা। একইসাথে তারা সদস্য সংগ্রহ ও দলীয় কার্যক্রম চালায়। কিন্তু ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পট পরিবর্তনের পর জামায়াতিরা কৌশল অবলম্বন করে বিসিকেএসকে গুটিয়ে নেয়। বিসিকেএস এর সকল কার্যালয়ের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলা হয়। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বিসিকেএস এর নাম ও আর্থিক লেনদেন হস্তান্তরের পালা।

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই বিসিকেএস জামায়াত-শিবিরের অর্থ সংগ্রহের উৎস হিসেবে কাজ করে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতিদের দ্বারা আমানতের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ার পর থেকে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরো ব্যাপারটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা ও জিডি করার পরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং প্রভাবশালী জামায়াত নেতারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় ‘সবকিছু ম্যানেজ’ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে আমানতকারিরা তাদের প্রদেয় টাকা ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৯০ সালে চাষীদের কল্যাণের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিসিকেএস নিবন্ধিত হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে সংগঠনটি শুরু করে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম। জামায়াতের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বিসিকেএস এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম দেশব্যাপী বিস্তৃত করে। বৈদেশিক অর্থ সংগ্রহের জন্য ২০০৫ সালে এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধন সংগ্রহ করে সংস্থাটি।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়াসহ ১৭ জেলায় স্থানীয় পর্যায়ের জামায়াত নেতারা পরিচালনা করেন বিসিকেএস। বিসিকেএস এর মাঠকর্মী ও পরিচালকরা সকলেই জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এই সংগঠনের প্রধান হলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আমির ‘কুখ্যাত রাজাকার’ মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ। সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলায় বিসিকেএস এর সাতটি জোন ছিল পুঠিয়া, গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘা, তানোর উপজেলায়। এরমধ্যে পুঠিয়ার বানেশ্বর জোনেই আমানতকারি সদস্যের সংখ্যা তিন হাজারের অধিক।

রাজশাহী জেলায় মোট আমানতকারির সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। বিসিকেএস এক হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্থায়ী আমানত, ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত এসডিএস আমানত এবং ১০ টাকা হতে ২০০ টাকা পর্যন্ত সাধারণ সঞ্চয় আমানত এই তিন ধরনের আমানত সংগ্রহ করতো। এভাবে ১৭ জেলায় কমপক্ষে পাঁচ লাখ আমানতকারির কাছ থেকে শত কোটি টাকারও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সেই আমানতের টাকা কিংবা আমানতের সুদ-লভ্যাংশ ফেরত দেয়া হয়নি। এই অবস্থার মধ্যেই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পট পরিবর্তনের পর বিসিকেএস এর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ সকল জোনের কাছে নির্দেশনামা জারি করে সকল কার্যালয় গুটিয়ে নেয়ার জন্য।

সেই মোতাবেক ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই গুটিয়ে নেয়া হয় বিসিকেএস’র সকল কার্যালয়। যা বিসিকেএস এর গঠনতন্ত্রের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য ৮০ ভাগ সদস্যের মতামত বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা করা হয়নি এক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, সংগঠনের সকল ব্রাঞ্চ বিক্রিও করে দেয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, শুধুমাত্র রাজশাহীর সাতটি জোনেই বার্ষিক আড়াই কোটি টাকা আয় হতো। বিসিকেএস’র কর্মকর্তারা শুরু থেকেই এই অবৈধ অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রমে জড়িত ছিল। সংগঠনের সদস্য হওয়ার প্রাক্কালে আমানতকারিদের মোটা অংকের লাভের লোভ দেখিয়ে সদস্য করা হতো। আর এখন লাভতো দূরে থাক আসল টাকাটাও পাচ্ছে না আমানতকারিরা। সংগঠনের পরিচালনাকারিদের এমন প্রতারনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বিসিকেএস এ কর্মরতদের অনেকেই চাকুরি থেকে ইস্তফা এমনকি দল থেকেও সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

আর একারণে এই সংগঠনের সাথে জড়িত জামায়াত নেতারা বিসিকেএস ও দল থেকে ইস্তফাদানকারিদের হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন অনুসন্ধান : গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে গিয়ে জানা যায়, বিসিকেএস এর বানেশ্বর ব্রাঞ্চের কার্যালয়টি ছিল রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পাশে আয়েজউদ্দিনের দোতালা ভবনের দোতালায়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর এই কার্যালয়টি গুটিয়ে নেয়া হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবর বিসিকেএস এর বানেশ্বর জোন বিক্রি বা আর্থিক লেনদেন হস্তান্তর করা হয় নামাজগ্রাম চাষী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোছা. ফেরদৌসী বেগমের কাছে। এই জোন হস্তান্তর বা বিক্রি করা হয় মোট দুই লাখ ২০ হাজার টাকায়।

১৩ দফা চুক্তিনামায় সই করেন বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতির পক্ষে রাজশাহী পূর্ব জেলা শাখার সভাপতি ও জামায়াত নেতা মো. হাফিজুর রহমান এবং নামাজগ্রাম চাষী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. ফেরদৌসী বেগম। বিসিকেএস এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভাপতি হিসেবে ফেরদৌসী বেগমের কাছে সংগঠন বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলেও মূলত: জামায়াতের রোকন আয়েজউদ্দিনই মূল ব্যক্তি নামাজগ্রাম চাষী উন্নয়ন সংস্থার। বিসিকেএস এর বানেশ্বর জোন বিক্রির পর বিসিকেএস এর বানেশ্বর জোন কার্যালয় যেখানে ছিল তার থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরের দোতালা একটি ভবনের নিচতলায় নামাজগ্রাম চাষী উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় নেয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল সেখানে বিসিকেএস এর সাইনবোর্ডটি নিচে ফেলে রাখা হয়েছে। একটি কক্ষের ভেতরে কয়েকটি টেবিল ও চেয়ার এবং টেবিলের ওপরে জামায়াত সমর্থক সংবাদপত্র দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক নয়া দিগন্তের কপি।

কক্ষের ভেতরে ছিলেন রাজশাহী কলেজের ছাত্র ও প্রাক্তন শিবির ক্যাডার জিয়া। জিয়া জানালেন, টে¤প্রয়ারিলি কাজ করছি। জনগণ সমিতি করে। গত ১ জুলাই থেকে আমি এখানে বসছি। ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পযৃন্ত সাপ্তাহিক চাঁদার ভিত্তিতে সদস্য করা হয় এই সংগঠনের।

সদস্যদের মাঝেই ঋণ দেয়া হয়। বাঁশপুকুরিয়া ইউনিটের প্রধান রফিকুল ইসলাম আমানতের টাকা আত্মসাত করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এখন তিনিই বিসিকেএস এর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামায়াত নেতা ও বিসিকেএস এর মাঠকর্মী আয়েজউদ্দিন এলেন। তিনি বললেন, ১৯৯৭ সালের পর ৬/৭ বছর আমাদের ব্যবসা চলে জমজমাট।

কিন্তু বিসিকেএস এর মাঠকর্মী মানজুরা, রফিকুল, খালেদ, আমিনুল, সানোয়ারা, নজরুল আমানতকারিদের কাছ থেকে গৃহিত অর্থ (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) আত্মসাত করে। দুই বছর আগে বিষয়টি ধরা পড়ে। অথচ এরাই এখন বিসিকেএস এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্র বা বিদেশ থেকে কোন টাকা এখানে আসতো না। আমানতকারির টাকাও কেন্দ্রে বা বিদেশে য়ায়নি।

আপনারা সত্য খবর লিখুন। বিসিকেএস এর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পুঠিয়ার দিকে যেতেই বানেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে দেখা হলো জামায়াতের রাজশাহী জেলা আমির রেজাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানালেন, আমানতের টাকা যথাসময়ে ফেরত দিতে না পারায় একটু সমস্যা হয়েছে আর কি? তিনি এ বিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। বিসিকেএস এর বানেশ্বর জোন বিক্রি বা হস্তান্তর সম্পর্কেও জামায়াত নেতারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দিনভর সরজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

বরং আমানকারিদের টাকা ফেরত না দেয়া এবং সংগঠন বিক্রি বা হস্তান্তরের বিরোধিতা করায় বিসিকেএস এর বহু কর্মী সংগঠন ও জামায়াত-শিবিরের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বিসিকেএস এর মাঠকর্মী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সদস্য রফিকুল ইসলাম আমানতের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে জামায়াত নেতারা হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গত ১৬ জুন পুঠিয়া থানায় একটি জিডি করেছেন প্রাক্তন এই শিবির কর্মী (জিডির সিরিয়াল নম্বর ১৬৭)। তিনি বিসিকেএস এবং পার্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিসিকেএস এর বাঘা জোনের সহকারি পরিচালক ও জামায়াতের রোকনের পদ থেকে গত বছরের সেমেপ্টম্বরে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হক।

একইভাবে একই কারণে নামাজগ্রামের খালিদ, আগলা গ্রামের আমিনুল, দামোদি গ্রামের আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম চাকরী ও জামায়াত উভয়টাই ছেড়েছেন। বিসিকেএস এতে আমানতকারি পুঠিয়ার শিবপুরের ব্যবসায়ী এখলাসুর রহমান এক লাখ ৮ হাজার টাকা, গ্রাম্য চিকিৎসক নাইমউদ্দিন ৫০ হাজার টাকা, হযরত গাজী ২১ হাজার ৮০০ টাকা, দিনমজুর আবদুল করিম ১০ হাজার ৪০০ টাকা, ভিক্ষুক হাজেরা ৯ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু তারা কিউই টাকা ফেরত পাননি। ব্যবসায়ী এখলাসুর রহমান বলেন, বিসিকেএস আমাকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকার বিপরীতে লাভসহ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামি ১৩ জুলাই আমাকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেবে বিসিকেএস এবং অবশিষ্ট ৫ হাজার টাকা থাকবে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার-সালিশের খরচের জন্য।

বিসিকেএস এর মাঠকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। উল্লেখ্য, বিসিকেএস এর প্রতিটি কার্যালয়ে অন্তত:পক্ষে ৩০ হাজার সদস্য অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছিল। মাসিক ৪০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আমানত নেয়া হয়েছে ১০ বছর মেয়াদী। বিসিকেএস এর কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল যে, মেয়াদপূর্তির পর আমানত ডবল ফেরত দো হবে এবং আমানতকারিদেরকে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে। বিসিকেএস কৃষকদের জন্য একটি এনজিও হলেও এখানে চাষী বা কৃষক ছাড়াও শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ভিক্ষুক, দিনমজুরদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় সদস্য হিসেবে।

#

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।