ইংল্যান্ডের হারটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। তার পরও ব্যবধানটা কমানোর চেষ্টাই হয়তো করে যাচ্ছিলেন জোস বাটলার। ফাওয়াদ আহমেদের শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাতে অবশ্য ৮৮ রানের সহজ একটা জয় তুলে নিতে কোনোই সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
প্রথম ১১ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৮ রান সংগ্রহ করতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে কেভিন পিটারসেন আর ইয়ন মরগানের ৫৯ রানের জুটিটা ঘুরে দাঁড়ানোরই ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু দলীয় ৯৭ রানের মাথায় পিটারসেন বিদায় নিলে জয়ের কাজটা কঠিনই হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। ৬০ রান এসেছে এই ডানহাতির ব্যাট থেকে। মরগান আরও কিছুক্ষণ চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ার।
কিন্তু সফল হতে পারেননি। ৩৪তম ওভারে বিদায় নেন ৫৪ রান করে। এর পরপরই নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের হার। শেষপর্যায়ে বাটলারের ৭৫ রানের ইনিংসটা দলকে জয়ের ধারেকাছেও নিয়ে যেতে পারেনি। ৮৮ রানের হার নিয়েই শেষ করতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ১০৫ রানের চমৎকার এক ইনিংস এসেছে ক্লার্কের ব্যাট থেকে। তাঁকে বেশ ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন জর্জ বেইলি। ৬৭ বলে ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের ৪৫ ও শেন ওয়াটসনের ৩৮ রানের ইনিংসগুলোরও অবদান আছে অস্ট্রেলিয়ার ৩১৫ রানের বড় সংগ্রহের পেছনে।
বৃষ্টির বাধায় মাঠেই গড়ায়নি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। আজকের এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।