আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুতের গল্প

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

তখন মধ্যরাত। ওরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল ভয়ংকর সেই সব জীবদের কথা। যা বলতে বলতে তাদের রক্ত গরম হয়ে আসছিল। কেউ কখনো এত নিষ্টুর হতে পারে। ওদের নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যার গল্প শুনে ওদের চোখেও পানি ঝরছিল অঝোরে।

ঐ জীবগুলো মানুষের রক্ত চোষে খায় যেমন ড্রাকুলারা খায়, তাও নি:শব্দে। মানুষগুলো সামান্য খাদ্যতে নিজেদের শরীরে যেটুকু রক্তের যোগান ঘটায়, তাই তারা শুষে নেয় একটু একটু করে প্রতিদিন। অসহায় মানুষের কষ্টগুলোকে তারা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে। মানুষগুলো একেবারে মেরে ফেলে না ওরা, নয়ত ওদের রক্তের যোগান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জিইয়ে রাখে শীর্ণকায় অসুখী মানুষগুলোকে।

একসময় মানুষগুলো এমনিতেই অশিক্ষা, দারিদ্র, আর অসুখে ভোগে ধুকে ধুকে মরে যায়। ঐ ভংয়কর দানবগুলোর রক্তের যোগান কিন্তু বন্ধ হয়না। জীবনে অসুখী মৃত মানুষগুলোর পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি থাকে তাদের রক্তের যোগান দিতে। ওরা কখনো অসহায় মানুষগুলোকে সংঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ দেয় না। ঐ মানুষগুলোর মাঝ থেকে কিছু মন্দ লোককে বেছে নেয় তারা।

যারা সামান্য কিছু ঔচ্ছিষ্ট ভোগের আশায় নিজেদের লোকগুলোকেই আক্রমন চালায়, ক্ষতবিক্ষত করে, বিচ্ছিন্ন করে। নিজেরাও নিক্ষিপ্ত হয় ভাগাড়ে, কেননা একসময় প্রয়োজন ফুরায় সেইসব বিশ্বাসঘাতকগুলোরও। এক কবরখানার ইয়া বড় এক শেওড়া গাছে চড়ে দুই ভুত পরষ্পর গল্প করছিল। মানুষের গল্প। বিশেষ জাতের মানুষের গল্পের।

যে মানুষগুলো বড় বড় দালানকোঠায় থাকে, আর দামী সব গাড়িতে চড়ে বেড়ায়। গল্প বলতে বলতে ভুত দুটো ভয়ে শিউড়ে উঠছিল, আর ভাবছিল তারা ভুতরা ওদের চাইতে ঢের ভাল। ওরা যা এক দুইটা মানুষকে মারে তা একবারেই মেরে ফেলে, একটু একটু করে এত কষ্ট দিয়ে মারে না, তাও অতগুলান মানুষকে একসাথে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।