জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
(শাহাবুদ্দিন শুভর ছাত্রীর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা পোস্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে)
আমাদের সমাজে একটি ভয়াবহ সমস্যা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা। এই উত্ত্যক্তকারীদের ভয়ে বহু মেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। পত্র পত্রিকায় প্রতিদিন এ ধরনের খবর থাকে।
পুলিশ সব সময় বখাটের পক্ষ নেয়। নারী নির্যাতনেরর মামলা না করে আসামীকে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠায়।
ফলে পরের দিনই বখাটে ভাই জামিনে ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে আসে।
তারপর উত্ত্যক্ত করার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। শিষ দেয়া, অশ্লীল কথা বলা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, হুমকি দেয়া চলতে থাকে।
আর আমরা, আমাদের প্রশাসন, সুশীল সমাজ, এনজিও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাই চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করতে থাকি। অপেক্ষা করতে থাকি কখন মেয়েটি আত্মহত্যা কররবে।
মেয়েটি আত্মহত্যা করলে একটি মামলা হবে, সাংবাদিক ভাইয়েরা করুণ ভঙ্গিতে সংবাদ লিখবেন, সুশীল সমাজ আহা উহু জাতীয় কয়েকটি ভালোচনা আয়োজন করবে। তারপর আবারও অপেক্ষা। এবার অন্য কোন মেয়ে। এই তো চলে আসছে আমাদের সমাজে।
আমাদের সমাজে নারীদের পক্ষে কেউ নেই।
এমনকি নারীরাও নারীদের পক্ষে থাকে না বেশির ভাগ সময়। এই ভয়াবহ একটি সমাজের নারীকে উত্ত্যক্ত করবে না এ কি হতে পারে ?
এই সমস্যার সমাধানের জন্য এখন দরকার সামাজিক প্রতিরোধ। প্রতিটি মহল্লায় মায়েরা একটি উত্ত্যক্তকারী প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন। পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নাই বলে আমাদের দেশে এই সমস্যা।
সরকারের উচিত শুধু পুলিশ নির্ভর না হয়ে নাগরিক নির্ভর সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণে সহায়তা করা।
ইভ টিজিং একটি সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য মহল্লায় মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলা দরকার। এলাকার সকল মায়েরা এই কমিটির সদস্য হবে। তাদের কোন মেয়েকে কোন বখাটে উত্ত্যক্ত করলে সেই বখাটের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে একঘরে করার ঘোষণা দিতে হবে।
তাকে মারতে হবে সামাজিকভাবে। উত্ত্যক্তকারীদের ছবি তুলে পোষ্টার ছাপিয়ে মহল্লার দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে হবে। উত্ত্যক্তকারীদের একটি তালিকা সংরক্ষণ করা হবে। কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে উত্ত্যক্তকারীসহ তার বাবা মাকে দাওয়াত করা হবে না। তাদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করলে তা আইন আদালতের চেয়ে বেশি কাজ দেবে।
আর পুলিশের উপর নির্ভরতা নয়, আসুন নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করি। আসুন মায়েরা, মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ইভ টিভিং বা উত্ত্যক্তকারী প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলি প্রতিটি মহল্লায়।
পুনশ্চ : একটি কথা এসেছে এলাকার কমিশনারকে এই কমিটির সদস্য করার জন্য। কমিশনার মহিলা হলে করা যেতে পারে। তাছাড়া এসব সামাজিক সমস্যা যাতে সহজে সমাধান করা যায়, তার জন্য বখাটে, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ কোন লোককে ভোট দিয়ে কমিশনার বানাবেন না।
যে লোক এসব লোককে সমর্থন বা আশ্রয় দেয় তাদেরকেও ভোট দেবেন না। ভোট দেবেন সৎ মানুষকে। মার্কা বা দল নয়, মানুষের চরিত্র দেখে ভোট দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।