আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফারাক্কার করাল গ্রাস ঃ বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ

আমি পড়ি, লিখি, মুভি দেখি, ঘুরে বেড়াই আর আড্ডা দেই......:)

এক সময়ের উত্তাল পদ্মা এখন ধূ-ধূ বালুচর । বাংলার পদ্মার উত্তাল ঢেউ সম্পর্কে জানেন না এমন কোনো বিদেশী মাইলের পর মাইল এরকম ধূ-ধূ বালুচর দেখে একে মরুঅঞ্চল ভেবে ভুল করতে পারেন। ভরা বর্ষায় এ জায়গাটি হয় প্রমত্তা পদ্মার ঠিক মাঝখান। এক সময় যেখানে চলতো বিরাটাকারের জাহাজ, এখন সেখানে চলে বালুবাহী ট্রাক এবং গরুর গাড়ি। তাই এখন আর নৌকা চালাতে চালাতে ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী, তোর কাছে শুধাই, বল আমারে তোর কিরে আর কুল কিনারা নাই’ কিংবা ‘পদ্মার ঢেউরে, মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা, যা রে’- মাঝির কণ্ঠে এসব মরমীয়া গান গাইতে শোনা যায় না।

দুই তীর ভেঙ্গে প্রবল বেগে চলা কীর্তিনাশা পদ্মা আজ শুকিয়ে মরা গাঙয়ে রূপ নিয়েছে। চরের আড়ালে হারিয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর কোথাও কোথাও মূলধারা দেখলে যে কেউ একে খাল মনে হয়। ভরা জৈষ্ঠেও শুধু পদ্মা নয়, এর সাথে সংযুক্ত কোনো নদীর উৎসমুখেই এখন পানি নেই। আর পদ্মার অসংখ্য শাখা নদীকে এখন আর খালও মনে হবে না। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বড়াল।

রাজশাহীর চারঘাটের কাছে পদ্মা থেকে সৃষ্ট এই বড়াল নদী পানির অভাবে মরে গেছে। এক সময় চারঘাট থেকে পাবনা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দিয়ে প্রায় দুইশ মাইল অববাহিকা পার হয়ে এই নদী যমুনায় গিয়ে মিশতো। তখন এই নদী দিয়ে চলেছে বিরাট পালতোলা নৌকা, লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযান। বড়ালের অববাহিকায় চারঘাট, নাটোর, পাবনা ও ফরিদপুর জেলায় গড়ে উঠেছিলো বড়ো বড়ো বন্দর ও বাণিজ্যিক এলাকা। আর এসব এলাকার উৎপাদিত পণ্য পৌঁছে যেত ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা, রাজশাহী, নাটোর, গাইবান্ধা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলকায়।

দেশের সবচেয়ে বড়ো বিল চলনবিলে সেচের পানির একটা বড়ো অংশ যেতো এই বড়াল নদী থেকে। সেই বড়ালের আজকের অবস্থা দেখে প্রবীণরা শুধুই দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। আশপাশের পুকুর এবং নলকূপগুলোতেও এখন আর পানি নেই। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে নয়, বরং মানুষের শত্র“তায় মরা পদ্মা ও তার অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অন্তত চারকোটি মানুষের অস্তিত্ত্ব সংকটাপন্ন। মরণ ফাঁদ বলে পরিচিত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পদ্মার উজানে পানি শুষে নেয়ায় আজ ভাটি অঞ্চলে মরুভূমির হাহাকার।

গ্রীষ্মের তাপে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। সূর্যোদয়ের কিছু সময় পর থেকে বিকাল পর্যস্ত একই মাত্রায় গরম পড়ে। চৈত্রে-বৈশাখেও দিনে খরা, রাতে শীত আর সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে এখানকার প্রকৃতি। দুই দশক আগে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ওঠানামা করতো ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এখন প্রায়ই তা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।

হেরফের হচ্ছে বার্ষিক বৃষ্টিপাতেও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এভাবে পুরো উত্তরাঞ্চল ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। পদ্মার রাজশাহী অংশেও একসময় ইলিশ ধরা পড়তো। আজ তা কেবলই স্মৃতি। পদ্মাকে ঘিরে সংসার চলতো রাজশাহীর পঞ্চবটি থেকে গোদাগাড়ির বিদিরপুর ভাঙ্গা মসজিদ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাতশ জেলে পরিবারের।

পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ায় এদের বেশিরভাগই এখন এ পেশা ছেড়েছেন। এদের কেউ রাজমিস্ত্রী হয়েছেন, কেউ সবজি বিক্রি করছেন আবার কেউবা রিকশা চালাচ্ছেন। আর যুগ যুগ ধরে সংসার চালানো এই পেশায় এখনো যারা রয়ে গেছেন, তাদেরও দিন ভালো কাটছে না। পদ্মার জীববৈচিত্র নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা বলছেন, ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়া পদ্মায় গত তিন দশকে বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত অর্ধেক মাছ হারিয়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে পানিশূণ্য পদ্মায় মাছ ধরতে যেতে না পারলেও মাছ ধরার নৌকাটিকে পরম যতেœ আগলে রেখেছিলেন অনেকেই।

কিন্তু দিনদিন পদ্মার যে হাল হচ্ছে তা দেখে বুঝে ফেলেছেন, পদ্মার আগের সেই যৌবন আর ফিরবে না। তাই একমাত্র সম্বল নৌকাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেকেই আর যারা বিক্রি করছেন না, তাদের সেসব নৌকা এভাবেই অযতেœ পড়ে আছে। জেলেদের দাবি, তারা সরকারের কোনো ঋণ চান না। তারা দেখতে চান ভরা পদ্মার সেই চেহারা। এক সময়ের খরস্রোতা পদ্মার আগের সেই পাড় আছড়ানো ঢেউ এখন মানুষের ঘুম ভাঙ্গায় না।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নৌকায় পদ্মা থেকে যে বড়াল নদী দিয়ে পাবনায় শাহজাদপুর কুঠিবাড়িতে আসতেন, সেখানে এখন চলে বালিভর্তি ট্রাক। যে পদ্মায় নানা প্রজাতির মাছের সমারোহ জেলেদের জীবনকে ব্যস্ত করে তুলতো, এখন সে পদ্মার বুকে চলে কলের লাঙ্গল। পদ্মার বুকে কৃষকরা চাষাবাদ করেন। কোথাও ধান কোথাও আবার ভূট্টার সবুজ সমারোহ। এই দৃশ্য পাকশীতে বিখ্যাত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নীচে পদ্মা নদীর।

ফলে পদ্মাপাড়ের অগভীর নলকূপগুলোতেও এখন পানি পাওয়া কষ্টকর। পদ্মাকে ঘিরে জমিতে সেচকাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে পুরো উত্তরাঞ্চল জুড়ে গড়ে তোলা হয় অন্তত নয়টি সেচ প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়োটি হলো কুষ্টিয়া জেলার গঙ্গা-কপোতা সেচ প্রকল্প, সংেেপ যা জিকে প্রজেক্ট নামেই পরিচিত। বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনতে ১৯৫৪ সালে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু। সে সময় দুইশ বারো কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই জিকে প্রজেক্ট।

এর মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা জেলায় বছরের নয় মাস নামমাত্র সেচ করের বিনিময়ে জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। আউশ-আমন দুই মৌসুমেই অন্তত এক লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হতো। এখন এই প্রকল্প চালু রাখতে প্রতি বছর সরকারের ব্যয় হয় ২৯ কোটি টাকা। কিন্তু কৃষকরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেচের পানি। জিকে প্রজেক্টের মাধ্যমে পানির প্রয়োজন না মেটায় কৃষকরা এখন বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছেন।

বরেন্দ্র অঞ্চলের পদ্মাকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলোরও একই অবস্থা। এখানকার সরমংলা অঞ্চলের দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে পাম্পের সাহায্যে পানি তুলে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের খালে ফেলা হয়। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপ বলছেন, তারাও এসব প্রকল্প থেকে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য প্রয়োজন এবং সময়মতো পানি পাচ্ছেন না। ফলে তাদেরকেও বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। গঙ্গা ও পদ্মা হিমালয়ের পাদদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক নদী যা চীন, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

বাংলাদেশের সীমানায় এসে এর নান্দনিক নাম হয়েছে পদ্মা। হিমালয়ের ভাগীরথী ও অলকানন্দা নদী এবং অসংখ্য উপনদীর সম্মিলিত স্রোতধারা প্রথমে গঙ্গা ও পরে পদ্মা নামে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের আরিচায় যমুনার সাথে মেলার আগে প্রায় দুই হাজার দুইশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। যাতায়াত, কৃষিকাজ, সেচ প্রকল্প, মৎস্য সম্পদসহ বিভিন্ন েেত্র এককালে পদ্মা নদীকে এ অঞ্চলের মানুষের আশা ভরসার প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ভারত গঙ্গা নদীতে পরীামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর থেকেই এলোমেলো হয়ে যায় এ সব হিসাব। গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে এ যাবত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুটি চুক্তি হয়েছে।

একটি ১৯৭৭ সালে এবং অপরটি ১৯৯৬ সালে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হয়নি। ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর বাংলাদেশকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্সা দেয়ার ব্যপারে লুকোচুরি খেলতে শুরু করে ভারত। সবশেষ চুক্তি অনুযায়ী পহেলা জানুয়ারী থেকে ১০ই মে পর্যন্ত পানি প্রবাহ ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক হলে দুই দেশ সমান পানি পাবার কথা। আর এই প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নিচে নামলে দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে পানি বণ্টন করে নেবে।

কিন্তু চুক্তি না মেনে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে আসছে। আমরা শুধু ফারাক্কা দিয়ে পদ্মা নদীর পানি হুগলী নদীতে স্থানান্তরের কথা জানি। কিন্তু এ খবর অনেকে জানেন না যে, ভারত সে দেশের উত্তরখণ্ড, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যাতে ফারাক্কা পর্যন্ত পৌঁছানো আগেই গঙ্গা নদীর শতকরা ৭০ ভাগ পানিই অন্যখাতে চলে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ অনুসারে, এর ফলে ভারতের অনেক অনুর্বর জমি শস্য-শ্যামলা হয়ে উঠছে বটে, তবে তা হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বনাশ ঘটিয়ে। ভারত উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে পলি পড়ে উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ২০টি নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে।

মানচিত্র থেকেই হারিয়ে গেছে ১৩টি নদী। শুকনো মৌসুমে প্রায় শুকিয়ে যায় রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ৬১টি নদী। প্রায় ১৫ হাজার ছয়শ কিলোমিটার নদী তার গতি হারিয়েছে। ফলে সেচের পানির অভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ এবং দণিাঞ্চলের প্রায় চার কোটি মানুষ ও এক তৃতীয়াংশ এলাকা। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌ পথ।

পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ধান উৎপাদন কমেছে এবং বিপন্ন হয়ে গেছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের অন্তত ১৭ ভাগ বনাঞ্চল। ফারাক্কা করালগ্রাসের আরেক রূপ হলো-নদী ভাঙ্গন। বছরের বেশিরভাগ সময় চর থাকায় পদ্মা ইতোমধ্যেই হারিয়েছে তার নাব্যতা, এ কথা আমরা আগেই বলেছি। তাই শুকনো মৌসুম শেষে জৈষ্ঠের শুরুতে ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার পর হঠাৎ নদীর প্রবাহ তীব্র হওয়ায় হাজার কিলোমিটারের পুরো পদ্মা পাড় জুড়ে শুরু হয় নদী ভাঙ্গন। এর ফলে নদী গর্ভে হারিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম।

অসময়ে পানির এই প্রবল স্রোতের তোড় সামলাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দেয়া এরকম ছয়টি বাঁধের সবগুলোই ভেঙ্গে গেছে। এই ভাঙ্গনের শিকার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ১৬ কিলোমিটার দূরের মহতিপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত। ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় শুধু উজিরপুর ইউনিয়নেই ভোটার সংখ্যা বাইশ হাজার থেকে নেমে এসেছে মাত্র পাঁচ হাজারে। ভারতের এই পানি আগ্রাসন বাংলাদেশকে যে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এর সমাধান একমাত্র রাজনৈতিকভাবেই করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর মধ্যে ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে যাওয়া হবে গঙ্গায়। সেখান থেকে তা নিয়ে যাওয়া হবে মহানন্দা ও গোদাবরিতে। গোদাবরির পানি নিয়ে যাওয়া হবে কৃষ্ণায় এবং সেখান থেকে পেনার এবং কাবেরীতে। নর্মদার পানি নিয়ে যাওয়া হবে সবরমতিতে।

কিন্তু এই বিশাল প্রকল্প প্রতিবেশীর জন্য কী ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে, বরাবরের মতো এবারও তা বিবেচনায় আনেনি ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ মিঠা পানির শতকরা ৮৫ ভাগই পায় ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা থেকে। এককভাবে ব্রহ্মপুত্র থেকেই পাওয়া যায় মোট প্রয়োজনের শতকরা ৬৫ ভাগ। তাই ভারতকে আবারো তার পরিকল্পনামতো পানি প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হলে তা হবে বাংলাদেশের উপর ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.