সুশীলের ভেকধারী এক মহা ভন্ড!
আজকে এটিমের জন্মদিন। এটিমের একজন শুভাকাংখী ও সমর্থক হিসেবে তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই পোস্ট।
আমি গতবছর যখন ব্লগে আসি তখন থেকেই দেখতেছি জামাতিদের চিৎকাত চেচামেচি। ব্লগের পাতার পর পাতা জুড়ে একের পর জামাতিদের পোস্ট। তাদের নেতার জীবন কাহিনী।
তখন শুনি এটিমের নাম। তাদের দেখতাম গালি দিয়ে অধৈর্যভাব নিয়ে এইসব পোস্টে ঝাঁপিয়ে পড়তে। প্রথম প্রথম একটু অবাক হইলেও কিছুদিন গেলেই বুঝে গেলাম কারনটা আসলে কি। বারবার জামাতিগুলো এক জিনিস পোস্ট করে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা।
এই সাবজেক্টে জামাতিরা একের পর এক পোস্ট দিয়ে গেছে। আর এটিম নন-এটিম অনেকেই প্রমাণ সহকারে পোস্ট দিয়ে গেছে। তারপরও জামাতিগুলোর এই টপিকে পোস্ট দেয়া থামে না। কতক্ষণ কতদিন আর এইসব সহ্য করা যায়! তাই এটিমের মেম্বারদের যখন দেখি সুশীল ভাষায় বুঝানো বাদ দিয়ে জামাতিগুলোকে গালি, ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে জামাতিগুলোর পিছে লেগে থাকে, তখন সত্যিকার অর্থেই খুশি হই। ব্লগে আমি যখন আসি, তখন সাধারণ ব্লগারদের তেমন পার্টিসিপেট করতে দেখতাম না, এখন দেখি অনেকেই এগিয়ে এসেছেন জামাতিগুলোকে দমণে।
এইটার শুরু কিন্তু আমার মতে মোটামোটি এটিমের করা। অবশ্য এটিমের জন্মের আগে থেকেই যা বুঝলাম বিচ্ছিন্নভাবে জামাতি খেদাও আন্দোলন চলে আসছে। এটিম এইটাকে একটা নির্দিষ্ট ওয়েতে চলতে সাহায্য করেছে।
অক্টোবরে রাজপথে শিবির মারা নিয়েও গতবছর জামাতিদের চিল্লাচিল্লি দেখছি। একের পর এক পোস্ট দিয়ে ব্লগের পাতা জামাতিগুলো ভরে দিয়েছিল কান্নাকাটি দিয়ে।
তাদেরকে দৌড়ের উপরে রাখার জন্য এটিম সাধারণ ব্লগারদের হেল্প করেছে। আমি তাদের থেকেই শিখেছি জামাতিদের সাথে কথা নয়, তাদেরকে বুঝানো নয়, তাদেরকে গদাম লাথির উপরে রাখতে হবে।
এটিমের এই হার্ডলাইন কেউ কেউ পছন্দ করে না। কিন্তু এইটা সত্য যে এই হার্ডলাইনে যাওয়া আর ব্লগারদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারনেই জামাতিগুলো এখন আর তেমন সুবিধা করতে পারে না ব্লগে।
এটিম করার কারনে দেখছি পিয়াল ভাইকে তার ফ্যামিলি নিয়ে উলটাপালটা কথা শুনতে।
তারপরও তিনি আছেন, রাগে দুঃখে চলে যান নাই। আইজুদাকে বারবার ব্যান করা হয়েছে, হাসিব ভাই সহ অন্যদেরকে গালি শুনতে হয়েছে। তাও তারা আছেন।
এটিমের মেম্বারদেরকে দেখেছি জামাতি বা জামাতিদের প্রতি দুর্বল ব্লগারদেরকেও অ্যাটাক করতে। এইটা কারো কারো পছন্দ না! কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তাদের প্রতি হার্ডলাইনে যাওয়া ঠিকই আছে।
কারন তারা ১০ টা সুশীল পোস্ট দিয়ে ১ পোস্ট দেবে কামরুজ্জামান ছানা কেন ব্যানড বা নির্বাচিত পোস্টে কেন মুক্তিযুদ্ধের পোস্ট! তাই এইসব মিচকাগুলো ভালো লিখলেও বর্জনযোগ্য।
আমি সুশীল, গালি দিতে পারি না, ভাষায় আক্রমানত্মক হইতে পারি না। তাই এটিমের মেম্বারদেরকে ধন্যবাদ জানাই এইভাবে জামাতি ছাগু দমণ করে আমাকে সুশীল হয়ে থাকতে দেবার জন্য।
এইবার একটু সমালোচনাও করি। এটিমের দুইটা জিনিস আমি পছন্দ করি না।
একটা হলো ধর্ম নিয়ে দেয়া পোস্ট, যেইটা গতবছরই অবশ্য বন্ধ হয়ে গেছে। এই জিনিসটা আমার ভালো লাগে নাই কখনো। আরেকটা জিনিস হলো এটিমের মেম্বারদেরকে একটু সহনশীল হবার রিকোয়েস্ট করি যারা নন-জামাতি তাদের প্রতি। একটা সমস্যা হলো এটিমের মেম্বারদের পারসোনালি কারো সাথে ইন্টার্যাকশনকেও অনেকে গুলিয়ে ফেলে এটিমের এজেন্ডা হিসেবে। ফলে সাধারণ ব্লগাররা কিছুটা বিভ্রান্ত হয় এটিমের উদ্দেশ্য নিয়ে।
এই বিষয়ে এটিমের মেম্বারদের একটু সচেতনতা কামনা করি।
পরিশেষে এটিমের সাফল্য বজায় থাকুক, এই কামন করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।