গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
সিউলে যারা থাকেন তাদের স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতি খুব কম দেখা পড়ে। যেটুকু যাতায়াত মূলত সাবওয়েতে, তাই প্রকৃতি দেখার জন্য আলাদা করে বের না হলে খুব একটা সুযোগ মেলেনা। গতকাল ঘুরে এলাম সিউল থেকে প্রায় ৬৩ কি.মি দূরে 'নাম-ই' দ্বীপে। এটাকে ইংরেজীতে যদিও এরা আইল্যান্ড বলে আসলে অনেকটা আমাদের নদীতে বড় চরের মতো। হান নদীতে অনেকটা ভাসমান পাতার মতো এই সমতল, সবুজে ঘেরা ছোট্ট দ্বীপ।
সব মিলিয়ে পরিসীমা ৫ কি.মি.।
সিউলের চংইআংনি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে ৪৫ মিনিটের পথ কাপিআং স্টেশন।
কাপিআং স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে
পথে দেখা মেলে অনেক উচুনিচু পাহাড়ের, কোথাও নদীর টলমলে পানি। আর এর মাঝে কঠিন বাস্তবতার সাক্ষী বহুতল ফ্ল্যাট ভবন গুলো। খুব যেন বেমানান লাগে শান্ত প্রকৃতির মাঝে।
কাপিআং স্টেশন থেকে ট্যাক্সি ক্যাবে ১০ মিনিটের যাত্রা নদীর পাড়ে। ওখানে ফেরী নিতে হয় দ্বীপে যাওয়ার জন্য। ফেরীতে মাত্র ৫-৭ মিনিট লাগে দ্বীপে পৌঁছাতে।
সবুজ বড় গাছের সারি
দ্বীপের পুরোটাই সবুজে ঘেরা, নানা রকম বড় বড় গাছে পরিপূর্ণ। পর্যটকদের জন্য আছে রেন্ট সাইকেল, চার চাকার রিকশা, ব্যাটারী চালিত সাইকেল, স্মুথ কার, পানিতে বিনোদনের জন্য আছে স্পীড বোট, ওয়াটার স্কেটিং, বানজি জাম্প।
এছাড়া পুরো দ্বীপে আছে বেশ কিছু পারফর্মেন্স স্টেজ, লাইব্রেরী, মিনি ট্রেন লাইন, সুইমিং পুল, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ী।
গাছের ফাঁকে আলো
নির্ভীক এক কাঠবিড়ালী
দুপুরে চিকেন বিরিয়ানি আর জমিয়ে আড্ডা। যান্ত্রিক জীবনে এরকম একটা দিন কাটালে কি যে আনন্দ হয় বলে বোঝানো কঠিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।