আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা হতাশঃ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে ইলমাজ এরডোগান পরিচালিত তুর্কি সিনেমা ‘ভিজোনটেলের’ সঙ্গে।

তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না চরম মিথ্যা কথা বরং জেনে রেখো তোমার সাথে আজীবন বাঁচতে রাজি আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে ইলমাজ এরডোগান পরিচালিত তুর্কি সিনেমা ‘ভিজোনটেলের’ সঙ্গে। তুর্কি ভাষায় ভিজোনটেলে মানে টেলিভিশন। সেখানে দক্ষিণ তুরস্কের এক ছোট্ট শহরে ৭০-এর দশকে প্রথম একটি টেলিভিশন আসে। তারপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রচলিত ধর্মীয় অনুশাসনের দ্বন্দ্বই ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়।

বিদেশী সিনেমা দ্বারা যে কেউই অনুপ্রাণিত হতে পারেন। কিন্তু পুরোপুরি একটা বিদেশী সিনেমার গল্প মেরে দেয়াটা শিল্পের রীতিবিরুদ্ধ... Khub hashi pay abar eishob chorerai jokhon cinema er jug chnge kore debe emon kotha bole golabazi kore...... Click This Link টেলিভিশনের সিনেমা যাত্রা। । ইমরান হোসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে ইলমাজ এরডোগান পরিচালিত তুর্কি সিনেমা ‘ভিজোনটেলের’ সঙ্গে। তুর্কি ভাষায় ভিজোনটেলে মানে টেলিভিশন।

সেখানে দক্ষিণ তুরস্কের এক ছোট্ট শহরে ৭০-এর দশকে প্রথম একটি টেলিভিশন আসে। তারপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রচলিত ধর্মীয় অনুশাসনের দ্বন্দ্বই ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়। বিদেশী সিনেমা দ্বারা যে কেউই অনুপ্রাণিত হতে পারেন। কিন্তু পুরোপুরি একটা বিদেশী সিনেমার গল্প মেরে দেয়াটা শিল্পের রীতিবিরুদ্ধ সেদিনই সবে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘টেলিভিশন’।

নাম শুনেই খটকা লাগল। সিনেমার নাম টেলিভিশন? তবে তো দেখতেই হয়। অতঃপর বন্ধু সুশান্ত সরকারকে নিয়ে বলাকা সিনেমা হলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে ফেললাম। এবার অপেক্ষার পালা হলের ভেতরে ঢুকবার। তখনো শো শুরু হওয়ার অনেক সময় বাকি।

প্রচুর দর্শক তখনো লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেনার অপেক্ষায়। এমন সময় অতর্কিতে এক দঙ্গল মোটরবাইক আরোহীর আগমন। ভাবলাম এরা আবার কারা? এরা আসলে সরওয়ার ফারুকীর ভাই ব্রাদার। টেলিভিশন টিমকে এসকর্ট করে নিয়ে এসেছে। মোটর বাইকারদার পেছনে পেছনে বলাকায় ঢুকলেন তিশা, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম এবং টেলিভিশন সিনেমার পরিচালক স্বয়ং ফারুকী নিজে।

এদেরকে পেয়ে তো দর্শকের পোয়াবারো। সবাই মোশাররফ করিমকে ছুয়ে দেখতে চায়। তারা ঢুকে গেলেন হলে। এরপর আমরাও ঢুকলাম হলে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে প্রচুর তরুণ তরুণী দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে ‘টেলিভিশন’ সিনেমাটি দেখতে এসেছে।

শো শুরুর আগে টেলিভিশন ছবির কলা কুশলীরা এবং অভিনেতা অভিনেত্রীরা দর্শকদের সামনে এলেন এই সিনেমা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে। নির্মাতা ফারুকী নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বললেন, আমাদের দেশে সিনেমার নতুন সময় শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনারা হলে এসে সিনেমা দেখুন। প্রচুর তরুণ এখন সিনেমা বানাচ্ছেন। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করুন।

” বলাবাহুল্য টেলিভিশন সিনেমাটি পুশানসহ বাইরের কয়েকটি দেশে পুরস্কার পেয়েছে। অভিনেতা মোশাররফ করিম, চঞ্চল, তিশা সবাই নিজ নিজ ভালবাসার কথাই বললেন। পুরো বলাকা দাঁড়িয়ে সম্মান জানালেন পুরো ‘টেলিভিশন’ সিনেমার টিমকে। এরপর শুরু হলো শো। প্রথমবারের মতো সিনেমা হলে দেখতে শুরু করলাম টেলিভিশন।

এক দূরবর্তী নদী বিধৌত জনপদের দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে টেলিভিশন সিনেমার কাহিনী। এক পরিবারের গল্প টেলিভিশন। এক বাবা আর এক ছেলের গল্প টেলিভিশন। অনেকটা প্রগতির সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব। গল্পে দেখা যায় সব ধরনের তথ্য প্রযুক্তির ঢেউ আটকে রেখেছে গ্রামের চেয়ারম্যান।

তিনি নিয়ম করেছেন গ্রামের কেউ টিভি দেখতে পারবে না। কারণ টিভি দেখা একটি বে শরিয়তী এবং ইসলামবিরোধী কাজ। এদিকে চেয়ারম্যানের ছেলে চঞ্চল চৌধুরী বাবার মাছের ব্যবসা দেখাশোনা করে। মোশাররফ করিম চঞ্চলের পার্সোনাল সেক্রেটারি। এদিকে প্রবাসী এক গ্রামবাসীর মেয়ে তিশা।

চঞ্চল ভালবাসে তিশাকে। এদিকে চঞ্চলের সহযোগী মোশাররফও ভালবাসে তিশাকে। প্রেমের সুবিধার জন্য কৌশলে বাবার কাছ থেকে মোবাইল কেনার অনুমতি পায় চঞ্চল। শুরু হয় দু’জনের কথা বলা। এরপর ধীরে ধীরে লুকিয়ে কম্পিউটার কিনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেম করতে শুরু করে তারা।

এর মধ্যে গ্রামের হিন্দু শিক্ষক টিভি কিনে বাড়ি ফেরে। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। তবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে ইলমাজ এরডোগান এর পরিচালিত তুর্কি সিনেমা ‘ভিজোনটেলের’ সঙ্গে। তুর্কি ভাষায় ভিজোনটেলে মানে টেলিভিশন। সেখানে দক্ষিণ তুরস্কের এক ছোট্ট শহরে ৭০ এর দশকে প্রথম একটি টেলিভিশন আসে।

তারপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রচলিত ধর্মীয় অনুশাসনের দ্বন্দ্বই ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়। বিদেশী সিনেমা দ্বারা যে কেউই অনুপ্রাণিত হতে পারেন। কিন্তু পুরোপুরি একটা বিদেশী সিনেমার গল্প মেরে দেওয়াটা শিল্পের রীতিবিরুদ্ধ। তবে এসব বিষয়কে আমলে না নিলে দর্শক বেশ মজা পেয়েছে একথা বলতেই হবে।

বিশেষ করে সিচুয়েশন কমেডিকে পরিচালক খুবই দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। এই সিনেমায় চঞ্চলের বাবার চরিত্রে অভিনেতা রুমি দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম এবং তিশা এবং অন্যদের অভিনয়ও আকর্ষণীয় হয়েছে। টেলিভিশন সিনেমা শেষ হয় বাবার আত্ম উপলব্ধির মধ্য দিয়ে যে টেলিভিশন সব সময়েই খারাপ নয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।