আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুবই জরুরীঃ ক্ষুধা নিবারণের রেসিপি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

অনেকেই বলছে দেশে চলছে নিরব দুর্ভিক্ষ । কিন্তু আমাদের সরকার প্রধান কিংবা উপদেষ্টাগণ বলছে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে । আর আমাদের সেনাপ্রধান আরো এক কাঠি সরেস, তিনি বলছেন দেশে খাদ্যের কোন সমস্যাই নেই ।

হতে পারে?? অবশ্য তারই দোষ দেই কিভাবে, সে তো আর নিজে খাদ্য সমস্যায় নেই কিংবা তার চারপাশের কেউ !!! পত্রিকায় ছবি ছাপে চালের জন্য হাহাকার , এখন পানির জন্য হাহাকার , বিদু্যতের জন্য হাহাকার । সেই ছবির দিকে আমাদের নাগরিকগণের চোখ রাখার সময় নেই । অযথা ক্ষুধার্ত মানষ এর চেহারা দেখে কি লাভ ?? কেউ হাত পাতলে বিরক্ত হই ?? সিএনজি ওয়ালা কিংবা রিকশা ওয়ালা ভাড়া বেশী চাইলে গালি দেই । চালের দাম বাড়ছে তো আমি কি করব ?? ঠিক আমাদের সরকার যেভাবে বলছে সবসময় আমাদের । বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে সে কি করবে ?? আসলেই তো সরকার কি করবে ?? তার কিইবা করার আছে ।

আর এই সরকার তো জনগণের মনোনীত সরকারও নয় যে জনগনের কথা রাখতে হবে । এই সরকার যার কিংবা যাদের মনোনীত তাদের কথা তো আগে রাখতে হবে , ঠিক না !!! অকাঠ্য যুক্তি, এর বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দেয়ার সাধ্য বা স্পর্ধা মানুষের নাই । তাই তাদের কথায় যুদ্ধ না করেও হয় জেনারেল , নিজে না চাইলেও, না বললে ও চাকরির মেয়াদ দিব্বি বেড়ে যায় একবছর । শুধু কি তাই !!! বিশ্ব বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে সয়াবিন হয় ১১৫ টাকা লিটার, পেট্রোল হয় ৭২ টাকা কিংবা চালের দাম ৪৬ টাকা !!! আর সিএনজির দাম হয়ে যায় দ্বিগুণ, আমরা কেউ চাইনি , বলিনি কিন্তু চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির মতো সব বেড়ে যায় । আমরা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি ।

আমরা ব্লগ লেখি , নানা রকম সরেস খাবারের রেসিপি দেই । কিভাবে দোপেয়াজি কিংবা সরষে ইলিষ, কাস্টার্ড বা ডেজার্ট তৈরী করতে হয় । কেননা আমরা মধ্যবিত্ত, আমরা সভ্য । তাই যেন আমাদের খাবারের চিন্তাই মুখ্য । কেউ ভাত খেলো না কয়বেলা তা জেনে আমি কি করব ?? দেশে খাদ্যাভাব তা বুঝে আমার কি লাভ ।

আমি চাই পেট ভরে খাবার শেষে ও কেমন করে আরেকটু ডেজার্ট খাওয়া যায় । কয় চামুক চিনি দিলে আরো ঘণীভূত হয় চায়ের স্বাদ । তাই সেই সব ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাবার রেসিপি । কি করে তারা তাদের ক্ষুধার্ত পেট কিংবা শিশুকে খাওয়াবে । কি করে ভুলে থাকবে ক্ষুধা ?? উপকরণঃ একটা বড় পাতিল ( যা এখন বেচতে হয়নি, কোন একদিন বাত রান্না হবে বলে ) পাতিল ভর্তি পানি ( খাওয়ার উপযোগি না হলে ও চলবে, যেভাবে পানির জন্য হাহাকার বাড়ছে) চুলা আর চুলায় আগুন জ্বালানোর জন্য জ্বালানি পদ্ধতিঃ চুলায় আগুন দিয়ে ক্রমাগত পাতিলের পানি উত্তপ্ত করতে তাকুন ।

যতোক্ষণ না খাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে ক্ষুধার্ত শিশু ঘুমিয়ে পড়ে । আর নিজের পেটের ক্ষুধা নষ্ট না হয় । ( তোমাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী হে নিরন্ন ,ক্ষুধার্ত মানুষ, এমন উপহাস করার জন্য । আমরা মধ্যবিত্ত এছাড়া আর কিইবা করতে পারি ?? আমাদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পাই না , কান আছে কিন্তু বধির আর কবেই তো কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.