আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। আগের লেখাঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/ahlebaitibest/29835124
এবং
Click This Link
আয়শা বর্ননা করেছেনঃ
রাসুলের(সাঃ) দেহত্যাগের অর আবুবকর যখন খলিফা হলেন তখন ফাতিমা রাসুল(সাঃ) কতৃক ত্যাজ্যবৃত্ত – ফদক এবং মদিনা ও খাইবারের এক পঞ্চমাংশ বার্ষিক আয়ের উত্তরাধিকার দাবি করলেন। আবুবকর ফাতিনাকে এর কোন কিছুই দিতে রাজী হলেন না। তখন থেকে ফাতিমা আবুবকরের ওপর রাগান্বিত ছিলেন এবং তাকে পরিত্যাগ করলেন এবং ইন্তেকাল পরযন্ত আবুবকরের সাথে কখনো কথা বলেন নি। যখন ইন্তেকাল করলেন তখন তাঁর দাফন করলেন।
তিনি আবুবকরকে ফাতিমার ইন্তেকালের খবর দেননি এবং জানাজার জন্যও ডাকেননি(বুখারি,৫ম খন্ড,পৃঃ১৭৭,৮ম খন্ড,পৃঃ১৮৫;নায়সাবুরী,৫ম খন্ড,পৃঃ১৫৩-১৫৫;শাফী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ২৯;৬ষ্ট খন্ড,পৃঃ৩০০-৩০১;সাদ,২য় খন্ড,পৃঃ৮৬;হাম্বল,১ম খন্ড,পৃঃ৯;তাবারী,১ম খন্ড,পৃঃ১৮২৫;কাছীর,৫ম খন্ড,পৃঃ২৮৫-২৮৬;হাদীদ,৬ষ্ট খন্ড,পৃঃ৪৬;সামহুদী,৩য় খন্ড,পৃঃ৯৯৫)। .............
....................................
ফাতিমা আমিরুল মু’মিনুন হযরত আলীকে(আঃ) আরো অনুরোধ করেছিলেন যে,তাঁকে যেন রাত্রিকালে দাফন করা হয়,কেউ যেন তাঁর কাছে না আসে,আবুবকর উমরকে তাঁর ইন্তেকাল ও দাফন সম্পর্কে কিছুই যেন অবহিত করা না হয় এবং আবুবকর যেন তাঁর জানাজায় না যায়। যখন তিনি ইন্তেকাল করলেন আলী তাকে গোসল করালেন,রাতের অন্দ্বকারে যেন দাফন করলেন এবং আবুবকর ও উমরকে এ বিষয়ে কিছু জানালেন না। মুহাম্মদ ইবনে উমর ওয়াকিদি(১৩০/৭৪৭-২০৭/৮২৩) বলেছেনঃ
“আমাদের কাছে এটা প্রমানিত হয়েছে যে, আলী নিজেই ফাতিমার জানাজা করেছিলেন এবং আব্বাস ইবনে আব্দাল মুত্তালিব ও তার পুত্র ফজলকে সঙ্গে করে রাত্রিকালে তাঁকে দাফন করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাননি।
“
একারনে ফাতিমার মাজার শরিফ অজ্ঞাত ও গুপ্ত রয়ে গেছে-তাঁর মাজার সম্পর্কে কেউ কোন সুনিশ্চিত স্থান বলতে পারে না। (নায়সাবুরি,৩য় খন্ড,পৃঃ১৬২-১৬৩;সানানী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ২১৪১;বালাজুরী,১ম খন্ড,পৃঃ৪০২-৪০৫;বার,৪র্থ খন্ড,পৃঃ১৮৯৮;আছীর,৫ম খন্ড,পৃঃ৫২৪-৫২৫;হাজর,৪র্থ খন্ড, পৃঃ৩৭৯-৩৮০;তাবারী,৩য় খন্ড,পৃঃ২৪৩৫-২৪৩৬;সাদ,৮ম খন্ড,পৃঃ১৯-২০;সামহুদী,৩য় খন্ড,পৃঃ৯০১-৯০৫;হাদীদ,১৬শ খন্ড,পৃঃ২৭৯-২৮১)।
ফাতিমার এ অসন্তোষ নেহায়েত ব্যক্তিগত আবেগ বলে কেউ কেউ মনে করেন। তারা আসলে এ অসন্তোষের গূঢ় রহস্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে। যদি এটা ব্যক্তিগত আবেগ হতো তাহলে আমিরুল মু’মিনিন এটা থেকে তাঁকে নিবৃত্ত করতেন।
কন্তু কোন ইতিহাসে দেখা যায় না যে,আমিরুল মু’মিনিন ফাতিমার অসন্তোষকে ব্যক্তিগত আবেগ বলে মনে করেছেন।
তদুপরি,কি করে ফাতিমার অসন্তোষ ব্যক্তিগত আবেগ প্রবনতা হতে পারে? তাঁর সকল সন্তোষ বা অসন্তোষই আল্লাহর ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। রাসুলের(সাঃ) নিন্মোক্ত বানীই এর প্রমানঃ
“ হে ফাতিমা,নিশ্চয়ই তোমার ক্রোধে আল্লাহ ক্রোধান্বিত হন এবং তোমার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট(নায়সাবুরি,৩য় খন্ড,পৃঃ১৫৩;আছীর,৫ম খন্ড,পৃঃ৫২২;হাজর,৪র্থ খন্ড,পৃঃ৩৬৬;১২শ খন্ড,পৃঃ৪৪১;সয়ুতী,২য় খন্ড,পৃঃ২৬৫;হিন্দি,১৩শ খন্ড,পৃঃ৯৬;১৬শ খন্ড,পৃঃ২৮০;শাফী,৯ম খন্ড,পৃঃ২০৩)।
আপাতত সমাপ্ত। (হযরত ফাতিমার(সা আ)ইন্তেকালের পর ফদকের ইতিহাস নিয়ে শীঘ্রই একটি লেখা প্রকাশ করা ইচ্ছা আছে)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।