পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
আজ সকাল থেকে আমি মৃতদের হিংসা করি । অথচ কালরাত পর্যন্তও ঠিক ছিলাম । এই বঙ্গাল মুলুকের আর দশটা মমতাময় , মায়াময় মননের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে আমিও মৃতদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতাম। "মরা লোকের নিন্দা করতে নেই" এর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ মুমিনের ভেক ধরে হারাম মখমলে রওশন ইমাম সাহেব , মহল্লার চেয়ারম্যান কিংবা তাঁর গুণধর পূত্রের জন্য যখন আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটা করতে আহবান জানিয়েছেন, আখেরাতের বেহেস্ত ছুটে যাওয়ার আশংকায় আমি তাও করেছি ।
ভুলে গেছি , বাবার দেওয়া একমাত্র স্মৃতি , সোনার চেইনের ঘড়ি কার নেশার টাকা যোগানে খুইয়েছিলাম ।
ভুলে গেছি ভোটের পরে উন্নয়নের টাকায় মহল্লায় মেয়েমানুষের মজমা বসেছিলো বলেই আমার ঘরে আজতক পানি নেই । আমরা যারা ক্ষুন্নিবৃত্তির ছুটোছুটিতে যোহর -আসর আর রাত জেগে স্ত্রী গমনের দোষে প্রায়শই ফজরের ওয়াক্ত ফেল করি , তারা এইসব আহবানে সাড়া না দিয়ে কিছুতেই পারি না । উদয়াস্ত পরিশ্রম করে দুটো ভাতের সাথে আলু ভর্তা কিংবা মরিচ, পেঁয়াজ যোগাতেই যাদের কাছা খুলে পড়ে তাদের পরকাল ঠিক থাকাটা বড্ড জরুরী ।
পরকালের পোলাও এর সাথে গরুর মাংস , সিল্কের শার্ট আর নূরানী হুরদের কোমর জড়িয়ে শীত ঘরে ঘুমানোর স্বপ্নটুক কেড়ে নিলে এই অষ্ট প্রহর কুত্তা কামড়া কামড়ির জীবন কে এত কষ্ট করে যাপন করে , বলুন ? অতএব , আমি নামাযী হই , অতএব আমি বউকে পর্দা করতে বলি , অতএব মাঝে মধ্যে বন্ধুর পাল্লায় পড়ে নীল ছবি দেখলেও কক্ষনো পরনারী গমন করি না , অতএব আমি "মৃত লোকের নিন্দা করি না "।
কিন্তু , আজকে সকাল থেকেই সব ওলট পালট হয়ে গেলো ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।