যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বাড়ীওয়ালার নাম না জানা এখন গুরুতর অন্যায়। কিন্তু বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে ওনার নাম জলিল সাহেব দেখে আমি কলিগকে ফোন মারি।
আপনার বাবা জলিল সাহেব হলেন কেমনে?
হে হে হে ! সে এক বিশাল কাহিনী! একদিন এক মেয়ে এলো বাবার চেম্বারে......
তারপরে ফোনটা পকেটে রেখে দেই। পকেটের মধ্যে গমগম করে আওয়াজ ভাসতে থাকে। তিনমিনিটি পরে আবার ফোন তুলে কানে লাগিয়ে শুনি, .... সংসদের পাশে একটা বাড়ীতে... আবার ফোন পকেটে চালান করে দিয়ে আমার কাজ করতে থাকি।
ফের তিনমিনিট পরে কানে তুলে শুনি ..... গুলশান, বনানীর রাস্তার দুইধারে.... আবার ফোন পকেটে চালান করে দেই।
বিকেল বাসায় ফিরে জলিল সাহেব ওরফে আমার বাড়ীওয়ালা হোমিওপ্যাথীর ডাক্তারসাহেবের সিড়ির পাশের চেম্বারে আগে ঢুকি। উনি আমাকে দেখেই বিগলিত। আজকের প্রথম আলো দেখেছেন? আমি তো মডেল হয়ে গেছি! বলতে বলতে ড্রয়ের থেকে ভাড়ার স্লিপ বের করলেন।
হেভী আংকেল, জোশ হইছে ফটুকখানা, এখন তো দেখবেন লোকজন আপনার বাড়ীর সামনে অটোগ্রাফ নিতে লাইন লাগাবে!
হে হে হাসেন বিলবোর্ডের জলিল সাহেব।
বাড়ী ভাড়ার স্লিপের নীচে লাল কালিতে লেখা জুলাই মাস থেকে বাসা ভাড়া একহাজার বাড়ানো হলো।
জলিল সাহেবের নাতনী গ্রামীন ফোনের কাস্টমার ম্যানেজার হলেও না হয় হতো। লাল রঙের স্লিপ নিয়ে সিড়ি দিয়ে উঠতেই কলিগের সাথে দেখা। বললাম, আপনার বাবার কোন নাতনী গ্রামীনের কাস্টমার ম্যানেজার? একহাজার টাকা বাড়ী ভাড়া বাড়ালো আপনার বাবা, এখন অভিযোগ করবো!
হেহেহে! ওইটা তো গল্পের ক্যারেক্টার। কলিগ বলে।
বাবার তো একটাই নাতনী, সে তো আমার মেয়ে। জানেনই তো, ও পড়ে ক্লাস সেভেনে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।