যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এইমস যখন ১২ টাকা হইলো তখন তো আমার অবস্থা হালুয়া। প্রতিবছর ৯-১০ টাকা পর্যন্ত হয় তারপরে আবার ৬-৭টাকায় নামে। মানে কইতেছিলাম এইমস শেয়ারের কথা। ১ টাকার শেয়ার, আড়াইহাজারের লট। যারা প্রতিদিন ট্রেড করে তাদের জন্য এই শেয়ার সোনার হরিন।
ডিম পাড়ে স্বর্নের থোকা থোকা। এক টাকা বাড়লে আড়াই হাজার টাকা লাভ। দশটাকা বাড়লে ২৫হাজার লাভ। সে এক বিশাল কের্তন।
শুনলাম এইটা নিয়া এবার গ্যাম্বলিং হবে।
কাজেই কিনলাম ১০ লট। ৩ লাখ টাকায়। মানে ২৫ হাজার শেয়ার। বাইশ টাকা যখন হইলো তখন শুনলাম ত্রিশের উপরে যাবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস হইলো না।
দিলাম ছাইড়া। প্রতি শেয়ারে দশটাকা লাভে আড়াই লাখ টাকা হইলো। আমি খুশী, আমার ক্লায়েন্ট খুশী।
এরপরে আরো বাড়ে। আমি চোখ বুইজা থাকি।
সবাইরে বেচতে কই, কিন্তু তারা আরো কেনে। বলে ৫০এ যাবে। ২৮টাকা পর্যন্ত যখন হইলো তখন তো আরো কেনার হিড়িক পড়লো! পরিচিত সবাইরে কইলাম বেচো, কিন্তু বেচে না। এই ফাকে যাদের বেচার দরকার তারা সব বেইচা দিয়া হাত গুটাইয়া রাখছে।
শেয়ারের দাম আর বাড়ে না।
বেচতে গেলে প্রাইস ফল।
আইজকা - ২৩ টাকা। এই শেয়ারের এত দামবৃদ্ধির কোন অর্থ নাই। পরিষ্কার একটা গ্যাম্বলীং। এরপরে যদি দাম বাড়ে সেটা হবে সপ্তাচার্য্য, কিন্তু এই খেলায় এবার নিঃস্ব হইলো হাজারো বিনিয়োগকারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।